মা'আরিফুল হাদীস
সলাত অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৬
সলাত অধ্যায়
রাফি ইয়াদাঈন (সালাতে হাত উত্তোলন)
'রাফি ইয়াদাইন' (সালাতে তাকবীরে উলার সময় হাত উত্তোলন ছাড়াও হাত উত্তোলন) বিষয়ক মাসআলা ও পূর্বোক্ত মাসআলার অনুরূপ। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত রুকূতে যাবার সময়, রুকু থেকে উঠার সময় বরং সিজদা থেকে উঠার সময় এবং তৃতীয় রাক'আতের জন্য দাঁড়ানোর সময় যে রাফি ইয়াদাইন করতেন এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। যেমন, এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর, ওয়ায়িল ইবনে হুজর এবং আবূ হুমায়দ সাঈদী (রা) ও অন্যান্য সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অনরূপভাবে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ কেবল তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত উত্তোলন করতেন, পুরো সালাতে আর কখনো হাত উত্তোলন করতেন না। যেমন, এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ, রাবা ইবনে আযিব (রা) প্রমুখ সাহাবা সূত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। একইভাবে সাহাবা কিরাম একটি বিরাট জনগোষ্ঠির মধ্যে উভয়বিধ আমল পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং মুজতাহিদ আলিমগণের মধ্যে কেবল উত্তম ও অগ্রাধিকার নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে উভয়বিধ পদ্ধতি জায়িয ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।
'রাফি ইয়াদাইন' (সালাতে তাকবীরে উলার সময় হাত উত্তোলন ছাড়াও হাত উত্তোলন) বিষয়ক মাসআলা ও পূর্বোক্ত মাসআলার অনুরূপ। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত রুকূতে যাবার সময়, রুকু থেকে উঠার সময় বরং সিজদা থেকে উঠার সময় এবং তৃতীয় রাক'আতের জন্য দাঁড়ানোর সময় যে রাফি ইয়াদাইন করতেন এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। যেমন, এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর, ওয়ায়িল ইবনে হুজর এবং আবূ হুমায়দ সাঈদী (রা) ও অন্যান্য সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অনরূপভাবে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ কেবল তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত উত্তোলন করতেন, পুরো সালাতে আর কখনো হাত উত্তোলন করতেন না। যেমন, এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ, রাবা ইবনে আযিব (রা) প্রমুখ সাহাবা সূত্রে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। একইভাবে সাহাবা কিরাম একটি বিরাট জনগোষ্ঠির মধ্যে উভয়বিধ আমল পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং মুজতাহিদ আলিমগণের মধ্যে কেবল উত্তম ও অগ্রাধিকার নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে উভয়বিধ পদ্ধতি জায়িয ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।
১৩৬. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাত শুরু করতেন তখন দুই হাত উভয় কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তারপর যখন রুকূর জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকূ হতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দুই হাত উঠাতেন এবং বলতেন। 'সামি'আল্লাহু লিমান হামিদা' তবে সিজদায় যাবার সময় এরূপ করতেন না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ ، وَإِذَا كَبَّرَ لِلرُّكُوعِ ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ، رَفَعَهُمَا كَذَلِكَ ، وَقَالَ : سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ، رَبَّنَا لَكَ الحَمْدُ ، وَكَانَ لاَ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السُّجُودِ " (رواه البخارى ومسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) বর্ণিত হাদীসে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়াও রুকূতে যাবার সময় ও উঠার সময় রাফি ইয়াদাইনের বিষয় উল্লিখিত হয়েছে এবং একই সাথে সিজদায় রাফি ইয়াদাইন না করার বিষয় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তাঁরই অপর এক বর্ণনায় তৃতীয় রাক'আতের জন্য উঠার সময় রাফি ইয়াদাঈনের বিষয় উল্লিখিত হয়েছে এবং এ রিওয়ায়াত সহীহ বুখারীতে স্থান পেয়েছে।
মালিক ইবনে হুয়াইরিস এবং ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা) বর্ণিত হাদীসসমূহেও (যা ইমাম নাসায়ী ও আবু দাউদ (র) বর্ণনা করেছেন) সিজদার সময় রাফি' ইয়াদাঈনের বিষয় উল্লিখিত হয়েছে যা হযরত ইবনে উমর (রা) বর্ণিত পূর্বোল্লিখিত হাদীসে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।
ঘটনা হচ্ছে এরূপ, উপরে যেসব বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা মূলতঃ সবই বিশুদ্ধ। মালিক ইবনে হুয়াইরিস এবং ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা) এর বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সিজদায় যাবার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময় রাফি ইয়াদাঈন করতেন। কিন্তু হযরত ইবনে উমর (রা) এর বর্ণনায় আছে যে, তিনি সিজদায় রাফি ইয়াদাইন করতেন না। উভয় বর্ণনার মধ্যে এভাবে সামঞ্জস্য বিধান করা যায় যে, কখনো কখনো তিনি যে আমল করেছেন তা মালিক ইবনে হুয়াইরিস ও ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা) প্রত্যক্ষ করেছেন। কিন্তু ইবনে উমর (রা) এই ঘটনা দেখেন নি। তাই তিনি নিজ জ্ঞান মতে জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সিজদায় রাফি ইয়াদাঈন করতেন না। তবে এ যদি তার সব সময়ের অথবা বেশির ভাগ সময়ের আমল হতো, তবে তা ইবনে উমর (রা) এর মত সাহাবী তা জানবেন না, তা অসম্ভব ব্যাপার।
মালিক ইবনে হুয়াইরিস এবং ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা) বর্ণিত হাদীসসমূহেও (যা ইমাম নাসায়ী ও আবু দাউদ (র) বর্ণনা করেছেন) সিজদার সময় রাফি' ইয়াদাঈনের বিষয় উল্লিখিত হয়েছে যা হযরত ইবনে উমর (রা) বর্ণিত পূর্বোল্লিখিত হাদীসে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।
ঘটনা হচ্ছে এরূপ, উপরে যেসব বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা মূলতঃ সবই বিশুদ্ধ। মালিক ইবনে হুয়াইরিস এবং ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা) এর বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সিজদায় যাবার সময় এবং সিজদা থেকে উঠার সময় রাফি ইয়াদাঈন করতেন। কিন্তু হযরত ইবনে উমর (রা) এর বর্ণনায় আছে যে, তিনি সিজদায় রাফি ইয়াদাইন করতেন না। উভয় বর্ণনার মধ্যে এভাবে সামঞ্জস্য বিধান করা যায় যে, কখনো কখনো তিনি যে আমল করেছেন তা মালিক ইবনে হুয়াইরিস ও ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা) প্রত্যক্ষ করেছেন। কিন্তু ইবনে উমর (রা) এই ঘটনা দেখেন নি। তাই তিনি নিজ জ্ঞান মতে জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সিজদায় রাফি ইয়াদাঈন করতেন না। তবে এ যদি তার সব সময়ের অথবা বেশির ভাগ সময়ের আমল হতো, তবে তা ইবনে উমর (রা) এর মত সাহাবী তা জানবেন না, তা অসম্ভব ব্যাপার।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)