কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬৫
১৪১. ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস বা মিলন।
২১৬২. মুসা ইবনে ইসমাঈল ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ইয়াহুদীদের স্ত্রীলোকের ঋতুবতী হতো, তখন তারা তাদেরকে ঘর হতে বের করে দিত এবং তাদের সাথে খানাপিনা করতো না। এমনকি তারা তাদের সাথে একই ঘরে অবস্থানও করতো না। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করা হলে আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ ‘‘তারা আপনাকে হায়যওয়ালী স্ত্রীদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলুন, তা অপবিত্র বস্তু। কাজেই হায়যকালীর সময়ে তোমরা তাদের সাথে একই ঘরে বসবাস করবে এবং সঙ্গম ব্যতীত আর সবই করবে।″ তখন ইয়াহুদীরা বলে, এই লোকটি তো আমাদের নিয়মের ব্যতিক্রম করছে।
অতঃপর উসায়দ ইবনে হুযায়র ও আব্বাস ইবনে বিশর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলে, হে আল্লাহর রাসুল! ইয়াহুদীরা এইরূপ সমালোচনা করেছে। আমরা কী স্ত্রীদের সাথে ঋতুবতী থাকাকালীন সময়ে সহবাস করব না? এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মোবারক পরিবর্তিত হয়ে যায়। আমরা ধারণা করি যে, তিনি তাঁদের উভয়ের উপর রাগান্বিত হয়েছেন। অতঃপর তারা কিছু দুধ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করে। তখন তিনি তাদেরকে ডেকে পাঠান। অতঃপর এতে আমরা ধারণা করি যে, তিনি তাঁদের উপর রাগান্বিত হননি।
অতঃপর উসায়দ ইবনে হুযায়র ও আব্বাস ইবনে বিশর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলে, হে আল্লাহর রাসুল! ইয়াহুদীরা এইরূপ সমালোচনা করেছে। আমরা কী স্ত্রীদের সাথে ঋতুবতী থাকাকালীন সময়ে সহবাস করব না? এতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মোবারক পরিবর্তিত হয়ে যায়। আমরা ধারণা করি যে, তিনি তাঁদের উভয়ের উপর রাগান্বিত হয়েছেন। অতঃপর তারা কিছু দুধ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করে। তখন তিনি তাদেরকে ডেকে পাঠান। অতঃপর এতে আমরা ধারণা করি যে, তিনি তাঁদের উপর রাগান্বিত হননি।
باب فِي إِتْيَانِ الْحَائِضِ وَمُبَاشَرَتِهَا
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ الْيَهُودَ، كَانَتْ إِذَا حَاضَتْ مِنْهُمُ امْرَأَةٌ أَخْرَجُوهَا مِنَ الْبَيْتِ وَلَمْ يُؤَاكِلُوهَا وَلَمْ يُشَارِبُوهَا وَلَمْ يُجَامِعُوهَا فِي الْبَيْتِ فَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " جَامِعُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ وَاصْنَعُوا كُلَّ شَىْءٍ غَيْرَ النِّكَاحِ " . فَقَالَتِ الْيَهُودُ مَا يُرِيدُ هَذَا الرَّجُلُ أَنْ يَدَعَ شَيْئًا مِنْ أَمْرِنَا إِلاَّ خَالَفَنَا فِيهِ . فَجَاءَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ وَعَبَّادُ بْنُ بِشْرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْيَهُودَ تَقُولُ كَذَا وَكَذَا أَفَلاَ نَنْكِحُهُنَّ فِي الْمَحِيضِ فَتَمَعَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ قَدْ وَجِدَ عَلَيْهِمَا فَخَرَجَا فَاسْتَقْبَلَتْهُمَا هَدِيَّةٌ مِنْ لَبَنٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ فِي آثَارِهِمَا فَسَقَاهُمَا فَظَنَنَّا أَنَّهُ لَمْ يَجِدْ عَلَيْهِمَا .
