আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৩- উযূর অধ্যায়

হাদীস নং: ১৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৪
১৩৩। পূর্ণ বেহুশী ছাড়া উযু না করা
১৮৩। ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি একবার নবী (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে এলাম। তখন সুর্যগ্রহণ লেগেছিল। দেখলাম সব মানুষ দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছে এবং আয়িশা (রাযিঃ) ও দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম লোকদের কী হয়েছে? তিনি তাঁর হাত দিয়ে আকাশের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘সুবহানাল্লাহ্’! আমি বললাম এটা কি কোন আলামত? তিনি ইশারা করে বললেন, ‘হ্যাঁ’। এরপর আমিও নামাযে দাঁড়িয়ে গেলাম। এমনকি আমাকে সংজ্ঞাহীনতায় আচ্ছন্ন করে ফেলল এবং আমি আমার মাথায় পানি দিতে লাগলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (মুসল্লীদের দিকে) ফিরে আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করে বললেন, “যেসব জিনিস আমি ইতিপূর্বে দেখিনি সেসব আমার এই স্থানে আমি দেখতে পেয়েছি, এমনকি জান্নাত এবং জাহান্নামও।
আর আমার কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, কবরে তোমাদের পরীক্ষা করা হবে দাজ্জালের ফিতনার ন্যায় অথবা তার কাছাকাছি। বর্ণনাকারী বলেন, আসমা (রাযিঃ) কোনটি বলেছিলেন, আমি জানিনা। তোমাদের প্রত্যেকের কাছে (ফিরিশতা) উপস্থিত হবে এবং তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, “এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার কি জ্ঞান আছে?” তারপর ‘মু’মিন, বা ‘মু’কিন’ ব্যক্তি বলবে- আসমা (রাযিঃ) ‘মুমিন’ বলেছিলেন না ‘মুকিন’ তা আমি জানিনা- ইনি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। তিনি আমাদের কাছে মু‘জিযা ও হিদায়ত নিয়ে এসেছিলেন। আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছি, তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি এবং তাঁর অনুসরণ করেছি। তারপর তাকে বলা হবে নিশ্চিন্তে ঘুমাও। আমরা জানলাম যে, তুমি মু’মিন ছিলে। আর ‘মুনাফিক’ বা ‘মুরতাব’ বলবে, আমি জানিনা। -আসমা (রাযিঃ) কোনটি বলেছিলেন তা আমি জানিনা- লোকজনকে এঁর সম্পর্কে কিছু একটা বলতে শুনেছি আর আমিও তা-ই বলেছি।
باب مَنْ لَمْ يَتَوَضَّأْ إِلاَّ مِنَ الْغَشْىِ الْمُثْقِلِ
184 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ امْرَأَتِهِ فَاطِمَةَ، عَنْ جَدَّتِهَا أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّهَا قَالَتْ: أَتَيْتُ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ يُصَلُّونَ، وَإِذَا هِيَ قَائِمَةٌ تُصَلِّي، فَقُلْتُ: مَا لِلنَّاسِ؟ فَأَشَارَتْ بِيَدِهَا نَحْوَ السَّمَاءِ، وَقَالَتْ: سُبْحَانَ اللَّهِ، فَقُلْتُ: آيَةٌ؟ فَأَشَارَتْ: أَيْ نَعَمْ، فَقُمْتُ حَتَّى تَجَلَّانِي الغَشْيُ، وَجَعَلْتُ أَصُبُّ فَوْقَ رَأْسِي مَاءً، فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " مَا مِنْ شَيْءٍ كُنْتُ لَمْ أَرَهُ إِلَّا قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا، حَتَّى الجَنَّةَ وَالنَّارَ، وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي القُبُورِ مِثْلَ - أَوْ قَرِيبَ مِنْ - فِتْنَةِ الدَّجَّالِ - لاَ أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ، قَالَتْ: أَسْمَاءُ - يُؤْتَى أَحَدُكُمْ، فَيُقَالُ لَهُ: مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ؟ فَأَمَّا المُؤْمِنُ أَوِ المُوقِنُ - لاَ أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ: أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ: هُوَ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ، جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالهُدَى، فَأَجَبْنَا وَآمَنَّا وَاتَّبَعْنَا، فَيُقَالُ لَهُ: نَمْ صَالِحًا، فَقَدْ عَلِمْنَا إِنْ كُنْتَ لَمُؤْمِنًا، وَأَمَّا المُنَافِقُ أَوِ المُرْتَابُ - لاَ أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ: لاَ أَدْرِي، سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُهُ "
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ১৮৩ | মুসলিম বাংলা