আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪১- হিবা তথা উপহার প্রদান, এর ফযীলত ও এতে উৎসাহ প্রদান

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৬০৭
১৬২৮. একদল অপর দলকে অথবা এক ব্যক্তি এক দলকে দান করলে তা জায়েয
২৪৩৪। ইয়াহইয়া ইবনে বুকায়ব (রাহঃ) .... মারওয়ান ইবনে হাকাম (রাহঃ) ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা ইসলাম গ্রহণের পর প্রতিনিধি হিসাবে নবী (ﷺ) এর কাছে এল এবং তাদের সম্পদ ও যুদ্ধবন্দী ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে বললেন, তোমরা দেখতে পাচ্ছ আমার সঙ্গে আরো লোক আছে। আমার নিকট সত্য কথা হল অধিক প্রিয়। তোমরা যুদ্ধবন্দী অথবা সম্পদ এ দুয়ের একটি বেছো নাও। আমিতো তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। (রাবী বলেন) নবী (ﷺ) তায়েফ থেকে ফিরে প্রায় দশ রাত তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। যখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, নবী (ﷺ) দু’টির যেকোন একটিই শুধু তাদের ফিরিয়ে দিবেন, তখন তারা বলল, তবে তো আমরা আমাদের বন্দী (স্বজন)-দেরই পছন্দ করব।
তারপর তিনি মুসলিমদের সামনে দাঁড়ালেন এবং আল্লাহার যথাযোগ্য প্রশংসা করে বললেন, আম্মাবাদ। তোমাদের এই ভায়েরা তাওবা করে আমাদের কাছে এসেছে, আর আমি তাদেরকে তাদের বন্দী (স্বজনদের) ফিরিয়ে দেওয়া সঙ্গত মনে করছি, কাজেই তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া পছন্দ করে, তারা যেন তা করে। আর যারা নিজেদের হিসসা পেতে পছন্দ করে এরূপভাবে যে, আল্লাহ আমাকে প্রথমে যে, ফায় সম্পদ দান করবেন, তা থেকে তাদের প্রাপ্য অংশ আদায় করে দিব, তারা যেন তা করে। সকলেই তখন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সন্তুষ্টচিত্তে তা মেনে নিলাম।
তিনি তাদের বললেন, তোমাদের মধ্যে কারা অনুমতি দিলে আর কারা দিলে না, তা-তো আমি বুঝতে পারলাম না। কাজেই তোমরা ফিরে যাও। তোমাদের নেতারা তোমাদের মতামত আমার কাছে পেশ করবে। তারপর লোকেরা ফিরে গেলো এবং তাদের নেতারা তাদের সাথে আলোচনা করল। পরে তারা নবী (ﷺ) এর কাছে ফিরে এসে তাকে জানাল যে, সন্তুষ্টচিত্তে অনুমতি দিয়েছে। হাওয়াযিনের বন্দী সম্পর্কে আমাদের কাছে এতটুকুই পৌছেছে। আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, এই শেষ অংশটুকু ইমাম যুহরী (রাহঃ) এর বক্তব্য।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন