আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯২
১৯৪১. খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) নির্ধারিত হওয়া
২৮৭৪। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... উম্মূল মু'মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)- এর নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইন্‌তিকালের পর তাঁর মিরাস বন্টনের দাবী করেন। যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফায় (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) হিসাবে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক তাঁকে প্রদত্ত সম্পদ থেকে রেখে গেছেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘আমাদের পরিত্যাক্ত সম্পদ বন্টিত হবে না আমরা যা ছেড়ে যাই, তা সাদ্‌কা রূপে গণ্য হয়।’ এতে ফাতিমা বিনতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অসন্তুষ্ট হলেন এবং আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)- এর সঙ্গে কথাবার্তা বলা ছেড়ে দিলেন। এ অবস্থা তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত বহাল ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ওফাতের পর ফাতিমা (রাযিঃ) ছয় মাস জীবিত ছিলেন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, ফাতিমা (রাযিঃ) আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর নিকট রাসূল (ﷺ) কর্তৃক ত্যাজ্য খায়বার ও ফাদাকের ভূমি এবং মদীনার সাদ্‌কাতে তাঁর অংশ দাবী করেছিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) তাঁকে তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানান এবং তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা আমল করতেন, আমি তাই আমল করব। আমি তাঁর কোন কিছুই ছেড়ে দিতে পারি না। কেননা আমি আশঙ্কা করি যে, তাঁর কোন কথা ছেড়ে দিয়ে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে না যাই। অবশ্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর মদীনার সাদ্‌কাকে উমর (রাযিঃ) তা আলী ও আব্বাস (রাযিঃ)- কে হস্তান্তর করেন। আর খায়বার ও ফাদাকের ভূমিকে পূর্ববৎ রেখে দেন।
উমর (রাযিঃ) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ সম্পত্তি দু’টিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জরুরী প্রয়োজন পূরণ ও বিপথকালীন সময়ে ব্যয়ের জন্য রেখেছিলেন। সুতরাং এ সম্পত্তি দু’টি তারই দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে, যিনি মুসলমানদের শাসন ক্ষমতার অধিকারী খলীফা হবেন।’ যুহরী (রাহঃ) বলেন, এ সম্পত্তি দু’টির ব্যবস্থাপনা অদ্যাবধি সেরূপই রয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন