কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১৩. ওছিয়াতের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৭৯
১১৬. কোন ব্যক্তির কোন সম্পদ ওয়াক্ফ করা সম্পর্কে।
২৮৬৯. সুলাইমান ইবনে মোহরী (রাহঃ) ..... ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর সাদ্কা সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমাকে আব্দুল হামীদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর ইবনে খাত্তাব এরূপ লিখে দিয়েছেনঃ
বিসমিল্লাহির রাহিমানির রাহীম। এ হলো ঐ বর্ণনা, যা আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর ‘ছামাগ’ সম্পর্কে লিখেছিলেন। অতঃপর রাবী নাফি‘(রাহঃ) এর বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেছেন যে, ধন-সম্পদ জমাকারী হবে না, আর যে ফল তাতে পতিত হবে, তা হবে ভিক্ষুক এবং বঞ্চিতদের অংশ। অতঃপর রাবী এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনঃ যদি ঐ বাগানের মুতাওয়াল্লী চায়, তবে সে বাগানের ফল বিক্রি করে সে মূল্য দিয়ে বাগানের কাজের জন্য গোলাম খরিদ করতে পারে। আর মুআয়কীব এ বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনে আরকাম এর সাক্ষী হন।
‘‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। এটা ঐ ওসীয়তনামা, যার ওসীয়ত আল্লাহর বান্দা আমীরুল মু‘মিনীন উমর (রাযিঃ) করেনঃ যদি তাঁর [উমর (রাযিঃ)] উপর কোন দুর্ঘটনা ঘটে (অর্থাৎ তিনি মারা যান), তাহলে ‘ছামাগ’ ইবনে আকুয়ের ‘সুরমা’ [১] এবং সেখানে যে গোলামেরা আছে, তা; আর খায়বরের একশত হিসসা এবং সেখানকার গোলামেরা এবং ঐ একশত ভাগ যা মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাকে খায়বরের নিকটবর্তী উপত্যকায় দিয়েছিলেন এ সবের মুতাওয়াল্লী হবে, যতদিন সে জীবিত থাকবে, হাফসা (রাযিঃ)।[২] তাঁর অবর্তমানে, তাঁর পরিবার পরিজনদের মাঝে যারা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হবে তারা এর মুতাওয়াল্লী হবে। এ শর্তে যে, তারা এ বাগান বেচাকেনা করতে পারবে না। কিন্তু যখন কোন ভিক্ষুক, বঞ্চিত, নিকটাত্মীয় বা কোন বন্ধু বান্ধব হবে, তাদের জন্য এ থেকে খরচ করবে। আর এই বাগানের মুতাওয়াল্লী যদি এ থেকে কিছু ভক্ষণ করে, অভাবগ্রস্থদের খাওয়ায় এর মুনাফা হতে (বাগানের কাজের জন্য) কোন গোলাম খরিদ করে, তবে এত কোন দোষ নেই।
বিসমিল্লাহির রাহিমানির রাহীম। এ হলো ঐ বর্ণনা, যা আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর ‘ছামাগ’ সম্পর্কে লিখেছিলেন। অতঃপর রাবী নাফি‘(রাহঃ) এর বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেছেন যে, ধন-সম্পদ জমাকারী হবে না, আর যে ফল তাতে পতিত হবে, তা হবে ভিক্ষুক এবং বঞ্চিতদের অংশ। অতঃপর রাবী এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনঃ যদি ঐ বাগানের মুতাওয়াল্লী চায়, তবে সে বাগানের ফল বিক্রি করে সে মূল্য দিয়ে বাগানের কাজের জন্য গোলাম খরিদ করতে পারে। আর মুআয়কীব এ বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনে আরকাম এর সাক্ষী হন।
‘‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। এটা ঐ ওসীয়তনামা, যার ওসীয়ত আল্লাহর বান্দা আমীরুল মু‘মিনীন উমর (রাযিঃ) করেনঃ যদি তাঁর [উমর (রাযিঃ)] উপর কোন দুর্ঘটনা ঘটে (অর্থাৎ তিনি মারা যান), তাহলে ‘ছামাগ’ ইবনে আকুয়ের ‘সুরমা’ [১] এবং সেখানে যে গোলামেরা আছে, তা; আর খায়বরের একশত হিসসা এবং সেখানকার গোলামেরা এবং ঐ একশত ভাগ যা মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাকে খায়বরের নিকটবর্তী উপত্যকায় দিয়েছিলেন এ সবের মুতাওয়াল্লী হবে, যতদিন সে জীবিত থাকবে, হাফসা (রাযিঃ)।[২] তাঁর অবর্তমানে, তাঁর পরিবার পরিজনদের মাঝে যারা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হবে তারা এর মুতাওয়াল্লী হবে। এ শর্তে যে, তারা এ বাগান বেচাকেনা করতে পারবে না। কিন্তু যখন কোন ভিক্ষুক, বঞ্চিত, নিকটাত্মীয় বা কোন বন্ধু বান্ধব হবে, তাদের জন্য এ থেকে খরচ করবে। আর এই বাগানের মুতাওয়াল্লী যদি এ থেকে কিছু ভক্ষণ করে, অভাবগ্রস্থদের খাওয়ায় এর মুনাফা হতে (বাগানের কাজের জন্য) কোন গোলাম খরিদ করে, তবে এত কোন দোষ নেই।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يُوقِفُ الْوَقْفَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ صَدَقَةِ، عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رضى الله عنه قَالَ نَسَخَهَا لِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا كَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ عُمَرُ فِي ثَمْغٍ فَقَصَّ مِنْ خَبَرِهِ نَحْوَ حَدِيثِ نَافِعٍ قَالَ غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ مَالاً فَمَا عَفَا عَنْهُ مِنْ ثَمَرِهِ فَهُوَ لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ - قَالَ وَسَاقَ الْقِصَّةَ - قَالَ وَإِنْ شَاءَ وَلِيُّ ثَمْغٍ اشْتَرَى مِنْ ثَمَرِهِ رَقِيقًا لِعَمَلِهِ وَكَتَبَ مُعَيْقِيبٌ وَشَهِدَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الأَرْقَمِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَوْصَى بِهِ عَبْدُ اللَّهِ عُمَرُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ حَدَثَ بِهِ حَدَثٌ أَنَّ ثَمْغًا وَصِرْمَةَ بْنَ الأَكْوَعِ وَالْعَبْدَ الَّذِي فِيهِ وَالْمِائَةَ سَهْمٍ الَّتِي بِخَيْبَرَ وَرَقِيقَهُ الَّذِي فِيهِ وَالْمِائَةَ الَّتِي أَطْعَمَهُ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم بِالْوَادِي تَلِيهِ حَفْصَةُ مَا عَاشَتْ ثُمَّ يَلِيهِ ذُو الرَّأْىِ مِنْ أَهْلِهَا أَنْ لاَ يُبَاعَ وَلاَ يُشْتَرَى يُنْفِقُهُ حَيْثُ رَأَى مِنَ السَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ وَذِي الْقُرْبَى وَلاَ حَرَجَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ إِنْ أَكَلَ أَوْ آكَلَ أَوِ اشْتَرَى رَقِيقًا مِنْهُ .
