আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩২
নফল রোযা পালনকারীর ইফতার করে ফেলা।
৭৩০. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাযিঃ) ..... উম্মে হানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূল্লুাহ (ﷺ) তাঁর ঘরে আসেন এবং পানি নিয়ে আনতে ডাকলেন। তিনি তা থেকে পান করলেন, তারপর উম্মে হানীকে দিলেন; তিনিও পান করলেন। পরে উম্মে হানী (রাযিঃ) বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো রোযা পালনকারী ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, নফল রোযা পালনকারী নিজের আমানতদার; ইচ্ছা করলে রোযা পালন করতে পারে আর ইচ্ছা করলে তা ভঙ্গও করতে পারে।

(রাবী) শুবা বলেন যে, আমি জা’দাকে বললাম, আপনি নিজে উম্মে হানী (রাযিঃ) থেকে এই হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বললেন, না। আবু সালীহ ও আমাদের পরিবারের লোকজন উম্মে হানী (রাযিঃ) থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। হাম্মাদ ইবনে সালামা এই হাদীসটিকে সিমাক- উম্মে হানী দৌহিত্র হারুন -উম্মে হানী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। শু’বা-এর রিওয়ায়াতটি অধিক হাসান। মাহমুদ ইবনে গায়লান এটিকে আবু দাউদ সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি এতে বলেছেন امين نفسه ‘‘রোযা পালনকারী নিজেই নিজের আমানতদার’ মাহমুদ ছাড়া অন্যান্য রাবীগণ আবু দাউদ সূত্রে সন্দেহ পোষণ করেন রিওয়ায়াত করেছেন او امين نفسه، أمير نفسه ‘‘রোযা পালনকারী নিজেই নিজের উপর ক্ষমতাবান অথবা নিজেই নিজেদের আমানতদার’। শুবা (রাহঃ) থেকে ও তদ্রূপ দ্বিধার সঙ্গে একাধিক সূত্রে أمير او امين نفسه রূপে বর্ণিত আছে। উম্মে হানী (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটির সনদ সম্পর্কে বিরূপ বক্তব্য রয়েছে। নবী (ﷺ) এর আহলে ইলম কোন কোন সাহাবী ও অন্যান্য আলিমদের এ হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে যে, নফল রোযা পালনকারী যদি তা ভঙ্গ করে ফেলে তবে তার উপর কাযা নেই। তবে ইচ্ছা করলে (মুস্তাহাব হিসাবে) কাযা আদায় করতে পারে। এ হলো সুফিয়ানী সাওরী, আহমাদ, ইসহাক ও শাফিঈ (রাযিঃ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي إِفْطَارِ الصَّائِمِ الْمُتَطَوِّعِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ كُنْتُ أَسْمَعُ سِمَاكَ بْنَ حَرْبٍ يَقُولُ أَحَدُ ابْنَىْ أُمِّ هَانِئٍ حَدَّثَنِي فَلَقِيتُ، أَنَا أَفْضَلَهُمَا، وَكَانَ، اسْمُهُ جَعْدَةَ وَكَانَتْ أُمُّ هَانِئٍ جَدَّتَهُ فَحَدَّثَنِي عَنْ جَدَّتِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا فَدَعَى بِشَرَابٍ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَهَا فَشَرِبَتْ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَا إِنِّي كُنْتُ صَائِمَةً . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الصَّائِمُ الْمُتَطَوِّعُ أَمِينُ نَفْسِهِ إِنْ شَاءَ صَامَ وَإِنْ شَاءَ أَفْطَرَ " . قَالَ شُعْبَةُ فَقُلْتُ لَهُ أَأَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ أُمِّ هَانِئٍ قَالَ لاَ أَخْبَرَنِي أَبُو صَالِحٍ وَأَهْلُنَا عَنْ أُمِّ هَانِئٍ . وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ فَقَالَ عَنْ هَارُونَ ابْنِ بِنْتِ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ . وَرِوَايَةُ شُعْبَةَ أَحْسَنُ . هَكَذَا حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ عَنْ أَبِي دَاوُدَ فَقَالَ " أَمِينُ نَفْسِهِ " . وَحَدَّثَنَا غَيْرُ مَحْمُودٍ عَنْ أَبِي دَاوُدَ فَقَالَ " أَمِيرُ نَفْسِهِ أَوْ أَمِينُ نَفْسِهِ " . عَلَى الشَّكِّ وَهَكَذَا رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ شُعْبَةَ " أَمِينُ أَوْ أَمِيرُ نَفْسِهِ " عَلَى الشَّكِّ . قَالَ وَحَدِيثُ أُمِّ هَانِئٍ فِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الصَّائِمَ الْمُتَطَوِّعَ إِذَا أَفْطَرَ فَلاَ قَضَاءَ عَلَيْهِ إِلاَّ أَنْ يُحِبَّ أَنْ يَقْضِيَهُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَالشَّافِعِيِّ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী - হাদীস নং ৭৩২ | মুসলিম বাংলা