কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৬. বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ২১৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২১৬৪
১৪০. সহবাস সম্পর্কীয় অন্যান্য হাদীস।
২১৬১. আব্দুল আযীয ইবনে ইয়াহয়া ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ইবনে উমর, আল্লাহ্ তাঁকে বা তাঁদেরকে মার্জনা করুন- বলেছেনঃ জাহিলীয়াতের যুগে আনসারগণ দেব দেবীর পূজার্চনা করতো এবং ইয়াহুদীদের সাথে অবস্থান করতো। তারা (ইয়াহুদীরা) আহলে কিতাব ছিল এবং সেজন্য তারা (ইয়াহুদীরা) আনসারদের উপর জ্ঞানের দিক দিয়ে তাদের শ্যেষ্ঠত্ব দেখাত। আর তাঁরা (আনসারগণ) অনেক ব্যাপারে তাদের (ইয়াহুদীদের) অনুসরণ করতো। আর আহলে কিতাবদের নিয়ম ছিল যে, তাঁরা তাদের স্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন অবস্থায় সহবাস করত। আর এটাই ছিল স্ত্রীদের সাথে সহবাসের নিয়ম। আর আনসারদের এই গোত্রটি তাদের নিকট হতে এই নিয়মটি গ্রহণ করে। আর কুরাইশদের এই গোত্রটি, তাদের স্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন অবস্থায় সহবাস করতো, এমনকি তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে সামনাসামনি, পশ্চাতদিক দিয়ে ও চিৎ হয়ে শায়িত অবস্থায় সহবাস করতো।
অতঃপর তারা যখন মুহাজির অবস্থায় মদীনাতে আগমন করে, তখন তাদের কোন এক ব্যক্তি আনসারদের জনৈকা মহিলাকে বিবাহ করে। তখন সে তার সাথে ঐ প্রক্রিয়ার সহবাস করতে গেলে উক্ত মহিলা তাকে ঐরূপে সঙ্গম করতে বাঁধা দেয় এবং বলে, আমাদের এখানকার সহবাসের একটি নিয়ম, কাজেই তুমি সেই নিয়মে আমার সাথে সঙ্গম করো, অন্যথায় আমার নিকট হতে দূরে সরে যাও। অতঃপর তাদের এই ব্যাপারটি জটিলতর হলে এতদসম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে অবহিত করা হয়। তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াতটি নাযিল করেনঃ তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরূপ। কাজেই তোমরা তোমাদের ক্ষেতে যেরূপে ইচ্ছা গমন কর, চাই তো সম্মুখ দিক দিয়ে হোক কিংবা চিৎ হয়ে শায়িত অবস্থায় হোক, অর্থাৎ যে কোন অবস্থাতেই হোক না কেন, যৌনাঙ্গে সহবাস করবে।
অতঃপর তারা যখন মুহাজির অবস্থায় মদীনাতে আগমন করে, তখন তাদের কোন এক ব্যক্তি আনসারদের জনৈকা মহিলাকে বিবাহ করে। তখন সে তার সাথে ঐ প্রক্রিয়ার সহবাস করতে গেলে উক্ত মহিলা তাকে ঐরূপে সঙ্গম করতে বাঁধা দেয় এবং বলে, আমাদের এখানকার সহবাসের একটি নিয়ম, কাজেই তুমি সেই নিয়মে আমার সাথে সঙ্গম করো, অন্যথায় আমার নিকট হতে দূরে সরে যাও। অতঃপর তাদের এই ব্যাপারটি জটিলতর হলে এতদসম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে অবহিত করা হয়। তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াতটি নাযিল করেনঃ তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরূপ। কাজেই তোমরা তোমাদের ক্ষেতে যেরূপে ইচ্ছা গমন কর, চাই তো সম্মুখ দিক দিয়ে হোক কিংবা চিৎ হয়ে শায়িত অবস্থায় হোক, অর্থাৎ যে কোন অবস্থাতেই হোক না কেন, যৌনাঙ্গে সহবাস করবে।
باب فِي جَامِعِ النِّكَاحِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الأَصْبَغِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ ابْنَ عُمَرَ - وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَهُ - أَوْهَمَ إِنَّمَا كَانَ هَذَا الْحَىُّ مِنَ الأَنْصَارِ - وَهُمْ أَهْلُ وَثَنٍ - مَعَ هَذَا الْحَىِّ مِنْ يَهُودَ - وَهُمْ أَهْلُ كِتَابٍ - وَكَانُوا يَرَوْنَ لَهُمْ فَضْلاً عَلَيْهِمْ فِي الْعِلْمِ فَكَانُوا يَقْتَدُونَ بِكَثِيرٍ مِنْ فِعْلِهِمْ وَكَانَ مِنْ أَمْرِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنْ لاَ يَأْتُوا النِّسَاءَ إِلاَّ عَلَى حَرْفٍ وَذَلِكَ أَسْتَرُ مَا تَكُونُ الْمَرْأَةُ فَكَانَ هَذَا الْحَىُّ مِنَ الأَنْصَارِ قَدْ أَخَذُوا بِذَلِكَ مِنْ فِعْلِهِمْ وَكَانَ هَذَا الْحَىُّ مِنْ قُرَيْشٍ يَشْرَحُونَ النِّسَاءَ شَرْحًا مُنْكَرًا وَيَتَلَذَّذُونَ مِنْهُنَّ مُقْبِلاَتٍ وَمُدْبِرَاتٍ وَمُسْتَلْقِيَاتٍ فَلَمَّا قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ الْمَدِينَةَ تَزَوَّجَ رَجُلٌ مِنْهُمُ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ فَذَهَبَ يَصْنَعُ بِهَا ذَلِكَ فَأَنْكَرَتْهُ عَلَيْهِ وَقَالَتْ إِنَّمَا كُنَّا نُؤْتَى عَلَى حَرْفٍ فَاصْنَعْ ذَلِكَ وَإِلاَّ فَاجْتَنِبْنِي حَتَّى شَرِيَ أَمْرُهُمَا فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ ) أَىْ مُقْبِلاَتٍ وَمُدْبِرَاتٍ وَمُسْتَلْقِيَاتٍ يَعْنِي بِذَلِكَ مَوْضِعَ الْوَلَدِ .
