আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৮
১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ ‘‘আমীন” বলে আর আসমানের ফিরিশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০১। ইসমাঈল (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, (নামাযে) ইমাম যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তখন তোমরা বলবে اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ (হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক। আপনার জন্য সকল প্রশংসা) কেননা যার এ উক্তি ফিরিশতাগণের উক্তির অনুরূপ হবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, একাকী নামাযী রুকু থেকে উঠার সময় سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ এবং রুকু থেকে দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। ইমামও অনুরূপ বলবে। অবশ্য বুখারী শরীফের ৭৬০ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম শুধু سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলবেন। আর মুক্তাদীরা শুধু رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। উভয় হাদীসের উপরই আমল করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯৭) বুখারী শরীফের ৭৬৩ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত আছে যে, জনৈক সাহাবা রসূল স.-এর পেছনে নামায পড়ছিলেন। রসূল স. سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলে রুকু থেকে উঠলে তিনি বললেন, رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ নামায শেষে রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করলেন, আমি ত্রিশজনেরও বেশী ফেরেশ্তাকে দেখলাম কে আগে এর সওয়াব লিখবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে। এটাকেও আমরা ছুন্নাত আমল বলে বিশ্বাস করি। রসূল স. নিজে কখনো এ আমল করেছেন বলে আমার জানা নেই। অবশ্য, তাঁর প্রশংসাই আমলের জন্য যথেষ্ট।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন