আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৪৭
১৯৫৯. নবী (ﷺ) ইসলামের প্রতি যাদের মন আকৃষ্ট করার প্রয়োজন তাদেরকে ও অন্যদেরকে খুমুস ইত্যাদি থেকে দান করতেন।
২৯২৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, যখন আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে হাওয়াযিন গোত্রের মাল থেকে যা দেওয়ার তা দান করলেন। আর তিনি কুরাইশ গোত্রের লোকদের একশ’ করে উট দিতে লাগলেন। তখন আনসারদের থেকে কিছু সংখ্যক লোক বলতে লাগল, আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে ক্ষমা করুন। তিনি কুরাইশদেরকে দিচ্ছেন, আমাদেরকে দিচ্ছেন না। অথচ আমাদের তরবারী থেকে তাদের রক্ত এখনও ঝরছে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট তাদের উক্তি পৌঁছান হল। তখন তিনি আনসারদেরকে ডেকে পাঠালেন এবং চর্ম নির্মিত একটি তাবুতে তাদের একত্রিত করলেন আর তাঁদের সঙ্গে তাঁদের ছাড়া আর কাউকে ডাকলেন না। যখন তাঁরা সকলে একত্রিত হলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের নিকট এলেন এবং বললেন, আমার নিকট তোমাদের সম্পর্কে যে কথা পৌঁছেছে তা কি?
তাদের মধ্যে সমঝদার লোকেরা তাঁকে বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্য থেকে মুরব্বীরা কিছুই বলেন নি। আমাদের কতিপয় তরুণরা বলেছেঃ আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে ক্ষমা করুন। তিনি আনসারদের না দিয়ে কুরাইশদের দিচ্ছেন; অথচ আমাদের তরবারী থেকে তাদের রক্ত এখনও ঝরছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি এমন লোকদের দিচ্ছি, যাদের কুফরীর যুগ সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব সম্পদ নিয়ে (মনযিলে) ফিরবে, আর তোমরা আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে নিয়ে মনযিলে ফিরবে, আল্লাহর কসম, তোমরা যা নিয়ে মনযিলে ফিরবে, তা তারা যা নিয়ে ফিরবে, তার চাইতে উত্তম।’
তখন আনসারগণ বললেন, ‘হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এতে সন্তুষ্ট।’ তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার পরে তোমরা তোমাদের উপর অন্যদের প্রাধান্য দেখতে পাবে। তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করে থাকবে, যে পর্যন্ত না তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর সঙ্গে হাউযে (কাউসারে) মিলিত হবে।’ আনাস (রাযিঃ) বলেন, কিন্তু আমরা (আনসারগণ) ধৈর্যধারণ করতে পারি নি।
তাদের মধ্যে সমঝদার লোকেরা তাঁকে বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্য থেকে মুরব্বীরা কিছুই বলেন নি। আমাদের কতিপয় তরুণরা বলেছেঃ আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে ক্ষমা করুন। তিনি আনসারদের না দিয়ে কুরাইশদের দিচ্ছেন; অথচ আমাদের তরবারী থেকে তাদের রক্ত এখনও ঝরছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি এমন লোকদের দিচ্ছি, যাদের কুফরীর যুগ সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। তোমরা কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, লোকেরা পার্থিব সম্পদ নিয়ে (মনযিলে) ফিরবে, আর তোমরা আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে নিয়ে মনযিলে ফিরবে, আল্লাহর কসম, তোমরা যা নিয়ে মনযিলে ফিরবে, তা তারা যা নিয়ে ফিরবে, তার চাইতে উত্তম।’
তখন আনসারগণ বললেন, ‘হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এতে সন্তুষ্ট।’ তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার পরে তোমরা তোমাদের উপর অন্যদের প্রাধান্য দেখতে পাবে। তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করে থাকবে, যে পর্যন্ত না তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর সঙ্গে হাউযে (কাউসারে) মিলিত হবে।’ আনাস (রাযিঃ) বলেন, কিন্তু আমরা (আনসারগণ) ধৈর্যধারণ করতে পারি নি।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
একটা সময় আসবে, হকদার হওয়া সত্ত্বেও তোমাদেরকে হক থেকে বঞ্চিত করা হবে। বঞ্চিত করা হলেও তোমরা আমীরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে না। সবর অবলম্বন করবে এবং যথারীতি আমীরের আনুগত্য করে যাবে। তা করতে পারলে আমার সংগে হাউযে কাউসারে সাক্ষাত লাভ করতে পারবে।
বোঝা গেল, সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে ধৈর্যধারণ করতে পারলে তার পুরস্কার হচ্ছে আখিরাতে হাওযে কাউসারে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাক্ষাতলাভ এবং তাঁর হাতে হাওযে কাউসারের পানি পান করতে পারা। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সেই সৌভাগ্য দান করুন।
হাওযে কাউসার
‘হাওযে কাউসার’ আখিরাতের একটি বিশাল জলাশয়ের নাম। তার দৈর্ঘ্য উদয়াচল থেকে অস্তাচলের দূরত্ব পরিমাণ। তার পানি দুধের চেয়ে সাদা, মধুর চেয়ে মিষ্ট। বিভিন্ন হাদীছে হাওযে কাউসারের বিভিন্ন অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। নিচে কয়েকটি হাদীছ উল্লেখ করা গেল।
ইমাম মুসলিম রহ. হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ তাঁর কিছুটা তন্দ্রাভাব দেখা দেয়। তারপর তিনি মুচকি হাসি দিয়ে মাথা তুললেন। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি হাসছেন কেন? তিনি বললেন, এইমাত্র আমার প্রতি একটি সূরা নাযিল হয়েছে। তারপর তিনি বিসমিল্লাহর সাথে সূরা কাউসার পাঠ করলেন। তারপর বললেন, তোমরা কি জান কাউসার কী? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, এটা একটা নহর। আমার প্রতিপালক আমাকে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন। এর কল্যাণ প্রভূত।কিয়ামতের দিন এ হাওযের তীরে আমার উম্মত উপস্থিত হবে। এর পানপাত্র আকাশের তারকারাজির মত (অসংখ্য হবে)। কোনও কোনও বান্দাকে এর কাছে আসতে বাধা দেওয়া হবে। আমি বলব, হে আমার রব্ব্! এরা তো আমার উম্মত। তিনি বলবেন, আপনি জানেন না। আপনার পর এরা কী সব কাণ্ড করেছে।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আনাস রাযি. সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
دَخَلْتُ الْجَنَّةَ ، فَإِذَا أَنَا بِنَهْرٍ حَافَتَاهُ خِيَامُ اللُّؤْلُؤِ ، فَضَرَبْتُ بِيَدِي إِلَى مَا يَجْرِي فِيهِ الْمَاءُ ، فَإِذَا مِسْكٌ أَذْفَرُ ، قُلْتُ مَا هَذَا يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَذَا الْكَوْثَرُ الَّذِي أَعْطَاكَهُ اللَّهُ
‘আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম। সেখানে একটি নহর দেখতে পেলাম, যার দু'তীরে মণিমুক্তার ছাউনী। আমি তার প্রবাহে হাত রাখলাম। দেখলাম তা খাঁটি মিস্ক। আমি বললাম, হে জিবরাঈল এটা কী? তিনি বললেন, এটাই কাউসার, যা আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন।”
তিরমিযী শরীফে হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
هُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ، وَأَحْلَى مِنَ العَسَلِ، فِيهِ طُيُورٌ أَعْنَاقُهَا كَأَعْنَاقِ الجُزُرِ، قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّهَا لَنَاعِمَةٌ، قَالَ: آكِلُهَا أَنْعَمُ مِنْهَا
‘তা দুধের চেয়েও সাদা, মধুর চেয়েও মিষ্টি। তাতে উটের গলার মত গলাবিশিষ্ট পাখি আছে। একথা শুনে হযরত উমর রাযি. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা তো ভারী উপভোগের হবে। তিনি বললেন, যারা তা খাবে, তারা অনেক বেশি সুখী হবে।
হাওযে কাউসার সংক্রান্ত হাদীছ প্রচুর। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি., হযরত ‘উমর ফারূক রাযি. হযরত উছমান গনী রাযি. ও হযরত আলী রাযি.-সহ পঞ্চাশেরও বেশি সংখ্যক সাহাবী থেকে হাওযে কাউসারের কথা বর্ণিত আছে। ইমাম সুয়ূতী রহ ‘বুদুরুস-সাফিরা' গ্রন্থে এ সম্পর্কিত প্রায় সত্তরটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
এ বরকতময় হাওয থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে যারা পানি পান করবে, আল্লাহ তা'আলা নিজ মেহেরবানীতে আমাদেরকেও তাদের মধ্যে শামিল রাখুন- আমীন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. নিজ স্বার্থহানিতে ধৈর্যধারণ হাওযে কাউসারের পানি পানের সৌভাগ্য লাভ হওয়ার একটি বড় উপায়।
খ. হাওযে কাউসার সত্য। তাতে বিশ্বাস রাখা উচিত। আখিরাতে তার পানি পান করতে পারা অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেই সৌভাগ্য তারই নসিব হবে, যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অনুযায়ী জীবনযাপন করবে।
বোঝা গেল, সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে ধৈর্যধারণ করতে পারলে তার পুরস্কার হচ্ছে আখিরাতে হাওযে কাউসারে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাক্ষাতলাভ এবং তাঁর হাতে হাওযে কাউসারের পানি পান করতে পারা। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সেই সৌভাগ্য দান করুন।
হাওযে কাউসার
‘হাওযে কাউসার’ আখিরাতের একটি বিশাল জলাশয়ের নাম। তার দৈর্ঘ্য উদয়াচল থেকে অস্তাচলের দূরত্ব পরিমাণ। তার পানি দুধের চেয়ে সাদা, মধুর চেয়ে মিষ্ট। বিভিন্ন হাদীছে হাওযে কাউসারের বিভিন্ন অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। নিচে কয়েকটি হাদীছ উল্লেখ করা গেল।
ইমাম মুসলিম রহ. হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ তাঁর কিছুটা তন্দ্রাভাব দেখা দেয়। তারপর তিনি মুচকি হাসি দিয়ে মাথা তুললেন। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি হাসছেন কেন? তিনি বললেন, এইমাত্র আমার প্রতি একটি সূরা নাযিল হয়েছে। তারপর তিনি বিসমিল্লাহর সাথে সূরা কাউসার পাঠ করলেন। তারপর বললেন, তোমরা কি জান কাউসার কী? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, এটা একটা নহর। আমার প্রতিপালক আমাকে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন। এর কল্যাণ প্রভূত।কিয়ামতের দিন এ হাওযের তীরে আমার উম্মত উপস্থিত হবে। এর পানপাত্র আকাশের তারকারাজির মত (অসংখ্য হবে)। কোনও কোনও বান্দাকে এর কাছে আসতে বাধা দেওয়া হবে। আমি বলব, হে আমার রব্ব্! এরা তো আমার উম্মত। তিনি বলবেন, আপনি জানেন না। আপনার পর এরা কী সব কাণ্ড করেছে।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আনাস রাযি. সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
دَخَلْتُ الْجَنَّةَ ، فَإِذَا أَنَا بِنَهْرٍ حَافَتَاهُ خِيَامُ اللُّؤْلُؤِ ، فَضَرَبْتُ بِيَدِي إِلَى مَا يَجْرِي فِيهِ الْمَاءُ ، فَإِذَا مِسْكٌ أَذْفَرُ ، قُلْتُ مَا هَذَا يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَذَا الْكَوْثَرُ الَّذِي أَعْطَاكَهُ اللَّهُ
‘আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম। সেখানে একটি নহর দেখতে পেলাম, যার দু'তীরে মণিমুক্তার ছাউনী। আমি তার প্রবাহে হাত রাখলাম। দেখলাম তা খাঁটি মিস্ক। আমি বললাম, হে জিবরাঈল এটা কী? তিনি বললেন, এটাই কাউসার, যা আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন।”
তিরমিযী শরীফে হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
هُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ، وَأَحْلَى مِنَ العَسَلِ، فِيهِ طُيُورٌ أَعْنَاقُهَا كَأَعْنَاقِ الجُزُرِ، قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّهَا لَنَاعِمَةٌ، قَالَ: آكِلُهَا أَنْعَمُ مِنْهَا
‘তা দুধের চেয়েও সাদা, মধুর চেয়েও মিষ্টি। তাতে উটের গলার মত গলাবিশিষ্ট পাখি আছে। একথা শুনে হযরত উমর রাযি. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা তো ভারী উপভোগের হবে। তিনি বললেন, যারা তা খাবে, তারা অনেক বেশি সুখী হবে।
হাওযে কাউসার সংক্রান্ত হাদীছ প্রচুর। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রাযি., হযরত ‘উমর ফারূক রাযি. হযরত উছমান গনী রাযি. ও হযরত আলী রাযি.-সহ পঞ্চাশেরও বেশি সংখ্যক সাহাবী থেকে হাওযে কাউসারের কথা বর্ণিত আছে। ইমাম সুয়ূতী রহ ‘বুদুরুস-সাফিরা' গ্রন্থে এ সম্পর্কিত প্রায় সত্তরটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
এ বরকতময় হাওয থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে যারা পানি পান করবে, আল্লাহ তা'আলা নিজ মেহেরবানীতে আমাদেরকেও তাদের মধ্যে শামিল রাখুন- আমীন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. নিজ স্বার্থহানিতে ধৈর্যধারণ হাওযে কাউসারের পানি পানের সৌভাগ্য লাভ হওয়ার একটি বড় উপায়।
খ. হাওযে কাউসার সত্য। তাতে বিশ্বাস রাখা উচিত। আখিরাতে তার পানি পান করতে পারা অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেই সৌভাগ্য তারই নসিব হবে, যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অনুযায়ী জীবনযাপন করবে।
