আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২২- ওমরার অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২২
১১৪৫. মুহরিম ব্যক্তিগণ শিকার জন্তু দেখে হাসাহাসি করার ফলে যদি ইহরামবিহীন ব্যক্তিরা তা বুঝে ফেলে
১৭০৫। সা’ঈদ ইবনে রবী (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার বছর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে যাত্রা করলাম। তাঁর সকল সাহাবীই ইহরাম বেঁধেছিলেন কিন্তু আমি ইহরাম বাঁধিনি। এরপর আমাদেরকে গায়কা নামক স্থানে শত্রুর উপস্থিতি সম্পর্কে খবর দেয়া হলে আমরা শত্রুর অভিমুখে রওয়ানা হলাম। আমার সঙ্গী সাহাবীগণ একটি বন্য গাধা দেখতে পেয়ে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলেন। আমি সেদিকে তাকাতেই সেটি দেখে ফেললাম। সাথে সাথে আমি ঘোড়ার পিঠে চড়ে বর্শা দিয়ে গাধাটিকে আঘাত করে ঐ জায়গাতেই ফেলে দিলাম। তারপর তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করলে তারা সকলেই সাহায্য করতে অসম্মতি প্রকাশ করলেন। তবে আমরা সবাই এর গোশত খেলাম। এরপর গিয়ে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে মিলিত হলাম। (এর পূর্বে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাবোধ করছিলাম। তাই আমি আমার ঘোড়াটি কখনো দ্রুতগতিতে আবার কখনো স্বাভাবিক গতিতে চালিয়ে যাচ্ছিলাম। মধ্যরাতে গিয়ে গিফার গোত্রীয় এক লোকের সাথে সাক্ষাত হলে আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কোথায় রেখে এসেছেন? তিনি বললেন, তা’হিন নামক স্থানে আমি তাঁকে রেখে এসেছি। এখন তিনি সুকয়া নামক স্থানে বিশ্রাম করছেন। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে মিলিত হলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সাহাবীগণ আপনার প্রতি সালাম পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। শত্রুরা আপনার থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে এ ভয়ে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সুতরাং আপনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাই করলেন। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা একটি জংলী গাধা শিকার করেছি। এর অবশিষ্ট কিছু অংশ এখনও আমাদের নিকট আছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সাহাবীদেরকে বললেনঃ তোমরা খাও। অথচ তারা ছিলেন ইহরাম অবস্থায়।
