আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাকাত অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৭
সাদ্কাদাতা যদি তার সাদ্কাকৃত সম্পদের ওয়ারিস হয়।
৬৬৪. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট বসাছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে এক মহিলা এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমার মাকে একটি দাসী সাদ্কা করেছিলাম। তিনি এখন ইন্তিকাল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমার সাওয়াব তো সাব্যস্ত হয়ে গেছে। আর মীরাস একে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। মহিলাটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মায়ের উপর এক মাসের রোযা ছিল। আমি কি তার পক্ষ থেকে সে রোযা আদায় করতে পারি? তিনি বললেন, তার পক্ষ থেকে তুমি রোযা পালন করতে পার। মহিলাটি বলল, মা তো কোন হজ্জ করেননি। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ পালন করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করে নাও। - ইবনে মাজাহ ১৭৫৯, ২৩৯৪, মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ্। বুরায়দা (রাযিঃ)-এর হাদীসটি এ সূত্র ছাড়া জানা যায় না। রাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আতা হাদীস বিশারদগণের দৃষ্টিতে নির্ভরযোগ্য। অধিকাংশ আলিমের এই হাদীস অনুসারে আমল হয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি কিচু সাদ্কা করে, পরে আবার সে জিনিসটির যদি যে ওয়ারিস হয় তবে তা তার জন্য হালাল। কোন কোন আলিম বলেন, সাদ্কা তো হল এমন বিষয় যা আল্লাহর জন্য দিয়ে দিয়েছে। সুতরাং কেউ যদি মালের ওয়ারিস হয় তবে অনুরূপ কোন খাতে ব্যয় করে দেওয়া ওয়াজিব। সুফিয়ান সাওরী ও যুহাইর (রাহঃ) ও এই হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবনে আতা (রাযিঃ) এর সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ্। বুরায়দা (রাযিঃ)-এর হাদীসটি এ সূত্র ছাড়া জানা যায় না। রাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আতা হাদীস বিশারদগণের দৃষ্টিতে নির্ভরযোগ্য। অধিকাংশ আলিমের এই হাদীস অনুসারে আমল হয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি কিচু সাদ্কা করে, পরে আবার সে জিনিসটির যদি যে ওয়ারিস হয় তবে তা তার জন্য হালাল। কোন কোন আলিম বলেন, সাদ্কা তো হল এমন বিষয় যা আল্লাহর জন্য দিয়ে দিয়েছে। সুতরাং কেউ যদি মালের ওয়ারিস হয় তবে অনুরূপ কোন খাতে ব্যয় করে দেওয়া ওয়াজিব। সুফিয়ান সাওরী ও যুহাইর (রাহঃ) ও এই হাদীসটি আব্দুল্লাহ ইবনে আতা (রাযিঃ) এর সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُتَصَدِّقِ يَرِثُ صَدَقَتَهُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ أَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ تَصَدَّقْتُ عَلَى أُمِّي بِجَارِيَةٍ وَإِنَّهَا مَاتَتْ . قَالَ " وَجَبَ أَجْرُكِ وَرَدَّهَا عَلَيْكِ الْمِيرَاثُ " . قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا كَانَ عَلَيْهَا صَوْمُ شَهْرٍ أَفَأَصُومُ عَنْهَا قَالَ " صُومِي عَنْهَا " . قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا لَمْ تَحُجَّ قَطُّ أَفَأَحُجُّ عَنْهَا قَالَ " نَعَمْ حُجِّي عَنْهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَلاَ يُعْرَفُ هَذَا مِنْ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَطَاءٍ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ ثُمَّ وَرِثَهَا حَلَّتْ لَهُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّمَا الصَّدَقَةُ شَيْءٌ جَعَلَهَا لِلَّهِ فَإِذَا وَرِثَهَا فَيَجِبُ أَنْ يَصْرِفَهَا فِي مِثْلِهِ . وَرَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَزُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ .


বর্ণনাকারী: