মা'আরিফুল হাদীস

যাকাত অধ্যায়

হাদীস নং: ১০
যাকাত অধ্যায়
অলংকারাদির যাকাত আদায়ের নির্দেশ
১০. হযরত উম্মে সালামা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সোনার আওযাহ (এক বিশেষ ধরনের বালা) পরতাম। তাই আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। এটা কি কানযের অন্তর্ভুক্ত? (যার উপর জাহান্নামের আযাবের ধমকি এসেছে।) তিনি উত্তর দিলেন: যে মাল যাকাতের নেসাব পর্যন্ত পৌঁছে যায়, আর এর যাকাত আদায় করে দেওয়া হয়, এটা কানয (অন্যায় সঞ্চয় নয়।) -মুয়াত্তা মালেক, আবু দাউদ
کتاب الزکوٰۃ
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، ‏‏‏‏‏‏قَالَتْ : ‏‏‏‏ كُنْتُ أَلْبَسُ أَوْضَاحًا مِنْ ذَهَبٍ ، ‏‏‏‏‏‏فَقُلْتُ : ‏‏‏‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، ‏‏‏‏‏‏أَكَنْزٌ هُوَ؟ فَقَالَ : ‏‏‏‏ "مَا بَلَغَ أَنْ تُؤَدَّى زَكَاتُهُ ، ‏‏‏‏‏‏فَزُكِّيَ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ".
(رواه مالک وابوداؤد)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এসব হাদীসের ভিত্তিতেই ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেন যে, সোনা-রূপার অলংকার যদি নেসাব পরিমাণ হয়, তাহলে এগুলোর যাকাত দিতে হবে। তবে ইমাম মালেক, শাফেয়ী ও আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)-এর নিকট অলংকারাদিতে যাকাত কেবল তখনই ফরয- যখন এগুলো ব্যবসার জন্য রাখা হয় অথবা মালকে সংরক্ষণ করার জন্য তৈরী করা হয়ে থাকে। কিন্তু যেসব অলংকার কেবল ব্যবহার ও সাজ-সজ্জার জন্য থাকে, এ তিন ইমামের মতে এগুলোর উপর যাকাত নেই।

এ মাসআলাটিতে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও মতবিরোধ ছিল। তবে হাদীস দ্বারা ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ)-এর মতের সপক্ষেই বেশী সমর্থন পাওয়া যায়। এ জন্যই শাফেয়ী মাযহাবের বিজ্ঞ আলেমগণও এ মাসআলায় হানাফী মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন, তফসীরে কবীরে ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (রহঃ) এ নীতিই অবলম্বন করেছেন এবং লিখেছেন যে, প্রকাশ্য দলীলসমূহ এ মতকেই অধিক শক্তি যোগায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান