আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৩- উযূর অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৩
১৩২। বিনা উযুতে কুরআন প্রভৃতি পাঠ করা।
মনসূর (রাহঃ) ... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, হাম্মামখানায় (কুরআন) পাঠ করা এবং বিনা উযুতে পত্র লেখায় কোন দোষ নেই।
হাম্মাদ (রাহঃ) ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, হাম্মামখানার লোকদের পরনে ইযার (লুঙ্গি বা পায়জামা) থাকলে সালাম দিও নতুবা সালাম দিও না।
মনসূর (রাহঃ) ... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, হাম্মামখানায় (কুরআন) পাঠ করা এবং বিনা উযুতে পত্র লেখায় কোন দোষ নেই।
হাম্মাদ (রাহঃ) ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, হাম্মামখানার লোকদের পরনে ইযার (লুঙ্গি বা পায়জামা) থাকলে সালাম দিও নতুবা সালাম দিও না।
১৮২। ইসমাঈল (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি একবার নবী (ﷺ) এর স্ত্রী মায়মুনা (রাযিঃ) এর ঘরে রাত কাটান। তিনি ছিলেন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর খালা। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর আমি বিছানার চওড়া দিকে শয়ন করলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর স্ত্রী বিছানার লম্বা দিকে শয়ন করলেন; এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনিভাবে রাত যখন অর্ধেক হয়ে গেল তার কিছু পূর্বে কিংবা কিছু পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জেগে উঠলেন। তিনি বসে হাত দিয়ে তাঁর মুখমণ্ডল থেকে ঘুমের আবেশ মুছতে লাগলেন। তারপর সূরা আলু ইমরানের শেষ দশ আয়াত পাঠ করলেন।
এরপর দাঁড়িয়ে একটি ঝুলন্ত মশক থেকে উযু করলেন। তিনি সুন্দরভাবে উযু করলেন। তারপর নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উঠে তিনি যেরূপ করেছিলেন তদ্রূপ করলাম। তারপর গিয়ে তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়ালাম। তিনি তাঁর ডান হাত আমার মাথার উপর রাখলেন এবং আমার ডান কান ধরে একটু নাড়া দিলেন, (এবং তাঁর) ডান পাশে এনে দাঁড় করালেন। তারপর তিনি দু'রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর দু'রাকআত, তারপর দু'রাকআত, দু'রাকআত, তারপর দু'রাকআত, তারপর দু'রাকআত, তারপর বিতর আদায় করলেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর কাছে মুয়াযযিন এলেন। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে হালকাভাবে দু'রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর বেরিয়ে গিয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন।
এরপর দাঁড়িয়ে একটি ঝুলন্ত মশক থেকে উযু করলেন। তিনি সুন্দরভাবে উযু করলেন। তারপর নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উঠে তিনি যেরূপ করেছিলেন তদ্রূপ করলাম। তারপর গিয়ে তাঁর বাঁ পাশে দাঁড়ালাম। তিনি তাঁর ডান হাত আমার মাথার উপর রাখলেন এবং আমার ডান কান ধরে একটু নাড়া দিলেন, (এবং তাঁর) ডান পাশে এনে দাঁড় করালেন। তারপর তিনি দু'রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর দু'রাকআত, তারপর দু'রাকআত, দু'রাকআত, তারপর দু'রাকআত, তারপর দু'রাকআত, তারপর বিতর আদায় করলেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর কাছে মুয়াযযিন এলেন। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে হালকাভাবে দু'রাকআত নামায আদায় করলেন। তারপর বেরিয়ে গিয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন।
باب قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ بَعْدَ الْحَدَثِ وَغَيْرِهِ وَقَالَ مَنْصُورٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ لاَ بَأْسَ بِالْقِرَاءَةِ فِي الْحَمَّامِ، وَبِكَتْبِ الرِّسَالَةِ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ. وَقَالَ حَمَّادٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ إِنْ كَانَ عَلَيْهِمْ إِزَارٌ فَسَلِّمْ، وَإِلاَّ فَلاَ تُسَلِّمْ
183 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ بَاتَ لَيْلَةً عِنْدَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ خَالَتُهُ فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ الوِسَادَةِ " وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ، أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ، اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ، ثُمَّ قَرَأَ العَشْرَ الآيَاتِ الخَوَاتِمَ مِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ، ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ، فَتَوَضَّأَ مِنْهَا فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ، ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ، فَوَضَعَ يَدَهُ اليُمْنَى عَلَى رَأْسِي، وَأَخَذَ [ص:48] بِأُذُنِي اليُمْنَى يَفْتِلُهَا، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ أَوْتَرَ، ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى أَتَاهُ المُؤَذِّنُ، فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ "
