কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৬. নামাযের সময়সূচী
হাদীস নং: ৫৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩১
ইশার নামায দেরী করে আদায় করা মুস্তাহাব।
৫৩২। ইবরাহীম ইবনে হাসান ও ইউসুফ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... ইবনে যুরায়জ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আতা (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার কাছে আমার ইশার নামাযের জন্য কোন সময়টি বেশী পছন্দ - তা ইমামরূপে আদায় করি বা একাকী? তিনি বললেনঃ আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, একরাত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামায এত বিলম্বে আদায় করলেন যে, লোকজন ঘুমিয়ে পড়ল, আবার জাগ্রত হল, আবার ঘুমিয়ে পড়ল, আবার জাগ্রত হল।
এমতাবস্থায় উমর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেনঃ নামায, নামায। আতা (রাহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হলেন এমতাবস্থায় যে, আমি যেন এখনও দেখতে পাচ্ছি তাঁর মাথা থেকে গোসলের পানি ফোঁটা ফোঁটা করে পড়ছিল এবং তাঁর মাথার একপাশে হাত রাখা ছিলো। আতা বলেন, ইবনে আব্বাস ইঙ্গিতে দেখালেন।
আমি আতা (রাহঃ)-কে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলামঃ নবী (ﷺ) কিভাবে মাথায় হাত রাখলেন? তিনি আমাকে ইঙ্গিতে দেখালেন যেভাবে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ইঙ্গিতে দেখিয়েছিলেন। আতা (রাহঃ) হাতের আঙ্গুলগুলো কিছু ফাঁক ফাঁক করে মাথার উপর এমনভাবে রাখলেন যে, আঙ্গুলগুলোর পার্শ্বদেশ মাথার অগ্রভাগে পৌঁছল।
তারপর আঙ্গুলগুলো একত্র করে মাথার উপর এমনভাবে ঘর্ষণ করলেন যে, উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলী চেহারা সংলগ্ন কানের অংশ স্পর্শ করলো। তারপর কানের পার্শ্ব ও ললাট এমনভাবে (মাসাহ) করলেন যেন কোন কাজ দ্রুত ও ধীরগতিতে করেননি, বরং তা স্বাভাবিকভাবে করেছেন। তারপর বললেনঃ আমার উম্মতের উপর যদি কঠিন না হতো, তবে আমি তাদের আদেশ করতাম, ইশার নামায যেনো এভাবে বিলম্ব করে আদায় করে।
এমতাবস্থায় উমর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেনঃ নামায, নামায। আতা (রাহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হলেন এমতাবস্থায় যে, আমি যেন এখনও দেখতে পাচ্ছি তাঁর মাথা থেকে গোসলের পানি ফোঁটা ফোঁটা করে পড়ছিল এবং তাঁর মাথার একপাশে হাত রাখা ছিলো। আতা বলেন, ইবনে আব্বাস ইঙ্গিতে দেখালেন।
আমি আতা (রাহঃ)-কে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলামঃ নবী (ﷺ) কিভাবে মাথায় হাত রাখলেন? তিনি আমাকে ইঙ্গিতে দেখালেন যেভাবে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ইঙ্গিতে দেখিয়েছিলেন। আতা (রাহঃ) হাতের আঙ্গুলগুলো কিছু ফাঁক ফাঁক করে মাথার উপর এমনভাবে রাখলেন যে, আঙ্গুলগুলোর পার্শ্বদেশ মাথার অগ্রভাগে পৌঁছল।
তারপর আঙ্গুলগুলো একত্র করে মাথার উপর এমনভাবে ঘর্ষণ করলেন যে, উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলী চেহারা সংলগ্ন কানের অংশ স্পর্শ করলো। তারপর কানের পার্শ্ব ও ললাট এমনভাবে (মাসাহ) করলেন যেন কোন কাজ দ্রুত ও ধীরগতিতে করেননি, বরং তা স্বাভাবিকভাবে করেছেন। তারপর বললেনঃ আমার উম্মতের উপর যদি কঠিন না হতো, তবে আমি তাদের আদেশ করতাম, ইশার নামায যেনো এভাবে বিলম্ব করে আদায় করে।
ما يستحب من تأخير العشاء
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، وَيُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَىُّ حِينٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ أَنْ أُصَلِّيَ الْعَتَمَةَ إِمَامًا أَوْ خِلْوًا قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ أَعْتَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ بِالْعَتَمَةِ حَتَّى رَقَدَ النَّاسُ وَاسْتَيْقَظُوا وَرَقَدُوا وَاسْتَيْقَظُوا فَقَامَ عُمَرُ فَقَالَ الصَّلاَةَ الصَّلاَةَ قَالَ عَطَاءٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ خَرَجَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ الآنَ يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى شِقِّ رَأْسِهِ قَالَ وَأَشَارَ فَاسْتَثْبَتُّ عَطَاءً كَيْفَ وَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ فَأَوْمَأَ إِلَىَّ كَمَا أَشَارَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَبَدَّدَ لِي عَطَاءٌ بَيْنَ أَصَابِعِهِ بِشَىْءٍ مِنْ تَبْدِيدٍ ثُمَّ وَضَعَهَا فَانْتَهَى أَطْرَافُ أَصَابِعِهِ إِلَى مُقَدَّمِ الرَّأْسِ ثُمَّ ضَمَّهَا يَمُرُّ بِهَا كَذَلِكَ عَلَى الرَّأْسِ حَتَّى مَسَّتْ إِبْهَامَاهُ طَرَفَ الأُذُنِ مِمَّا يَلِي الْوَجْهَ ثُمَّ عَلَى الصَّدْغِ وَنَاحِيَةِ الْجَبِينِ لاَ يَقْصُرُ وَلاَ يَبْطُشُ شَيْئًا إِلاَّ كَذَلِكَ ثُمَّ قَالَ " لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ لاَ يُصَلُّوهَا إِلاَّ هَكَذَا " .
