আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২২- ওমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ১৬৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯০
১১২১. হজ্জে যে কাজ করা হয় উমরাতেও তাই করবে
১৬৭৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বাল্যকালে একবার নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাযিঃ) কে বললাম, আল্লাহর বাণীঃ সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কাবাগৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এ দু’টির মধ্যে সা’ঈ করে, তার কোন পাপ নেই। (২ঃ ১৫৮) তাই সাফা-মারওয়ার সা’ঈ না করা আমি কারো পক্ষে অপরাধ মনে করি না।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, বিষয়টি এমন নয়। কেননা, তুমি যেমন বলছ, ব্যাপারটি তেমন হলে আয়াতটি অবশ্যই এমন হতঃ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا অর্থাৎ এ দু’টির মাঝে তাওয়াফ না করলে কোন পাপ নেই। এ আয়াত তো আনসারদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। কেননা তারা মানাতের জন্য ইহরাম বাঁধত। আর মানাত কুদায়দের সামনে ছিল। তাই আনসাররা সাফা-মারওয়া তাওয়াফ করতে দ্বিধাবোধ করত।
এরপর ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেনঃ ‘সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতারাং যে কাবাগৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এ দু’টির মধ্যে সা’ঈ করে, তার কোন পাপ নেই।
সুফিয়ান ও আবু মুআবিয়া (রাহঃ) হিশাম (রাহঃ) থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ না করলে আল্লাহ কারো হজ্জ এবং উমরাকে পূর্ণাঙ্গ গণ্য করেন না।
باب يَفْعَلُ فِي الْعُمْرَةِ مَا يَفْعَلُ فِي الْحَجِّ
1790 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ -: أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى {إِنَّ الصَّفَا وَالمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ} [البقرة: 158] اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ البَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا، فَلاَ أُرَى عَلَى أَحَدٍ شَيْئًا أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: " كَلَّا، لَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ: كَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا، إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي الأَنْصَارِ كَانُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ، وَكَانَتْ مَنَاةُ حَذْوَ قُدَيْدٍ، وَكَانُوا يَتَحَرَّجُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ، فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ": {إِنَّ الصَّفَا وَالمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ البَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا} [البقرة: 158] ، زَادَ سُفْيَانُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامٍ: «مَا أَتَمَّ اللَّهُ حَجَّ امْرِئٍ، وَلاَ عُمْرَتَهُ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ»
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ১৬৭৫ | মুসলিম বাংলা