আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৯৩
১৮১৪. যুদ্ধে যে ব্যক্তি খেদমতের জন্য কিশোর নিয়ে যায়
২৬৯৪। কুতাইবা (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) আবু তালহাকে বলেন, তোমাদের ছেলেদের মধ্য থেকে একটি ছেলে খুঁজে আন, যে আমার খেদমত করতে পারে। এমনকি তাকে আমি খায়বারেও নিয়ে যেতে পারি। তারপর আবু তালহা (রাযিঃ) আমাকে তাঁর সাওয়ারীর পেছনে বসিয়ে নিয়ে চললেন। আমি তখন প্রায় সাবালক। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর খেদমত করতে লাগলাম। তিনি যখন অবতরণ করতেন, তখন প্রায়ই তাকে এই দু‘আ করতে শুনতামঃ ‘ইয়া আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাচ্ছি।’ পরে আমরা খায়বারে গিয়ে উপস্থিত হলাম। তারপর যখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে দুর্গের উপর বিজয়ী করলেন, তখন তাঁর কাছে সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই ইবনে আখতাবের সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করা হল, তিনি ছিলেন সদ্য বিবাহিতা; তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে নিজের জন্য মনোনীত করলেন। তারপর তাঁকে নিয়ে রওয়ানা দিলেন।
আমরা যখন সাদ্দুস সাহবা নামক স্থানে পৌঁছলাম তখন সাফিয়্যা (রাযিঃ) হায়য থেকে পবিত্র হন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে তাঁর সাথে বাসর যাপন করেন। এরপর তিনি চামড়ার ছোট দস্তরখানে ‘হায়সা’ (এক প্রকার খাদ্য) প্রস্তুত করে আমাকে আশেপাশের লোকজনকে ডাকার নির্দেশ দিলেন। এই ছিল রাসূল (ﷺ)- এর সাথে সাফিয়্যার বিয়ের ওয়ালীমা। তারপর আমরা মদীনার দিকে রওয়ানা দিলাম। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি দেখতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পেছনে চাঁদর দিয়ে সাফিয়্যাকে পর্দা করছেন। উঠানামার প্রয়োজন হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উটের কাছে হাঁটু বাড়িয়ে বসতেন, আর সাফিয়্যা (রাযিঃ) তাঁর উপর পা রেখে উটে আরোহণ করতেন। এভাবে আমরা মদীনার নিকটবর্তী হলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উহুদের দিকে তাকিয়ে বললেন, এটি এমন একটি পাহাড় যা আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাঁকে ভালবাসি। তারপর মদীনার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ইয়া আল্লাহ, এই কংকরময় দুটি ময়দানের মধ্যবর্তী স্থানকে আমি ‘হারাম’(সম্মানিত স্থান) বলে ঘোষণা করছি। যেমন ইব্রাহীম (আ) মক্কাকে 'হারাম' (সম্মানিত স্থান) ঘোষণা করেছিলেন। ইয়া আল্লাহ! আপনি তাদের মুদ এবং সা‘তে বরকত দান করুন।’
আমরা যখন সাদ্দুস সাহবা নামক স্থানে পৌঁছলাম তখন সাফিয়্যা (রাযিঃ) হায়য থেকে পবিত্র হন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে তাঁর সাথে বাসর যাপন করেন। এরপর তিনি চামড়ার ছোট দস্তরখানে ‘হায়সা’ (এক প্রকার খাদ্য) প্রস্তুত করে আমাকে আশেপাশের লোকজনকে ডাকার নির্দেশ দিলেন। এই ছিল রাসূল (ﷺ)- এর সাথে সাফিয়্যার বিয়ের ওয়ালীমা। তারপর আমরা মদীনার দিকে রওয়ানা দিলাম। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি দেখতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পেছনে চাঁদর দিয়ে সাফিয়্যাকে পর্দা করছেন। উঠানামার প্রয়োজন হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উটের কাছে হাঁটু বাড়িয়ে বসতেন, আর সাফিয়্যা (রাযিঃ) তাঁর উপর পা রেখে উটে আরোহণ করতেন। এভাবে আমরা মদীনার নিকটবর্তী হলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উহুদের দিকে তাকিয়ে বললেন, এটি এমন একটি পাহাড় যা আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাঁকে ভালবাসি। তারপর মদীনার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ইয়া আল্লাহ, এই কংকরময় দুটি ময়দানের মধ্যবর্তী স্থানকে আমি ‘হারাম’(সম্মানিত স্থান) বলে ঘোষণা করছি। যেমন ইব্রাহীম (আ) মক্কাকে 'হারাম' (সম্মানিত স্থান) ঘোষণা করেছিলেন। ইয়া আল্লাহ! আপনি তাদের মুদ এবং সা‘তে বরকত দান করুন।’
