আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৩৯- দাসমুক্তির অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৩৩
১৫৮৯. উম্মুল ওয়ালাদ* প্রসঙ্গ। আবু হুরায়রা (রা.) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের একটি আলামত এই যে, বাঁদী তার মুনিবকে প্রসব করবে।
* শাব্দিক অর্থ সন্তানের মা, পরিভাষায় যে বাঁদী প্রভুর ঔরসজাত সন্তান প্রসব করেছে। ইসলামী ফিকাহর বিধান মুতাবিক উম্মুল ওয়ালাদকে বিক্রি করা যায় না এবং প্রভুর মৃত্যুর পর আপনা আপনি সে আযাদ হয়ে যাবে।
২৩৬৬ আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উতবা ইবনে আবু ওয়াক্কাস আপন ভাই সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাসকে ওসীয়্যত করেছিলেন, তিনি যেন যাম’আর দাসীর গর্ভজাত পুত্রকে গ্রহণ করেন (কারণ স্বরূপ) উতবা বলেছিলেন, সে আমার (ঔরসজাত) পুত্র। মক্কা বিজয়কালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মক্কায় তাশরীফ আনলেন, তখন সা’দ যাম’আর দাসীর পুত্রকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে আসলেন এবং তার সাথে আব্দ ইবনে যাম’আকে নিয়ে আসলেন। সা’দ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এতো আমার ভাতিজা। আমার ভাই বলেছেন যে, সে তার ছেলে। আব্দ ইবনে যাম’আর বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ আমার ভাই, যাম’আর পুত্র। তার শয্যাতেই এ জন্ম নিয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন যাম’আর দাসীর পুত্রের দিকে তাকালেন। দেখলেন, উতবার সাথেই তার (আদলের) সর্বাধিক মিল। তবু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আব্দ ইবনে যামা’আ! এ-তোমারই (ভাই), কেননা-এ তার (আব্দ ইবনে যামআর) শয্যাতে জন্মগ্রহণ করেছে। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে সাওদা বিনতে যামআ! তুমি এ থেকে পর্দা করবে। কেননা তিনি উতবার সাথেই তার (চেহারার) মিল দেখতে পেয়েছিলেন। সাওদা ছিলেন নবী (ﷺ)- এর স্ত্রী।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন