কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

২২. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ২১৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬১
সুলাইমান ইবনে মিহরান (রাহঃ) কর্তৃক আয়িশা (রাযিঃ) থেকে সাহরী বিলম্বে খাওয়ার শব্দ ও সনদের পার্থক্য বর্ণনা
২১৬৫। হান্নাদ ইবনে সারী (রাহঃ) ......... আবু আতিয়্যা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি এবং মাসরুক (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে গেলাম এবং বললাম হে মু’মিনদের মাতা! আমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এমন দু’জন সাহাবী আছেন যাদের একজন ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং মাগরিবের নামাযও তাড়াতাড়ি করেন। আর অন্যজন ইফতার বিলম্বে করেন এবং এবং মাগরিবের নামাযও বিলম্বে আদায় করেন। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, তাদের মধ্যে কে ইফতার তাড়াতাড়ি করেন এবং মাগরিবের নামায তাড়াতাড়ি আদায় করেন? আমরা বললাম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)। তখন তিনি বললেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-ও এরকমই করতেন। (রাবী বলেন) দ্বিতীয় সাহাবী ছিলেন আবু মুসা (রাযিঃ)।
باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ فِي تَأْخِيرِ السُّحُورِ وَاخْتِلاَفِ أَلْفَاظِهِمْ
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ، عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْنَا لَهَا يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ رَجُلاَنِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلاَةَ وَالآخَرُ يُؤَخِّرُ الإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ الصَّلاَةَ . فَقَالَتْ أَيُّهُمَا يُعَجِّلُ الإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلاَةَ قُلْنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ . قَالَتْ هَكَذَا كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَالآخَرُ أَبُو مُوسَى رضى الله عنهما .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

সূর্য অস্তমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোযাদার ইফতার করবে এবং মুয়াজ্জিন আযান দিবে। ইফতারের ওয়াক্ত আযান শুরু হওয়ার পর হয় বিষয়টি এমন নয়।

আমাদের দেশে রেওয়াজ আছে যে, লোকেরা ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং আযানের শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত ইফতার করে না। এ থেকে কারো কারো মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, ইফতারের ওয়াক্তই শুরু হয় আযানের পর। এই ধারণা ঠিক নয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতারের ওয়াক্ত হয়। আর বিনা কারণে ইফতার বিলম্ব করা খেলাফে সুন্নত। ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উচিত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন