আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৩- সন্ধি - আপোষরফা সংক্রান্ত অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৭০৬
১৬৮২. আপোষ মীমাংসার ব্যাপারে ইমাম পরামর্শ দিবেন কি?
২৫২৫। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... কাব ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আবু হাদরাদ আল-আসলামীর কাছে তার কিছু মাল পাওনা ছিল। রাবী বলেন, একবার সাক্ষাত পেয়ে তিনি তাকে ধরলেন, এমনকি তাদের আওয়াজ চড়ে গেল। নবী (ﷺ) তাদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি যেন হাতের ইশারায় বলছিলেন, অর্ধেক (নাও)। তারপর তিনি তার পাওনার অর্ধেক নিলেন আর অর্ধেক ছেড়ে (মাফ করে) দিলেন।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাওনাদার কা'ব ইবনে মালিক রাযি.-কে তার পাওনার অর্থ থেকে অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাও স্পষ্ট মুখের কথায় নয়, কেবল হাতের ইশারায়। হযরত কা'ব রাযি.-ও বিনাবাক্যে সে পরামর্শ মেনে নিয়েছেন। এর দ্বারা যেমন হযরত কা'ব রাযি.-এর বুদ্ধিমত্তা ও আনুগত্যপ্রিয়তার পরিচয় পাওয়া যায়, তেমনি এ শিক্ষাও লাভ হয় যে, দেনাদার অসচ্ছল হলে পাওনাদারের উচিত তার প্রতি সদয় ব্যবহার করা এবং সম্ভব হলে কিছুটা ছাড়ও দেওয়া।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছ দ্বারা সাহাবায়ে কেরাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা অনুসরণে কেমন তৎপর ছিলেন সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আমাদেরও উচিত হাদীছের শিক্ষা অনুসরণে তাদের সে তৎপরতা রপ্ত করা।

খ. এ হাদীছ দ্বারা বিরোধ নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করা যায়। কোনও কলহ-বিবাদ সম্পর্কে জানতে পারলে আমাদের কর্তব্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা নিরসনে ভূমিকা রাখা।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন