কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
হাদীস নং: ২৯৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬১
তাওয়াফ শেষে দু’রাকআত নামায আদায়ের পর কথা বলা
২৯৬৪. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল হাকাম (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাতবার বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেন, তার মধ্যে তিনি তিনবার রমল করেন, আর চারবার সাধারণভাবে চলেন। তারপর মাকামে ইবরাহীমের নিকট দাঁড়িয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করেন এবং তিনি তিলাওয়াত করেনঃ (وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى) অর্থঃ তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থান হিসেবে গ্রহণ কর। (সূরা বাকারাঃ ১২৫) লোকদের শুনাবার জন্য তিনি উচ্চস্বরে এরূপ পাঠ করেন। তারপর তিনি ফিরে এসে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন। এরপর (সাফা-এর দিকে) গেলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ যা হতে আরম্ভ করেছেন আমরাও তা থেকে আরম্ভ করবো। এরপর তিনি সাফা হতে আরম্ভ করেন এবং এর উপর আরোহণ করেন। এ সময় কাবা তার দৃষ্টিগােচর হলে তিনি তিনবার বলেনঃ
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থঃ “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, নেই তার কোন শরীক, রাজত্ব তারই, প্রশংসা তারই, তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান, তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
এরপর তিনি ’আল্লাহু আকবার’ বলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং যা তিনি নির্ধারিত ছিল তার জন্য তিনি দুআ করেন। এরপর তিনি পায়ে হেঁটে নেমে আসেন। এমন কি তার পদদ্বয় বাতনে মাসিলে স্থির হলাে। তারপর তিনি দ্রুত হেঁটে চলেন, যাতে তার উভয় পা উঠে যেত। পরে তিনি স্বাভাবিকভাবে হেঁটে মারওয়া পাহাড়ে পৌছে তাতে আরোহণ করেন। এবারও বায়তুল্লাহ তার দৃষ্টিগোচর হলো, তিনি তিনবার বলেনঃ (لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) দুআর পর তিনি আল্লাহকে স্মরণ করলেন এবং হামদ ও সানা আদায় করলেন। এখানেও তিনি আল্লাহ যা নির্ধারিত করেছেন সেভাবে দুআ করেন। এভাবে তিনি তাওয়াফ সমাপ্ত করেন।
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থঃ “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, নেই তার কোন শরীক, রাজত্ব তারই, প্রশংসা তারই, তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান, তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
এরপর তিনি ’আল্লাহু আকবার’ বলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং যা তিনি নির্ধারিত ছিল তার জন্য তিনি দুআ করেন। এরপর তিনি পায়ে হেঁটে নেমে আসেন। এমন কি তার পদদ্বয় বাতনে মাসিলে স্থির হলাে। তারপর তিনি দ্রুত হেঁটে চলেন, যাতে তার উভয় পা উঠে যেত। পরে তিনি স্বাভাবিকভাবে হেঁটে মারওয়া পাহাড়ে পৌছে তাতে আরোহণ করেন। এবারও বায়তুল্লাহ তার দৃষ্টিগোচর হলো, তিনি তিনবার বলেনঃ (لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) দুআর পর তিনি আল্লাহকে স্মরণ করলেন এবং হামদ ও সানা আদায় করলেন। এখানেও তিনি আল্লাহ যা নির্ধারিত করেছেন সেভাবে দুআ করেন। এভাবে তিনি তাওয়াফ সমাপ্ত করেন।
الْقَوْلُ بَعْدَ رَكْعَتَيْ الطَّوَافِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ عَنْ شُعَيْبٍ قَالَ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ الْهَادِ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا رَمَلَ مِنْهَا ثَلَاثًا وَمَشَى أَرْبَعًا ثُمَّ قَامَ عِنْدَ الْمَقَامِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَرَأَ وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى وَرَفَعَ صَوْتَهُ يُسْمِعُ النَّاسَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَاسْتَلَمَ ثُمَّ ذَهَبَ فَقَالَ نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ فَبَدَأَ بِالصَّفَا فَرَقِيَ عَلَيْهَا حَتَّى بَدَا لَهُ الْبَيْتُ فَقَالَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ فَكَبَّرَ اللَّهَ وَحَمِدَهُ ثُمَّ دَعَا بِمَا قُدِّرَ لَهُ ثُمَّ نَزَلَ مَاشِيًا حَتَّى تَصَوَّبَتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْمَسِيلِ فَسَعَى حَتَّى صَعِدَتْ قَدَمَاهُ ثُمَّ مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ فَصَعِدَ فِيهَا ثُمَّ بَدَا لَهُ الْبَيْتُ فَقَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ قَالَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ ذَكَرَ اللَّهَ وَسَبَّحَهُ وَحَمِدَهُ ثُمَّ دَعَا عَلَيْهَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ فَعَلَ هَذَا حَتَّى فَرَغَ مِنْ الطَّوَافِ
