কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা

হাদীস নং: ৪০৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৭৫
দাজ্জালের ফিতনা, ঈসা ইবন মারইয়ামের অবতরণ ও ইয়াজুজ-মাজুজের বের হওয়া
৪০৭৫। হিশাম ইব্‌ন আম্মার (রাহঃ)...... নাওয়াস ইবন সাম'আন কিলাবী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- একদা সকাল বেলা দাজ্জালের প্রসঙ্গ আলোচনা করেন। তিনি কন্ঠস্বর উঁচু-নীচু করে তার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, সে এই খেজুর বাগানেই আছে। অতঃপর আমরা যখন সন্ধ্যায় তাঁর নিকট উপস্থিত হই, তখন তিনি আমাদের মাঝে দাজ্জালের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করলেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের অবস্থা কি? আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি সকালে আমাদের সামনে দাজ্জালের ঘটনা উল্লেখ করেছেন, আর আপনি সেখানে আপনার কন্ঠস্বর উঁচু-নীচু করে তার বর্ণনা দিয়েছেন। এমন কি আমরা ধারণা করলাম যে, সে এই খেজুর বাগানের আড়ালেই অবস্থান করছে। তিনি বললেনঃ দাজ্জাল ছাড়া অন্যান্য ব্যাপারেও আমি তোমাদের নিয়ে শংকিত। যদি সে বের হয় এমতাবস্থায় যে, আমি তোমাদের মাঝে অবস্থান করি, তাহলে আমি তোমাদের পক্ষে তার বিরুদ্ধে যুক্তি উত্থাপন করবো। আর যদি সে এমন সময় বের হয়, যখন আমি তোমাদের মাঝে থাকবো না, তখন প্রত্যেককে নিজের পক্ষ হতে যুক্তি পেশ করতে হবে। আমার অবর্তমানে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ নেগাহবান। নিশ্চয় সে (দাজ্জাল) হবে নওজোয়ান, তার কেশদাম হবে ঘন কৃষ্ণবর্ণের, তার চক্ষু হবে খাড়া। আমি যেন তাকে আব্দুল উযযা ইবন কাতানের সাদৃশ্য মনে করছি। তোমাদের যে কেউ তাকে দেখবে, সে যেন তার বিরুদ্ধে সূরা কাহফের প্রথম দিকের আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে। নিশ্চয় সে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী 'খাল্লাফ' নামক রাস্তা থেকে বের হবে। অতঃপর সে ডানে বামে বিপর্যয় ছড়িয়ে দিবে। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা ঈমানের উপরে দৃঢ়ভাবে কায়েম থাকবে। আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! সে কতদিন পর্যন্ত যমীনে অবস্থান করবে? তিনি বললেনঃ চল্লিশ দিন। তবে এই দিনগুলোর কোনটি হবে এক বছরের সমান, কোনটি হবে এক মাসের সমান, কোনটি হবে এক সপ্তাহের সমান। অবশিষ্ট দিনগুলো হবে তোমাদের দিনগুলোর মতই। আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! যে দিনটি হবে এক বছরের সমান, সেদিন কি আমাদের এক দিনের সালাত যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ অনুমান করে সালাত আদায় করতে হবে । রাবী বলেনঃ আমরা বললামঃ (হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ))! সে যমীনে কতটা দ্রুততার সাথে বিচরণ করবে? তিনি বললেনঃ মেঘমালার মত, বাতাস তার পেছনে থাকবে। রাবী বলেনঃ সে এক সম্প্রদায়ের কাছে আসবে এবং তাদের ডাকবে। তারা তার ডাকে সাড়া দিবে এবং তার উপরে ঈমান আনবে। অতঃপর সে আসমানকে বৃষ্টি বর্ষণের আদেশ করবে, তখন আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করবে। সে যমীনকে শস্য উৎপাদনের আদেশ দিবে এবং যমীন তা উৎপাদন করবে। তাদের বাহনগুলি সন্ধ্যাবেলা তাদের নিকট এ অবস্থায় ফিরে আসবে যে, সেগুলোর ঝুটি হবে খুবই উঁচু, এবং স্তন থাকবে দুধে পরিপূর্ণ, এবং দেহের দু'পাশ হবে মাংসল। এরপর সে অপর এক সম্প্রদায়ের কাছে আসবে এবং তাদেরকে আহ্বান জানাবে। কিন্তু তারা তার কথা প্রত্যাখ্যান করবে। তখন সে তাদের কাছ থেকে ফিরে আসবে। তাদের দেশ দূর্ভিক্ষ কবলিত হবে এবং তাদের হাতে কিছুই থাকবে না। এরপর সে এক বিধস্ত স্থানের নিকট দিয়ে গমন করবে এবং তাকে বলবে, তোমার গুপ্তধন বের করে দাও। তখন সে চলতে থাকবে এবং গুপ্ত ধন-ভাণ্ডার ও অনুসরণ করবে, যেমন মধুমক্ষিকা মৌচাকের সাথে থাকে। অতঃপর সে এক হৃষ্ট-পুষ্ট যুবককে ডাক দিবে এবং তাকে তলোয়ার দিয়ে জোরে আঘাত করবে এবং তাকে দুই টুকরো করে ফেলবে। প্রত্যেকটি টুকরো দুই ধনুকের ব্যবধানে চলে যাবে। অতঃপর তাকে ডাকবে। ডাকামাত্র সে জীবিত হয়ে তার কাছে আসবে। তার চেহারা হবে উজ্জ্বল ও চমকপ্রদ সর্বোপরি হাস্যময়। যা হোক, দাজ্জাল ও অন্যান্য লোকেরা এই অস্থিরতার মধ্যে থাকবে। এ সময় আল্লাহ তা'আলা ঈসা ইব্‌ন মারইয়াম (আ)-কে পাঠাবেন। তিনি জর্দা রং এর দু'টো কাপড় পরিধান করে দামেশকের পূর্বপ্রান্তে দুইজন ফিরিশতার কাঁধে দু’হাত রেখে শুভ্র মিনারে অবতরণ করবেন। যখন তিনি তাঁর মাথা নীচের দিকে ঝুঁকাবেন, তখন (তাঁর চেহারা থেকে) ঘাম বের হবে, এবং যখন তিনি তাঁর মাথা উঁচু করবে, তখন মুক্তাদানার মত ঘামের বিন্দুগুলো ঝরতে থাকবে। আর যে সব কাফির তাঁর নিঃশ্বাসের গন্ধ পাবে, তারা তৎক্ষণাৎ মরে যাবে। তার শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রভাব তাঁর দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। অতঃপর তিনি সামনে অগ্রসর হতে থাকবেন, এমন কি তিনি 'লূদ' নামক ফটকের নিকট দাজ্জালকে পাবেন। (লূদ সিরিয়ার একটি পাহাড়ের নাম। কেউ কেউ বলেন, বায়তুল মুকাদ্দাসের একটি গ্রামের নাম)। তখন তিনি তাকে কতল করবেন। এরপর আল্লাহর নবী ঈসা (আ) এমন কাওমের কাছে যাবেন যাদেরকে আল্লাহ তা'আলা (দাজ্জালের অনিষ্ট ও ফিতনা থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি তাদের চেহারায় হাত বুলালেন এবং তিনি জান্নাতে তাদের মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণনা করবেন। লোকেরা যখন এ অবস্থায় থাকবে, তখন আল্লাহ তা'আলা তাঁর নিকট ওহী পাঠাবেন, হে ঈসা! আমি আমার এমন বান্দাদের বের করেছি, যাদের সাথে কেউ লড়াই করতে সক্ষম হবে না। তুমি আমার বান্দাদের তূর পাহাড়ে একত্রিত কর। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ইয়াজুজ ও মাজুজদের পাঠাবেন। তারা হবে এমন, যেমন... আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ “তারা প্রত্যেক উঁচু জমি থেকে ছুটে আসবে।” এদের প্রথম দল তারাবিয়া নামক ছোট সাগরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে এবং তার সমুদয় পানি পান করে ফেলবে। এর পর তাদের পরবর্তী দল অতিক্রম করবে, তখন তারা বলবেঃ কোন কালে এতে পানি ছিল।

আল্লাহর নবী ঈসা (আ) ও তাঁর সংগীগণ উপস্থিত হবেন। শেষ পর্যন্ত একটি বলদের মাথা তাদের একজনের জন্য তোমাদের আজকের দিনের একশত স্বর্ণ মুদ্রার চাইতেও দামী বলে বিবেচিত হবে। তারপর আল্লাহর নবী ঈসা (আ) এবং তাঁর সাথীগণ আল্লাহর নিকট দু'আ করবেন। তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের (ইয়াজুজ-মাজুজ-এর) গর্দানে ফোঁড়া সৃষ্টি করবেন যাতে পোকা-মাকড় থাকবে। তারা পরদিন সকালে সবাই মরে যাবে, যেমন কোন এক ব্যক্তি মারা যায়। তখন আল্লাহর নবী ঈসা (আ) এবং তাঁর সঙ্গীগণ অবতরণ করবেন এবং অর্ধ হাত স্থান ও তারা খালি পাবে না, বরং তা পরিপূর্ণ থাকবে ওদের চর্বি, গন্ধ ও রক্তে। এরপর তারা মহান আল্লাহর দরবারে দু'আ করবেন, তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি কতিপয় পাখি পাঠাবেন, যাদের ঘাড় হবে বুখ্ত এলাকার উটের মত। ওরা তাদের মৃতদেহগুলো উঠিয়ে নিয়ে যাবে এবং আল্লাহ যেখানে চাইবেন সেখানে নিক্ষেপ করবে। এরপর আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। মাটি কিংবা বালু নির্মিত কোন ঘরই এই পানি হতে রক্ষা পাবে না। এই পানি ওদের সকলকে ধুয়ে মুছে আয়নার মত সাফ করে দেবে। এরপর যমীনকে বলা হবেঃ এবার তুমি তোমার ফলমূল উৎপন্ন কর এবং তোমার বরকত ফিরিয়ে দাও। সে সময় কতিপয় লোকেরা তৃপ্তিভরে ডালিম ভক্ষণ করবে এবং এর খোসা দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করবে। আল্লাহ তা'আলা দুধে বরকত দিবেন, এমনকি একটি দুধেল উষ্ট্রী কয়েক জামা'আত লোকের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি দুধেল গাভী একটি গোত্রের লোকদের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি দুধেল বকরী একটি ক্ষুদ্র গোত্রের জন্য যথেষ্ট হবে। তারা যখন এ অবস্থায় থাকবে, তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রতি নির্মল বায়ু পাঠাবেন। এই বাতাস তাদের বগলের নীচে প্রভাব ফেলবে এবং প্রত্যেক মুসলিমের জান কবয করে নিবে। তখন অবশিষ্ট নর-নারী গাধার মত প্রকাশ্যে সংগমে লিপ্ত হবে। তাদের উপর কিয়ামত সঙ্গটিত হবে।
بَاب فِتْنَةِ الدَّجَالِ وَخُرُوجِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَخُرُوجِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ النَّوَّاسَ بْنَ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيَّ، يَقُولُ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَضَ فِيهِ وَرَفَعَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ فَلَمَّا رُحْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَرَفَ ذَلِكَ فِينَا فَقَالَ ‏"‏ مَا شَأْنُكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَكَرْتَ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَضْتَ فِيهِ ثُمَّ رَفَعْتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ غَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُنِي عَلَيْكُمْ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ إِنَّهُ شَابٌّ قَطَطٌ عَيْنُهُ قَائِمَةٌ كَأَنِّي أُشَبِّهُهُ بِعَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قَطَنٍ فَمَنْ رَآهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ خَلَّةٍ بَيْنَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ فَعَاثَ يَمِينًا وَعَاثَ شِمَالاً يَا عِبَادَ اللَّهِ اثْبُتُوا ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ تَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ قَالَ ‏"‏ فَاقْدُرُوا لَهُ قَدْرًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا فَمَا إِسْرَاعُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ كَالْغَيْثِ اشْتَدَّ بِهِ الرِّيحُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَيَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَسْتَجِيبُونَ لَهُ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ فَيَأْمُرُ السَّمَاءَ أَنْ تُمْطِرَ فَتُمْطِرَ وَيَأْمُرُ الأَرْضَ أَنْ تُنْبِتَ فَتُنْبِتَ وَتَرُوحُ عَلَيْهِمْ سَارِحَتُهُمْ أَطْوَلَ مَا كَانَتْ ذُرًى وَأَسْبَغَهُ ضُرُوعًا وَأَمَدَّهُ خَوَاصِرَ ثُمَّ يَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَرُدُّونَ عَلَيْهِ قَوْلَهُ فَيَنْصَرِفُ عَنْهُمْ فَيُصْبِحُونَ مُمْحِلِينَ مَا بِأَيْدِيهِمْ شَىْءٌ ثُمَّ يَمُرُّ بِالْخَرِبَةِ فَيَقُولُ لَهَا أَخْرِجِي كُنُوزَكِ فَيَنْطَلِقُ فَتَتْبَعُهُ كُنُوزُهَا كَيَعَاسِيبِ النَّحْلِ ثُمَّ يَدْعُو رَجُلاً مُمْتَلِئًا شَبَابًا فَيَضْرِبُهُ بِالسَّيْفِ ضَرْبَةً فَيَقْطَعُهُ جِزْلَتَيْنِ رَمْيَةَ الْغَرَضِ ثُمَّ يَدْعُوهُ فَيُقْبِلُ يَتَهَلَّلُ وَجْهُهُ يَضْحَكُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ فَيَنْزِلُ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ بَيْنَ مَهْرُودَتَيْنِ وَاضِعًا كَفَّيْهِ عَلَى أَجْنِحَةِ مَلَكَيْنِ إِذَا طَأْطَأَ رَأْسَهُ قَطَرَ وَإِذَا رَفَعَهُ يَنْحَدِرُ مِنْهُ جُمَانٌ كَاللُّؤْلُؤِ وَلاَ يَحِلُّ لِكَافِرٍ أَنْ يَجِدَ رِيِحَ نَفَسِهِ إِلاَّ مَاتَ وَنَفَسُهُ يَنْتَهِي حَيْثُ يَنْتَهِي طَرْفُهُ فَيَنْطَلِقُ حَتَّى يُدْرِكَهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ ثُمَّ يَأْتِي نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى قَوْمًا قَدْ عَصَمَهُمُ اللَّهُ فَيَمْسَحُ وُجُوهَهُمْ وَيُحَدِّثُهُمْ بِدَرَجَاتِهِمْ فِي الْجَنَّةِ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ يَا عِيسَى إِنِّي قَدْ أَخْرَجْتُ عِبَادًا لِي لاَ يَدَانِ لأَحَدٍ بِقِتَالِهِمْ وَأَحْرِزْ عِبَادِي إِلَى الطُّورِ ‏.‏ وَيَبْعَثُ اللَّهُ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَهُمْ كَمَا قَالَ اللَّهُ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ فَيَمُرُّ أَوَائِلُهُمْ عَلَى بُحَيْرَةِ الطَّبَرِيَّةِ فَيَشْرَبُونَ مَا فِيهَا ثُمَّ يَمُرُّ آخِرُهُمْ فَيَقُولُونَ لَقَدْ كَانَ فِي هَذَا مَاءٌ مَرَّةً وَيَحْضُرُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ حَتَّى يَكُونَ رَأْسُ الثَّوْرِ لأَحَدِهِمْ خَيْرًا مِنْ مِائَةِ دِينَارٍ لأَحَدِكُمُ الْيَوْمَ فَيَرْغَبُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ إِلَى اللَّهِ فَيُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمُ النَّغَفَ فِي رِقَابِهِمْ فَيُصْبِحُونَ فَرْسَى كَمَوْتِ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ ‏.‏ وَيَهْبِطُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ فَلاَ يَجِدُونَ مَوْضِعَ شِبْرٍ إِلاَّ قَدْ مَلأَهُ زَهَمُهُمْ وَنَتْنُهُمْ وَدِمَاؤُهُمْ فَيَرْغَبُونَ إِلَى اللَّهِ سُبْحَانَهُ فَيُرْسِلُ عَلَيْهِمْ طَيْرًا كَأَعْنَاقِ الْبُخْتِ فَتَحْمِلُهُمْ فَتَطْرَحُهُمْ حَيْثُ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَطَرًا لاَ يُكِنُّ مِنْهُ بَيْتُ مَدَرٍ وَلاَ وَبَرٍ فَيَغْسِلُهُ حَتَّى يَتْرُكَهُ كَالزَّلَقَةِ ثُمَّ يُقَالُ لِلأَرْضِ أَنْبِتِي ثَمَرَتَكِ وَرُدِّي بَرَكَتَكِ فَيَوْمَئِذٍ تَأْكُلُ الْعِصَابَةُ مِنَ الرُّمَّانَةِ فَتُشْبِعُهُمْ وَيَسْتَظِلُّونَ بِقِحْفِهَا وَيُبَارِكُ اللَّهُ فِي الرِّسْلِ حَتَّى إِنَّ اللِّقْحَةَ مِنَ الإِبِلِ تَكْفِي الْفِئَامَ مِنَ النَّاسِ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْبَقَرِ تَكْفِي الْقَبِيلَةَ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْغَنَمِ تَكْفِي الْفَخِذَ ‏.‏ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ رِيحًا طَيِّبَةً فَتَأْخُذُ تَحْتَ آبَاطِهِمْ فَتَقْبِضُ رُوحَ كُلِّ مُسْلِمٍ وَيَبْقَى سَائِرُ النَّاسِ يَتَهَارَجُونَ كَمَا تَتَهَارَجُ الْحُمُرُ فَعَلَيْهِمْ تَقُومُ السَّاعَةُ ‏"‏ ‏.‏
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সুনানে ইবনে মাজা - হাদীস নং ৪০৭৫ | মুসলিম বাংলা