কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৬৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৫১
২৬. কবরের প্রশ্ন ও শাস্তির বর্ণনা।
৪৬৭৬. মুহাম্মাদ ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নাজ্জার গোত্রের একটি খেজুরের বাগানে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি একটা শব্দ শুনে ভীত হয়ে পড়েন এবং বলেনঃ এ কবরগুলি কাদের? তারা বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরা জাহিলী যুগে মারা গেছে। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা আল্লাহর কবরের আযাব ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তখন তারা বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কেন এরূপ করবে।
তখন নবী (ﷺ) বলেন যখন কোন মু’মিন ব্যক্তিকে তার কবরে রাখা হয়, তখন একজন ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ তুমি কার ইবাদত করতে? তখন মহান আল্লাহ তাকে হিদায়াত দান করেন। তখন সে বলেঃ আমি আল্লাহর ইবাদত করতাম। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হবেঃ তুমি এ ব্যক্তির (মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর) ব্যাপারে কিরূপ ধারণা পোষণ করতে? তখন সে বলবেঃ তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। এরপর তাকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না। এরপর তাকে এমন একস্থানে নেয়া হয়, যা তার জন্য জাহান্নামে বানানো হয়েছিল। তখন তাকে বলা হবেঃ এটা এটা তোমার জাহান্নামের ঘর ছিল। আল্লাহ তোমাকে এ থেকে রক্ষা করেছেন এবং তোমার উপর রহম করেছেন এবং এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাতে একটা চিরস্থায়ী ঘর দান করেছেন। তখন সে বলেঃ আমাকে ছেড়ে দাও, যাতে আমি আমার পরিবার-পরিজনদের এ সুসংবাদ দিতে পারি। তখন তাকে বলা হয়ঃ তুমি শান্ত হও।
অপরপক্ষে যখন কোন কাফিরকে কবরে রাখা হয়, তখন তার কাছে একজন ফিরিশতা আসে এবং ধমকের সুরে জিজ্ঞাসা করেঃ তুমি কার ইবাদত করতে? সে বলবেঃ আমি জানি না। তখন তাকে বলা হয়ঃ তুমি নিজেও জ্ঞান অর্জন করনি। এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়ঃ এ ব্যক্তির ব্যাপারে তোমার ধারণা কিরূপ ছিল? তখন সে বলেঃ তাঁর ব্যাপারে লোকদের যেরূপ ধারণা ছিল, আমার ধারণাও সেরূপ। এ কথা শুনে ফিরিশতা তার মাথায় লোহার মুগুর দিয়ে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে, ফলে সে এত জোরে চিৎকার করে যে, জ্বীন ও ইনসান ব্যতীত সে চিৎকার সব সৃষ্ট জীব শুনতে পায়।
তখন নবী (ﷺ) বলেন যখন কোন মু’মিন ব্যক্তিকে তার কবরে রাখা হয়, তখন একজন ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ তুমি কার ইবাদত করতে? তখন মহান আল্লাহ তাকে হিদায়াত দান করেন। তখন সে বলেঃ আমি আল্লাহর ইবাদত করতাম। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হবেঃ তুমি এ ব্যক্তির (মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর) ব্যাপারে কিরূপ ধারণা পোষণ করতে? তখন সে বলবেঃ তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। এরপর তাকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে না। এরপর তাকে এমন একস্থানে নেয়া হয়, যা তার জন্য জাহান্নামে বানানো হয়েছিল। তখন তাকে বলা হবেঃ এটা এটা তোমার জাহান্নামের ঘর ছিল। আল্লাহ তোমাকে এ থেকে রক্ষা করেছেন এবং তোমার উপর রহম করেছেন এবং এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাতে একটা চিরস্থায়ী ঘর দান করেছেন। তখন সে বলেঃ আমাকে ছেড়ে দাও, যাতে আমি আমার পরিবার-পরিজনদের এ সুসংবাদ দিতে পারি। তখন তাকে বলা হয়ঃ তুমি শান্ত হও।
অপরপক্ষে যখন কোন কাফিরকে কবরে রাখা হয়, তখন তার কাছে একজন ফিরিশতা আসে এবং ধমকের সুরে জিজ্ঞাসা করেঃ তুমি কার ইবাদত করতে? সে বলবেঃ আমি জানি না। তখন তাকে বলা হয়ঃ তুমি নিজেও জ্ঞান অর্জন করনি। এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়ঃ এ ব্যক্তির ব্যাপারে তোমার ধারণা কিরূপ ছিল? তখন সে বলেঃ তাঁর ব্যাপারে লোকদের যেরূপ ধারণা ছিল, আমার ধারণাও সেরূপ। এ কথা শুনে ফিরিশতা তার মাথায় লোহার মুগুর দিয়ে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে, ফলে সে এত জোরে চিৎকার করে যে, জ্বীন ও ইনসান ব্যতীত সে চিৎকার সব সৃষ্ট জীব শুনতে পায়।
باب فِي الْمَسْأَلَةِ فِي الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ الْخَفَّافُ أَبُو نَصْرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ : إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ نَخْلاً لِبَنِي النَّجَّارِ فَسَمِعَ صَوْتًا فَفَزِعَ فَقَالَ : " مَنْ أَصْحَابُ هَذِهِ الْقُبُورِ " . قَالُوا : يَا رَسُولَ اللَّهِ نَاسٌ مَاتُوا فِي الْجَاهِلِيَّةِ . فَقَالَ : " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَمِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالُوا : وَمِمَّ ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ : " إِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ أَتَاهُ مَلَكٌ فَيَقُولُ لَهُ : مَا كُنْتَ تَعْبُدُ فَإِنِ اللَّهُ هَدَاهُ قَالَ : كُنْتُ أَعْبُدُ اللَّهَ . فَيُقَالُ لَهُ : مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ : هُوَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ فَمَا يُسْأَلُ عَنْ شَىْءٍ غَيْرَهَا فَيُنْطَلَقُ بِهِ إِلَى بَيْتٍ كَانَ لَهُ فِي النَّارِ، فَيُقَالُ لَهُ : هَذَا بَيْتُكَ كَانَ لَكَ فِي النَّارِ وَلَكِنَّ اللَّهَ عَصَمَكَ وَرَحِمَكَ فَأَبْدَلَكَ بِهِ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ فَيَقُولُ : دَعُونِي حَتَّى أَذْهَبَ فَأُبَشِّرَ أَهْلِي . فَيُقَالُ لَهُ : اسْكُنْ . وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ أَتَاهُ مَلَكٌ فَيَنْتَهِرُهُ فَيَقُولُ لَهُ : مَا كُنْتَ تَعْبُدُ فَيَقُولُ : لاَ أَدْرِي . فَيُقَالُ لَهُ : لاَ دَرَيْتَ وَلاَ تَلَيْتَ . فَيُقَالُ لَهُ : فَمَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ : كُنْتُ أَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ . فَيَضْرِبُهُ بِمِطْرَاقٍ مِنْ حَدِيدٍ بَيْنَ أُذُنَيْهِ فَيَصِيحُ صَيْحَةً يَسْمَعُهَا الْخَلْقُ غَيْرَ الثَّقَلَيْنِ " .
