আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ৭১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭১৯
রোযাদারের অনিচ্ছাকৃত বমি।
৭১৭. মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ মুহারিবী (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ তিনটি বিষয় রোযাদারের রোযা ভঙ্গ হয় না। (১) সিঙ্গা লাগান (২) বমি এবং (৩) স্বপ্নদোষ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত এই রিওয়ায়াতটি নির্ভরযোগ্য নয়। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম, আব্দুল আযীয ইবনে মুহাম্মাদ প্রমূখ এই হাদীসটিকে যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। এতে তারা আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর উল্লেখ করেননি। আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হাদীস বর্ণনায় যইফ। আবু দাউদ সিজাযী (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি, আমি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল (রাহঃ) কে আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, তার ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ সম্বন্ধে কোন দোষ নাই। মুহাম্মাদ (বুখারী) (রাহঃ) কে আলী ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হলেন নির্ভরযোগ্য। আর আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হলেন যইফ। মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমি তার থেকে কি কিছুই রিওয়ায়াত করব না।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত এই রিওয়ায়াতটি নির্ভরযোগ্য নয়। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম, আব্দুল আযীয ইবনে মুহাম্মাদ প্রমূখ এই হাদীসটিকে যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। এতে তারা আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর উল্লেখ করেননি। আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হাদীস বর্ণনায় যইফ। আবু দাউদ সিজাযী (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি, আমি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল (রাহঃ) কে আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, তার ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ সম্বন্ধে কোন দোষ নাই। মুহাম্মাদ (বুখারী) (রাহঃ) কে আলী ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হলেন নির্ভরযোগ্য। আর আব্দুর রহমান ইবনে যায়দ ইবনে আসলাম হলেন যইফ। মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমি তার থেকে কি কিছুই রিওয়ায়াত করব না।
باب مَا جَاءَ فِي الصَّائِمِ يَذْرَعُهُ الْقَىْءُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ لاَ يُفْطِرْنَ الصَّائِمَ الْحِجَامَةُ وَالْقَىْءُ وَالاِحْتِلاَمُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ حَدِيثٌ غَيْرُ مَحْفُوظٍ . وَقَدْ رَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ مُرْسَلاً . وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ . وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ . قَالَ سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ السِّجْزِيَّ يَقُولُ سَأَلْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ فَقَالَ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ لاَ بَأْسَ بِهِ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَذْكُرُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَدِينِيِّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ثِقَةٌ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ضَعِيفٌ . قَالَ مُحَمَّدٌ وَلاَ أَرْوِي عَنْهُ شَيْئًا .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, অনিচ্ছায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভাঙ্গবে না। ইচ্ছেকৃত বমি করলে মুখ ভরে হলে ভেঙ্গে যাবে। মুখ ভরে না হলে ভাঙ্গবে না। ইচ্ছেকৃত হল মুখে আঙ্গুল দিয়ে এভাবে কোন পদ্ধতিতে ইচ্ছেকৃত মুখ ভরে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অনিচ্ছায় হলে বা ইচ্ছেকৃতি মুখ ভরে না হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
এ হাদীস থেকে এটিও প্রমাণিত হয় যে, স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। (আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৯৬) তবে স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরজ হয়। উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা রাযি. বলেন, আবু তালহা রাযি.-এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাযি. রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট এসে আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তাআলা সত্যের বিষয়ে নিঃসঙ্কোচ। (তো আমার জিজ্ঞাসা এই যে,) কোনো নারীর স্বপ্নদোষ হলে কি তার উপর গোসল ফরজ হয়? উত্তরে আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন, نَعَمْ, إذَا رَأَتْ الْمَاءَ হ্যাঁ। যখন সে বীর্য দেখতে পাবে। (সহীহ বুখারী ৩০৯৩)
এ হাদীস থেকে এটিও প্রমাণিত হয় যে, স্বপ্নদোষ হলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। (আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৯৬) তবে স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরজ হয়। উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা রাযি. বলেন, আবু তালহা রাযি.-এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাযি. রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট এসে আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তাআলা সত্যের বিষয়ে নিঃসঙ্কোচ। (তো আমার জিজ্ঞাসা এই যে,) কোনো নারীর স্বপ্নদোষ হলে কি তার উপর গোসল ফরজ হয়? উত্তরে আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন, نَعَمْ, إذَا رَأَتْ الْمَاءَ হ্যাঁ। যখন সে বীর্য দেখতে পাবে। (সহীহ বুখারী ৩০৯৩)


বর্ণনাকারী: