আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ৯৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯৩৯
রমাযানে উমরা পালন করা।
৯৪১. নসর ইবনে আলী (রাহঃ) ...... উম্মু মা’কিল (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রমযান মাসে উমরা করা হজ্জের সমতুল্য। - ইবনে মাজাহ

এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস, জাবির, আবু হুরায়রা, আনাস, ওয়াহব ইবনে খান্বাশ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, বলা হয় ইনি হলেন হারিম ইবনে খান্বাশ। বায়ান ও জাবির (রাহঃ) তাঁদের সনদে শা’বী ওয়াহব ইবনে খাম্বাশরূপে উল্লেখ করেছেন। দাউদ আওদী তাঁর সনদে শা’বী হারাম ইবনে খাম্বাশরূপে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ওয়াহহাবই হল অধিকতর সহীহ। এই সূত্রে উম্মু মা’কিল বর্ণিত হাদীসটি হলো হাসান- গারীব। আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) থেকে প্রামণিত ভাবে আছে যে, তিনি বলেছেন, রমযান মাসের উমরা হজ্জের সমতুল্য। ইসহাক বলেন এ হাদীসের মর্ম হলো সূরা ইখলাস রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসটির মর্মের অনূরূপ। নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে। যে, ব্যক্তি ‘‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ..." তিলাওয়াত করল সে যেন কুরআন মাজীদের এক- তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করল।
باب مَا جَاءَ فِي عُمْرَةِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ أُمِّ مَعْقِلٍ، عَنْ أُمِّ مَعْقِلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجَّةً " . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَوَهْبِ بْنِ خَنْبَشٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُقَالُ هَرَمُ بْنُ خَنْبَشٍ . قَالَ بَيَانٌ وَجَابِرٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ وَهْبِ بْنِ خَنْبَشٍ . وَقَالَ دَاوُدُ الأَوْدِيُّ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ هَرَمِ بْنِ خَنْبَشٍ . وَوَهْبٌ أَصَحُّ . وَحَدِيثُ أُمِّ مَعْقِلٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ قَدْ ثَبَتَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجَّةً . قَالَ إِسْحَاقُ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ مِثْلُ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَرَأَْ : ( قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) فَقَدْ قَرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ " .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

রমজানে ওমরাহ করলে হজের সমতুল্য সওয়াব

পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালন করলে হজের সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। এই জন্য যাদের সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে, তারা সম্ভব হলে রমজানে পবিত্র ওমরাহ পালন করা উচিত। এতে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও ইবাদত সুন্দরভাবে পালনের পাশাপাশি বিপুল সওয়াব লাভও হবে।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) এক আনসারি নারীকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের?’ ইবনে আব্বাস (রা.) নারীর নাম বলেছিলেন; কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি। ওই নারী বলল, ‘আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল; কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (অর্থাৎ মহিলার স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি।’ নবী (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা, রমজান এলে তখন ওমরাহ করে নিয়ো। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য।’ (বুখারি, হাদিস : ১৭৮২)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সুন্দরভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক রমজান কাটানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
rabi
বর্ণনাকারী: