আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪১
১৯০৭. যে ব্যক্তি শত্রু দেখে উচ্চস্বরে বলে, ““বিপদ আসন্ন!”” যাতে লোকদেরকে তা শুনাতে পারে
২৮২৭। মক্কী ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি গাবাহ নামক স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে বের হলাম। যখন আমি গাবাহর উচ্চস্থানে পৌঁছলাম, সেখানে আমার সাথে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ)- এর গোলামের সাক্ষাত হল। আমি বললাম, আশ্চর্য! তোমার কি হয়েছে? সে বলল, নবী (ﷺ)- এর দুগ্ধবতী উটনীগুলো ছিনতাই হয়েছে। আমি বললাম, কারা ছিনতাই করেছে? সে বলল, গাতফান ও ফাযারাহ গোত্রের লোকেরা। তখন আমি বিপদ, বিপদ বলে তিনবার চিৎকার দিলাম। আর মদীনার দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে যতলোক ছিল সকলকে আওয়াজ শুনিয়ে দিলাম। এরপর আমি দ্রুত ছুটে গিয়ে ছিনতাইকারীদের পেয়ে গেলাম। তারা উটনীগুলোকে নিয়ে যাচ্ছিল।
আমি তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করতে থাকলাম। আর বলতে লাগলাম, আমি আকওয়ায়ের পুত্র (সালামা) আর আজ কমিনাদের ধ্বংসের দিন। আমি তাদের থেকে উটগুলো ছিনিয়ে নিলাম, তখনও তারা পানি পান করতে পারেনি। আর আমি সেগুলোকে হাকিয়ে নিয়ে আসছিলাম। এ সময় নবী (ﷺ)- এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকগুলো পিপাসার্ত। আমি এত দ্রুততার সাথে কাজ সেরেছি যে, তারা পানি পান করার অবকাশ পায়নি। শীঘ্র তাদের পেছনে সৈন্য পাঠিয়ে দিন। তখন তিনি বললেন, ‘হে ইবনে আকওয়া! তুমি তাদের উপর জয়ী হয়েছ, এখন তাদের ব্যাপার ছাড়। তারা তাদের গোত্রের নিকট পৌঁছে গেছে, তথায় তাদের আতিথেয়তা হচ্ছে।’
আমি তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করতে থাকলাম। আর বলতে লাগলাম, আমি আকওয়ায়ের পুত্র (সালামা) আর আজ কমিনাদের ধ্বংসের দিন। আমি তাদের থেকে উটগুলো ছিনিয়ে নিলাম, তখনও তারা পানি পান করতে পারেনি। আর আমি সেগুলোকে হাকিয়ে নিয়ে আসছিলাম। এ সময় নবী (ﷺ)- এর সাথে আমার সাক্ষাত হয়, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকগুলো পিপাসার্ত। আমি এত দ্রুততার সাথে কাজ সেরেছি যে, তারা পানি পান করার অবকাশ পায়নি। শীঘ্র তাদের পেছনে সৈন্য পাঠিয়ে দিন। তখন তিনি বললেন, ‘হে ইবনে আকওয়া! তুমি তাদের উপর জয়ী হয়েছ, এখন তাদের ব্যাপার ছাড়। তারা তাদের গোত্রের নিকট পৌঁছে গেছে, তথায় তাদের আতিথেয়তা হচ্ছে।’
باب مَنْ رَأَى الْعَدُوَّ فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ يَا صَبَاحَاه حَتَّى يُسْمِعَ النَّاسَ
3041 - حَدَّثَنَا المَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ قَالَ: خَرَجْتُ مِنَ المَدِينَةِ ذَاهِبًا نَحْوَ الغَابَةِ، حَتَّى إِذَا كُنْتُ بِثَنِيَّةِ الغَابَةِ، لَقِيَنِي غُلاَمٌ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، قُلْتُ: وَيْحَكَ مَا بِكَ؟ قَالَ: أُخِذَتْ لِقَاحُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: مَنْ أَخَذَهَا؟ قَالَ: غَطَفَانُ، وَفَزَارَةُ فَصَرَخْتُ ثَلاَثَ صَرَخَاتٍ أَسْمَعْتُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا: يَا صَبَاحَاهْ يَا صَبَاحَاهْ، ثُمَّ انْدَفَعْتُ حَتَّى أَلْقَاهُمْ، وَقَدْ أَخَذُوهَا، فَجَعَلْتُ أَرْمِيهِمْ، وَأَقُولُ:
أَنَا ابْنُ الأَكْوَعِ ... وَاليَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
فَاسْتَنْقَذْتُهَا مِنْهُمْ قَبْلَ أَنْ يَشْرَبُوا، فَأَقْبَلْتُ بِهَا أَسُوقُهَا، فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:67]، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ القَوْمَ عِطَاشٌ، وَإِنِّي أَعْجَلْتُهُمْ أَنْ يَشْرَبُوا سِقْيَهُمْ، فَابْعَثْ فِي إِثْرِهِمْ، فَقَالَ: " يَا ابْنَ الأَكْوَعِ: مَلَكْتَ، فَأَسْجِحْ إِنَّ القَوْمَ يُقْرَوْنَ فِي قَوْمِهِمْ "
أَنَا ابْنُ الأَكْوَعِ ... وَاليَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
فَاسْتَنْقَذْتُهَا مِنْهُمْ قَبْلَ أَنْ يَشْرَبُوا، فَأَقْبَلْتُ بِهَا أَسُوقُهَا، فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:67]، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ القَوْمَ عِطَاشٌ، وَإِنِّي أَعْجَلْتُهُمْ أَنْ يَشْرَبُوا سِقْيَهُمْ، فَابْعَثْ فِي إِثْرِهِمْ، فَقَالَ: " يَا ابْنَ الأَكْوَعِ: مَلَكْتَ، فَأَسْجِحْ إِنَّ القَوْمَ يُقْرَوْنَ فِي قَوْمِهِمْ "


বর্ণনাকারী: