কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৯. জিহাদের বিধানাবলী
হাদীস নং: ২৬০৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৬১২
৩৫৯. মুশরিকদেরকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান।
২৬০৪. মুহাম্মাদ ইবনে সুলাইমান আল্ আনবারী ..... বুরায়দা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কোন ক্ষুদ্র সেনাদল অথবা বিরাট সাজোয়া বাহিনীর উপর কাউকে আমীর (সেনাপতি) নিযুক্ত করে পাঠাতেন, তখন আমীরকে লক্ষ্য করে উপদেশ দিতেন, যেন সে নিজে আল্লাহকে ভয় করে চলে আর তাঁর সঙ্গী মুসলিম সৈন্যদের প্রতি নেক নজর রাখে। নবী করীম (ﷺ) আরও বলতেনঃ যখন তুমি তোমার মুশরিক শত্রুদের সাক্ষাত পাও তখন তাদেরকে তিনটি বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণ করার জন্য আহবান জানাবে। আর যে কোন একটি গ্রহণ করলে তুমি তাতে সায় দিবে এবং তাদের উপর আত্রমণ চালানো হতে বিরত থাকবে।
১. তাদেরকে ইসলামের আহবান জানাবে। যদি এতে সাড়া দেয়, তুমি মেনে নিবে আর তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হতে বিরত থাকবে। তারপর তাদেরকে নিজ দেশে ছেড়ে মুহাজিরদের দেশে অর্থাৎ মদীনায় হিজরত করার আহবান জানাবে আর তাদেরকে অবহিত করে দিবে যে, হিজরত করার পর মুহাজিরগণ যে সকল সুবিধা ভোগ করেন, তারাও সে সকল সুবিধা ভোগ করবে। আর জিহাদের যে সকল দায়-দায়িত্ব মুহাজিরদের ওপর বর্তায়, তাদের ওপরও তা সমভাবে বর্তাবে। তারা যদি এ প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানায় আর নিজ দেশেই অবস্থান করতে চায় তবে তাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, তাদেরকে আল্লাহ আদেশ-নিষেধ ও বিধি- বিধান মেনে চলতে হবে যেরূপে মু’মিনগণ মেনে থাকেন। তাদেরকে আরবের সাধারণ মুসলমানের মতো জীবনযাপন করতে হবে। তারা যেমনি যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশ লাভ করে না, এরাও তেমনি এর কোন ভাগ পাবে না, যে পর্যন্ত মুজাহিদগণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে।
২. যদি তারা ইসলাম গ্রহণ না করে তবে তাদের নিরাপত্তার জন্য জিয্ইয়া প্রদানের প্রস্তাব দিবে। এতে রাযী হলে তুমি মেনে নিবে এবং তাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না।
৩. যদি তারা জিযইয়া দিতে অস্বীকার করে তবে তাদের ওপর আক্রমণ চালাবে। আক্রমণকালে যখন কোন শত্রুর দূর্গ অবরোধ করবে আর তারা তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ ও রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব দিয়ে দুর্গ হতে অবতরণের ইচ্ছা প্রকাশ করবে, তখন তুমি আল্লাহ অথবা রাসূলের নির্দেশের আশায় তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিবে না বরং তোমার নিজ সিদ্ধান্ত তাদেরকে মেনে নিতে বাধ্য করবে এবং নিজেই সুবিধামত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কারণ, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ কী হবে তা জানা নেই, সুতরাং সে অনিশ্চিয়তার ঝুঁকি গ্রহণ করতে নেই। তাদের ব্যাপারে পরে তোমার ইচ্ছানুযায়ী ফয়সালা গ্রহণ করবে।
অত্র হাদীসের রাবী সুফিইয়ান বলেন, তাঁর শায়খ আলকামা বলেছেন, তিনি এ হাদীসটির বিশুদ্ধতা সম্পর্কে মুহাদ্দিস মুকাতিল ইবনে হিব্বানকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি অপর সনদে নু‘মান ইবনে মুকাররিন কর্তৃক নবী করীম (ﷺ) হতে সুলাইমান ইবনে বুরায়দা (রাযিঃ) এর উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
১. তাদেরকে ইসলামের আহবান জানাবে। যদি এতে সাড়া দেয়, তুমি মেনে নিবে আর তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হতে বিরত থাকবে। তারপর তাদেরকে নিজ দেশে ছেড়ে মুহাজিরদের দেশে অর্থাৎ মদীনায় হিজরত করার আহবান জানাবে আর তাদেরকে অবহিত করে দিবে যে, হিজরত করার পর মুহাজিরগণ যে সকল সুবিধা ভোগ করেন, তারাও সে সকল সুবিধা ভোগ করবে। আর জিহাদের যে সকল দায়-দায়িত্ব মুহাজিরদের ওপর বর্তায়, তাদের ওপরও তা সমভাবে বর্তাবে। তারা যদি এ প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানায় আর নিজ দেশেই অবস্থান করতে চায় তবে তাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, তাদেরকে আল্লাহ আদেশ-নিষেধ ও বিধি- বিধান মেনে চলতে হবে যেরূপে মু’মিনগণ মেনে থাকেন। তাদেরকে আরবের সাধারণ মুসলমানের মতো জীবনযাপন করতে হবে। তারা যেমনি যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশ লাভ করে না, এরাও তেমনি এর কোন ভাগ পাবে না, যে পর্যন্ত মুজাহিদগণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে।
২. যদি তারা ইসলাম গ্রহণ না করে তবে তাদের নিরাপত্তার জন্য জিয্ইয়া প্রদানের প্রস্তাব দিবে। এতে রাযী হলে তুমি মেনে নিবে এবং তাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না।
৩. যদি তারা জিযইয়া দিতে অস্বীকার করে তবে তাদের ওপর আক্রমণ চালাবে। আক্রমণকালে যখন কোন শত্রুর দূর্গ অবরোধ করবে আর তারা তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ ও রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব দিয়ে দুর্গ হতে অবতরণের ইচ্ছা প্রকাশ করবে, তখন তুমি আল্লাহ অথবা রাসূলের নির্দেশের আশায় তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিবে না বরং তোমার নিজ সিদ্ধান্ত তাদেরকে মেনে নিতে বাধ্য করবে এবং নিজেই সুবিধামত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কারণ, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ কী হবে তা জানা নেই, সুতরাং সে অনিশ্চিয়তার ঝুঁকি গ্রহণ করতে নেই। তাদের ব্যাপারে পরে তোমার ইচ্ছানুযায়ী ফয়সালা গ্রহণ করবে।
অত্র হাদীসের রাবী সুফিইয়ান বলেন, তাঁর শায়খ আলকামা বলেছেন, তিনি এ হাদীসটির বিশুদ্ধতা সম্পর্কে মুহাদ্দিস মুকাতিল ইবনে হিব্বানকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি অপর সনদে নু‘মান ইবনে মুকাররিন কর্তৃক নবী করীম (ﷺ) হতে সুলাইমান ইবনে বুরায়দা (রাযিঃ) এর উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
باب فِي دُعَاءِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ أَمِيرًا عَلَى سَرِيَّةٍ أَوْ جَيْشٍ أَوْصَاهُ بِتَقْوَى اللَّهِ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ وَبِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا وَقَالَ " إِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلاَثِ خِصَالٍ أَوْ خِلاَلٍ فَأَيَّتُهَا أَجَابُوكَ إِلَيْهَا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمُ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَعْلِمْهُمْ أَنَّهُمْ إِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ أَنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَأَنَّ عَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ فَإِنْ أَبَوْا وَاخْتَارُوا دَارَهُمْ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يُجْرَى عَلَيْهِمْ حُكْمُ اللَّهِ الَّذِي يَجْرِي عَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَكُونُ لَهُمْ فِي الْفَىْءِ وَالْغَنِيمَةِ نَصِيبٌ إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَادْعُهُمْ إِلَى إِعْطَاءِ الْجِزْيَةِ فَإِنْ أَجَابُوا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ تَعَالَى وَقَاتِلْهُمْ وَإِذَا حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَأَرَادُوكَ أَنْ تُنْزِلَهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ تَعَالَى فَلاَ تُنْزِلْهُمْ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ مَا يَحْكُمُ اللَّهُ فِيهِمْ وَلَكِنْ أَنْزِلُوهُمْ عَلَى حُكْمِكُمْ ثُمَّ اقْضُوا فِيهِمْ بَعْدُ مَا شِئْتُمْ " . قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ عَلْقَمَةُ فَذَكَرْتُ هَذَا الْحَدِيثَ لِمُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ فَقَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمٌ - قَالَ أَبُو دَاوُدَ هُوَ ابْنُ هَيْصَمٍ - عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ .


বর্ণনাকারী: