কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৩৪. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
হাদীস নং: ৩৯৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩১
মু'মিনের জান-মালের মর্যাদা
৩৯৩১। হিশাম ইব্ন আম্মার (রাহঃ)...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জের সময় বলেছেনঃ সাবধান! তোমাদের এই দিন সর্বাপেক্ষা সম্মানীত দিন, সাবধান! তোমাদের এই মাস সর্বাপেক্ষা সম্মানীত মাস, সাবধান! তোমাদের এই শহর সর্বাপেক্ষা সম্মানীত শহর! সাবধান! তোমাদের জীবন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের ইযযত আবরু তোমাদের পরস্পরের কাছে এমন পবিত্র, যেমন এই দিন, এই মাস ও এই শহর। জেনে রাখ। আমি কি (আল্লাহর পয়গাম) পৌঁছে দিয়েছি? সমবেত জনমণ্ডলী বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন।
بَاب حُرْمَةِ دَمِ الْمُؤْمِنِ وَمَالِهِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ " أَلاَ إِنَّ أَحْرَمَ الأَيَّامِ يَوْمُكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنَّ أَحْرَمَ الشُّهُورِ شَهْرُكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنَّ أَحْرَمَ الْبَلَدِ بَلَدُكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ " . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ " اللَّهُمَّ اشْهَدْ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ফযীলতপূর্ণ যিলহজ্ব মাস:
হাদীসে সম্মানিত মাস দ্বারা যিলহজ্ব উদ্দেশ্য।
হিজরী বর্ষের সর্বশেষ মাস যিলহজ্ব। বড়ই ফযীলত পূর্ণ মাস এটি।
‘আশহুরে হুরুম’ তথা ইসলামের সম্মানিত চার মাসের অন্যতম এই যিলহজ্ব মাস। পবিত্র কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেন-
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِیْ كِتٰبِ اللهِ یَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ مِنْهَاۤ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذٰلِكَ الدِّیْنُ الْقَیِّمُ.
আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকেই মাসসমূহের গণনা আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর বিধান মতে বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। -সূরা তাওবা (৯) : ৩৬
আর এ চার মাসের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল যিলহজ্ব মাস। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
أَلَا وَإِنّ أَحْرَمَ الشّهُورِ شَهْرُكُمْ هَذَا.
জেনে রেখো! সবচেয়ে সম্মানিত মাস হল, তোমাদের এই মাস (যিলহজ্ব)। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৯৩১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১১৭৬২
তাই ইসলামের দৃষ্টিতে এ মাস খুবই মহিমান্বিত ও তাৎপর্যমণ্ডিত।
এ মাসেই পালিত হয় ইসলামের মহান দুটি শিআর (নিদর্শন)- হজ্ব ও কুরবানী।
এ মাস হজ্বের মাস, কুরবানীর মাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ মাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হজ্বের বিধান রেখেছেন, যা ইসলামের পঞ্চম রুকন।এ মাসের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ইবাদত কুরবানী, যা ইসলামের নিদর্শনসমূহের অন্যতম।
৮ই যিলহজ্ব থেকে ১২ই যিলহজ্ব পর্যন্ত হজ্বের যাবতীয় বিধি-বিধান আদায় করে থাকেন হাজ্বী সাহেবগন এবং ১০ই যিলহজ্ব উদযাপিত হয় বার্ষিক দুটি ঈদের দ্বিতীয়টি তথা ঈদুল আযহা, এদিন সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমেরা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানী করে থাকি।
এমাসে আরো রয়েছে- ইয়াওমু আরাফা, আইয়ামে তাশরীক এবং যিলহজ্বের ফযীলতপূর্ণ প্রথম দশক।
হাদীসে সম্মানিত মাস দ্বারা যিলহজ্ব উদ্দেশ্য।
হিজরী বর্ষের সর্বশেষ মাস যিলহজ্ব। বড়ই ফযীলত পূর্ণ মাস এটি।
‘আশহুরে হুরুম’ তথা ইসলামের সম্মানিত চার মাসের অন্যতম এই যিলহজ্ব মাস। পবিত্র কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেন-
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِیْ كِتٰبِ اللهِ یَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ مِنْهَاۤ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذٰلِكَ الدِّیْنُ الْقَیِّمُ.
আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকেই মাসসমূহের গণনা আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর বিধান মতে বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। -সূরা তাওবা (৯) : ৩৬
আর এ চার মাসের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল যিলহজ্ব মাস। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
أَلَا وَإِنّ أَحْرَمَ الشّهُورِ شَهْرُكُمْ هَذَا.
জেনে রেখো! সবচেয়ে সম্মানিত মাস হল, তোমাদের এই মাস (যিলহজ্ব)। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৯৩১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১১৭৬২
তাই ইসলামের দৃষ্টিতে এ মাস খুবই মহিমান্বিত ও তাৎপর্যমণ্ডিত।
এ মাসেই পালিত হয় ইসলামের মহান দুটি শিআর (নিদর্শন)- হজ্ব ও কুরবানী।
এ মাস হজ্বের মাস, কুরবানীর মাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ মাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হজ্বের বিধান রেখেছেন, যা ইসলামের পঞ্চম রুকন।এ মাসের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ইবাদত কুরবানী, যা ইসলামের নিদর্শনসমূহের অন্যতম।
৮ই যিলহজ্ব থেকে ১২ই যিলহজ্ব পর্যন্ত হজ্বের যাবতীয় বিধি-বিধান আদায় করে থাকেন হাজ্বী সাহেবগন এবং ১০ই যিলহজ্ব উদযাপিত হয় বার্ষিক দুটি ঈদের দ্বিতীয়টি তথা ঈদুল আযহা, এদিন সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমেরা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানী করে থাকি।
এমাসে আরো রয়েছে- ইয়াওমু আরাফা, আইয়ামে তাশরীক এবং যিলহজ্বের ফযীলতপূর্ণ প্রথম দশক।


বর্ণনাকারী: