কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
২২. রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬০
সুলাইমান ইবনে মিহরান (রাহঃ) কর্তৃক আয়িশা (রাযিঃ) থেকে সাহরী বিলম্বে খাওয়ার শব্দ ও সনদের পার্থক্য বর্ণনা
২১৬৪। আহমদ ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... আবু আতিয়্যা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, একদা আমি এবং মাসরুক (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে গেলাম। তখন মাসরুক (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-কে বললেন যে, আমাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এমন দু’জন সাহাবী আছে, তারা উভয়েই সাওয়াব পাওয়ার আকাঙ্ক্ষী। তন্মধ্যে একজন মাগরিবের নামায এবং ইফতার বিলম্বে করেন। আর অপরজন মাগরিবের নামায এবং ইফতার তাড়াতাড়ি করেন।
তখন আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন যে, কে মাগবিবের নামায এবং ইফতার তাড়াতাড়ি করেন, মাসরুক (রাহঃ) বললেন, আব্দুলাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)। তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরকমই করতেন।
তখন আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন যে, কে মাগবিবের নামায এবং ইফতার তাড়াতাড়ি করেন, মাসরুক (রাহঃ) বললেন, আব্দুলাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)। তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরকমই করতেন।
باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ فِي تَأْخِيرِ السُّحُورِ وَاخْتِلاَفِ أَلْفَاظِهِمْ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ، عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَ لَهَا مَسْرُوقٌ رَجُلاَنِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كِلاَهُمَا لاَ يَأْلُو عَنِ الْخَيْرِ أَحَدُهُمَا يُؤَخِّرُ الصَّلاَةَ وَالْفِطْرَ وَالآخَرُ يُعَجِّلُ الصَّلاَةَ وَالْفِطْرَ . فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَيُّهُمَا الَّذِي يُعَجِّلُ الصَّلاَةَ وَالْفِطْرَ قَالَ مَسْرُوقٌ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ . فَقَالَتْ عَائِشَةُ هَكَذَا كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়।
আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
