কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
হাদীস নং: ৩৯৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫২
সংঘটিতব্য ফিতনা
৩৯৫২। হিশাম ইব্ন আম্মার (রাযিঃ)....রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার জন্য যমীন (ভূপৃষ্ঠ) কে সংকোচন করা হলো, এমন কি আমি তার পূর্ব-পশ্চিম গোলার্ধের সবকিছু দেখলাম। আমাকে দু'টো কোষাগার ( ধন-রত্ন ভান্ডার) দেওয়া হয়েছে-হলুদ (অথবা রাবীর সন্দেহ লাল) এবং সাদা (অর্থাৎ স্বর্ণমুদ্রা এবং রৌপ্যমুদ্রা) আমাকে বলা হলো যে, আপনার রাজত্ব সেই সীমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, যতদূর পর্যন্ত আপনার জন্য ভূ-পৃষ্ঠকে সংকোচন করে দেখানো হয়েছে। অতঃপর আমি মহান আল্লাহ সকাশে তিনবার আরয করলাম, যেন আমার উম্মাতকে ব্যাপকভাবে দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস করা না হয় এবং তাদেরকে দল-উপদলে বিভক্ত না করার জন্য আবেদন জানালাম, সর্বোপরি তাদের একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারটিও নিবেদন করলাম। কিন্তু আমাকে বলা হলো যে, আমি যখন কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, তা প্রত্যাখ্যাত হয় না। তবে আমি আপনার উম্মাতকে ক্ষুধা-পীড়িত করে ধ্বংস করবো না, তাদের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বের বিরোধী শক্তিকে একত্র করবো না। তবে তারা পরস্পরে সংঘর্ষে মশগুল হয়ে যাবে এবং একে অপরকে হত্যা করবে। আর যখন আমার উম্মাতেরা অস্ত্রধারণ করবে, তখন কিয়ামত পর্যন্ত সে তলোয়ার থামবে না। আমি আমার উম্মাতের উপরে সর্বাপেক্ষা অধিক আশংকা করছি পথভ্রষ্ট নেতৃবৃন্দ থেকে। অদূর ভবিষ্যতে আমার উম্মাতের কোন কোন শ্রেণী প্রতীমা পূজায় লিপ্ত হবে। অচিরেই আমাদের কতিপয় লোক মুশরিকদের সাথে আঁতাত করবে এবং কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে ত্রিশজনের মত মিথ্যাবাদী দাজ্জালের অভ্যুদয় ঘটবে। তারা প্রত্যেকেই নিজকে নবী বলে দাবি করবে। আমার উম্মাতের মধ্যে একটা দল, সর্বক্ষণ সত্যের উপর বিজয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে। মহান আল্লাহর চূড়ান্ত মীমাংসা (অর্থাৎ কিয়ামত সংঘটিত) হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধাবাদীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আবুল হাসান (রাহঃ) বলেন, তঃপর আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) এই হাদীস বর্ণনা শেষে বললেনঃ কতই না ভয়াবহ এই হাদীস।
আবুল হাসান (রাহঃ) বলেন, তঃপর আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) এই হাদীস বর্ণনা শেষে বললেনঃ কতই না ভয়াবহ এই হাদীস।
بَاب مَا يَكُونُ مِنْ الْفِتَنِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ الْجَرْمِيِّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " زُوِيَتْ لِيَ الأَرْضُ حَتَّى رَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الأَصْفَرَ - أَوِ الأَحْمَرَ - وَالأَبْيَضَ - يَعْنِي الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ - وَقِيلَ لِي إِنَّ مُلْكَكَ إِلَى حَيْثُ زُوِيَ لَكَ وَإِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ ثَلاَثًا أَنْ لاَ يُسَلِّطَ عَلَى أُمَّتِي جُوعًا فَيُهْلِكَهُمْ بِهِ عَامَّةً وَأَنْ لاَ يَلْبِسَهُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَهُمْ بَأْسَ بَعْضٍ وَإِنَّهُ قِيلَ لِي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً فَلاَ مَرَدَّ لَهُ وَإِنِّي لَنْ أُسَلِّطَ عَلَى أُمَّتِكَ جُوعًا فَيُهْلِكَهُمْ فِيهِ وَلَنْ أَجْمَعَ عَلَيْهِمْ مَنْ بَيْنَ أَقْطَارِهَا حَتَّى يُفْنِيَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا وَيَقْتُلَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا . وَإِذَا وُضِعَ السَّيْفُ فِي أُمَّتِي فَلَنْ يُرْفَعَ عَنْهُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَإِنَّ مِمَّا أَتَخَوَّفُ عَلَى أُمَّتِي أَئِمَّةً مُضِلِّينَ وَسَتَعْبُدُ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي الأَوْثَانَ وَسَتَلْحَقُ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي بِالْمُشْرِكِيِنَ وَإِنَّ بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ دَجَّالِينَ كَذَّابِينَ قَرِيبًا مِنْ ثَلاَثِينَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ وَلَنْ تَزَالَ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ مَنْصُورِينَ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " . قَالَ أَبُو الْحَسَنِ لَمَّا فَرَغَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ مَا أَهْوَلَهُ .


বর্ণনাকারী: