কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
১০. ইমামত - জামাআতের অধ্যায়
হাদীস নং: ৭৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭৮৩
যদি দলে শাসক উপস্থিত থাকেন।
৭৮৪। ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ তায়মী (রাহঃ) ......... আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির কর্তৃত্বের স্থানে অন্য কেউ তার ইমাম হবে না। অথবা তার বসার স্থানেও বসা যাবে না। হ্যাঁ, তার অনুমতি পেলে ভিন্ন কথা।
اجتماع القوم وفيهم الوالي
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সামাজিক বিশেষ দু'টি শিষ্টাচার
হাদীছে দু'টি বিশেষ সামাজিক নীতির ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে— (কোনও ব্যক্তি যেন কিছুতেই অপর ব্যক্তির ক্ষমতাবলয়ে অনুমতি ছাড়া তার ইমামত না করে)। ইমাম নববী রহ. বলেন- এর দ্বারা কারও কর্তৃত্বাধীন স্থান বোঝানো উদ্দেশ্য (যেমন শাসক, প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি প্রমুখের আওতাধীন অঞ্চল। এমনিভাবে ওই মসজিদ, যেখানে সুনির্দিষ্ট ইমাম আছে)। অথবা এমন স্থান, যা তার জন্য নির্দিষ্ট (যেমন নিজ বাড়ি বা অবস্থানস্থল)। এরূপ স্থানে অতিথি বা আগুন্তুক অপেক্ষা শাসক, ইমাম ও গৃহকর্তারই ইমামত করার অগ্রাধিকার থাকবে। এদিকে লক্ষ রাখা খুবই জরুরি। এটা লঙ্ঘন করার দ্বারা অন্যের অধিকার খর্ব করা হয় এবং তা পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আর দ্বিতীয় নীতিটি হলো- (তার বাড়িতে তার আসনে অনুমতি ছাড়া না বসে)। ইমাম নববী রহ. বলেন, এর অর্থ কারও ব্যক্তিগত বিছানা, চেয়ার বা এরকম কোনও স্থান। এটাও আদাবুল মু'আশারাত (সামাজিক শিষ্টাচার)-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। অনেক সময় এদিকে লক্ষ করা হয় না। অনুমতি ছাড়াই অন্যের আসনে ও অন্যের বিছানায় শোয়া-বসা করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি একটি অসামাজিকতা ও গর্হিত কাজ। এতেও অন্যের অধিকার খর্ব করা হয়। এর দ্বারা অন্যের মনে বিরক্তি ও বিতৃষ্ণারও সঞ্চার হয়, যা পারস্পরিক ঐক্য ও সম্প্রীতির পক্ষে ক্ষতিকর। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা অতীব জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. অন্যের কর্তৃত্বধীন স্থানে ইমামতি করা বা অন্য কোনওরকম নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বমূলক আচরণ করা অনধিকার চর্চার শামিল। এর থেকে বিরত থাকা উচিত।
খ. অনুমতি ছাড়া অন্যের আসনে বসা বা অন্যের বিছানায় শোয়া একটি গর্হিত কাজ। এর থেকেও বিরত থাকা কর্তব্য।
হাদীছে দু'টি বিশেষ সামাজিক নীতির ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে— (কোনও ব্যক্তি যেন কিছুতেই অপর ব্যক্তির ক্ষমতাবলয়ে অনুমতি ছাড়া তার ইমামত না করে)। ইমাম নববী রহ. বলেন- এর দ্বারা কারও কর্তৃত্বাধীন স্থান বোঝানো উদ্দেশ্য (যেমন শাসক, প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি প্রমুখের আওতাধীন অঞ্চল। এমনিভাবে ওই মসজিদ, যেখানে সুনির্দিষ্ট ইমাম আছে)। অথবা এমন স্থান, যা তার জন্য নির্দিষ্ট (যেমন নিজ বাড়ি বা অবস্থানস্থল)। এরূপ স্থানে অতিথি বা আগুন্তুক অপেক্ষা শাসক, ইমাম ও গৃহকর্তারই ইমামত করার অগ্রাধিকার থাকবে। এদিকে লক্ষ রাখা খুবই জরুরি। এটা লঙ্ঘন করার দ্বারা অন্যের অধিকার খর্ব করা হয় এবং তা পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আর দ্বিতীয় নীতিটি হলো- (তার বাড়িতে তার আসনে অনুমতি ছাড়া না বসে)। ইমাম নববী রহ. বলেন, এর অর্থ কারও ব্যক্তিগত বিছানা, চেয়ার বা এরকম কোনও স্থান। এটাও আদাবুল মু'আশারাত (সামাজিক শিষ্টাচার)-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। অনেক সময় এদিকে লক্ষ করা হয় না। অনুমতি ছাড়াই অন্যের আসনে ও অন্যের বিছানায় শোয়া-বসা করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি একটি অসামাজিকতা ও গর্হিত কাজ। এতেও অন্যের অধিকার খর্ব করা হয়। এর দ্বারা অন্যের মনে বিরক্তি ও বিতৃষ্ণারও সঞ্চার হয়, যা পারস্পরিক ঐক্য ও সম্প্রীতির পক্ষে ক্ষতিকর। কাজেই এর থেকে বিরত থাকা অতীব জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. অন্যের কর্তৃত্বধীন স্থানে ইমামতি করা বা অন্য কোনওরকম নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বমূলক আচরণ করা অনধিকার চর্চার শামিল। এর থেকে বিরত থাকা উচিত।
খ. অনুমতি ছাড়া অন্যের আসনে বসা বা অন্যের বিছানায় শোয়া একটি গর্হিত কাজ। এর থেকেও বিরত থাকা কর্তব্য।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)


বর্ণনাকারী: