মা'আরিফুল হাদীস
সলাত অধ্যায়
হাদীস নং: ১১০
সলাত অধ্যায়
কতিপয় বিশেষ যিকর ও দু'আ
১১০. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ সালাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীরে তাহরীমা বলতেন। তারঃপর তিনি
وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ، ظَلَمْتُ نَفْسِي، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا، إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ، وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ،
বলতেন: "আমি এক নিষ্ঠভাবে তাঁর দিকে মুখ করছি যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর এ জন্যই আমি আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি আত্মসমর্পণ কারীদের অন্তর্গত। হে আল্লাহ্! তুমিই বাদশাহ, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তুমি আমার প্রতিপালক আর আমি তোমার দাস, আমি আমার নিজের উপর যুলম করেছি এবং আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমার যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত অপর কেউ অপরাধসমূহ ক্ষমা করতে পারে না, তুমি আমাকে উত্তম চরিত্রের উপর পরিচালিত কর। কেননা তুমি ব্যতীত কেউ উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করতে পারে না। তুমি পাপ কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখ। তমি ব্যতীত কেউ আমাকে তা থেকে দূরে রাখতে পারে না। হে আল্লাহ্! আমি তোমার দরবারে উপস্থিত আছি এবং তোমার নির্দেশ পালনের জন্য প্রস্তুত আছি। সার্বিক কল্যাণ তোমারই হাতে নিবদ্ধ এবং কোন অকল্যাণই তোমার প্রতি বর্তায় না। আমি তোমার সাহায্যেই প্রতিষ্ঠিত আছি এবং তোমার প্রতি প্রত্যাবর্তন করছি। তুমি বরকাতময়, তুমি সুউচ্চ মহান, আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার অভিমুখী হচ্ছি।
যখন তিনি রুকূ' করতেন তখন বলতেনঃ اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَعِظَامِي وَمُخِّي وَعَصَبِي হে আল্লাহ্! আমি তোমারই জন্য রুকু করছি এবং তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি এবং তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করছি। তোমার নিকট অবনমিত আমার শ্রবণশক্তি, আমার দৃষ্টিশক্তি, আমার হাড় মজ্জা, আমার অস্থি ও আমার শিরা উপশিরা। এরপর যখন মাথা উঠাতেন তখন বলতেন: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ، مِلْءَ السَّمَاوَاتِ، وَمِلْءَ الْأَرْضِ، وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ হে আল্লাহ্! আমাদের প্রতিপালক! তোমার এমন প্রশংসা যা দিয়ে আসমান ও যমীনসমূহ এবং এ দু'য়ের মধ্যে যা কিছু আছে সকলেই পরিপূর্ণ। যখন সিজদা করতেন তখন বলতেন: اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ. سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ "হে আল্লাহ্ আমি তোমারই উদ্দেশ্যে সিজদা করছি এবং তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি এবং তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করছি। আমার চেহারা তাঁকেই সিজদা করল যিনি তার স্রষ্টা, দান করেছেন উত্তম আকৃতি এবং কান ও চোখ। বরকতময় আল্লাহ্-শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকর্তা"। এর পর সর্বশেষে তাশাহ্হুদ ও সালামের মাঝে যা পাঠ করতেন তা এই যে, اللَّهُمَّ
اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي. أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ "হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর যা আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করব এবং যা আমি গোপনে করেছি আর যা আমি প্রকাশ্যে করেছি এবং যা আমি সীমাতিক্রম করেছি আর যা তুমি আমার অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত। তুমিই প্রথম, তুমিই শেষ; তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই।" (মুসলিম)
وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ، ظَلَمْتُ نَفْسِي، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا، إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ، وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ،
বলতেন: "আমি এক নিষ্ঠভাবে তাঁর দিকে মুখ করছি যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন অংশীদার নেই। আর এ জন্যই আমি আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি আত্মসমর্পণ কারীদের অন্তর্গত। হে আল্লাহ্! তুমিই বাদশাহ, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তুমি আমার প্রতিপালক আর আমি তোমার দাস, আমি আমার নিজের উপর যুলম করেছি এবং আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমার যাবতীয় অপরাধ ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত অপর কেউ অপরাধসমূহ ক্ষমা করতে পারে না, তুমি আমাকে উত্তম চরিত্রের উপর পরিচালিত কর। কেননা তুমি ব্যতীত কেউ উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করতে পারে না। তুমি পাপ কাজ থেকে আমাকে দূরে রাখ। তমি ব্যতীত কেউ আমাকে তা থেকে দূরে রাখতে পারে না। হে আল্লাহ্! আমি তোমার দরবারে উপস্থিত আছি এবং তোমার নির্দেশ পালনের জন্য প্রস্তুত আছি। সার্বিক কল্যাণ তোমারই হাতে নিবদ্ধ এবং কোন অকল্যাণই তোমার প্রতি বর্তায় না। আমি তোমার সাহায্যেই প্রতিষ্ঠিত আছি এবং তোমার প্রতি প্রত্যাবর্তন করছি। তুমি বরকাতময়, তুমি সুউচ্চ মহান, আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার অভিমুখী হচ্ছি।
যখন তিনি রুকূ' করতেন তখন বলতেনঃ اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَعِظَامِي وَمُخِّي وَعَصَبِي হে আল্লাহ্! আমি তোমারই জন্য রুকু করছি এবং তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি এবং তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করছি। তোমার নিকট অবনমিত আমার শ্রবণশক্তি, আমার দৃষ্টিশক্তি, আমার হাড় মজ্জা, আমার অস্থি ও আমার শিরা উপশিরা। এরপর যখন মাথা উঠাতেন তখন বলতেন: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ، مِلْءَ السَّمَاوَاتِ، وَمِلْءَ الْأَرْضِ، وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ হে আল্লাহ্! আমাদের প্রতিপালক! তোমার এমন প্রশংসা যা দিয়ে আসমান ও যমীনসমূহ এবং এ দু'য়ের মধ্যে যা কিছু আছে সকলেই পরিপূর্ণ। যখন সিজদা করতেন তখন বলতেন: اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ. سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ "হে আল্লাহ্ আমি তোমারই উদ্দেশ্যে সিজদা করছি এবং তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছি এবং তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করছি। আমার চেহারা তাঁকেই সিজদা করল যিনি তার স্রষ্টা, দান করেছেন উত্তম আকৃতি এবং কান ও চোখ। বরকতময় আল্লাহ্-শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকর্তা"। এর পর সর্বশেষে তাশাহ্হুদ ও সালামের মাঝে যা পাঠ করতেন তা এই যে, اللَّهُمَّ
اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي. أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ "হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা কর যা আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করব এবং যা আমি গোপনে করেছি আর যা আমি প্রকাশ্যে করেছি এবং যা আমি সীমাতিক্রম করেছি আর যা তুমি আমার অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত। তুমিই প্রথম, তুমিই শেষ; তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই।" (মুসলিম)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَلِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ ، كَبَّرَ ثُمَّ قَالَ : « وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ ، إِنَّ صَلَاتِي ، وَنُسُكِي ، وَمَحْيَايَ ، وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ، لَا شَرِيكَ لَهُ ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ ، اللهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ رَبِّي ، وَأَنَا عَبْدُكَ ، ظَلَمْتُ نَفْسِي ، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي ، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا ، إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ ، وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ ، وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ » ، وَإِذَا رَكَعَ ، قَالَ : « اللهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ ، وَبِكَ آمَنْتُ ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي ، وَبَصَرِي ، وَمُخِّي ، وَعَظْمِي ، وَعَصَبِي » ، فَإِذَا رَفَعَ ، قَالَ : « اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاوَاتِ ، وَالْأَرْضِ ، وَمَا بَيْنَهُمَا ، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ » ، وَإِذَا سَجَدَ ، قَالَ : « اللهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ ، وَبِكَ آمَنْتُ ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ ، سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ ، وَصَوَّرَهُ ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ ، تَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ » ، ثُمَّ يَكُونُ مِنْ آخِرِ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالتَّسْلِيمِ : « اللهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ ، وَمَا أَسْرَفْتُ ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ » . (رواه مسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সালাত সম্পর্কীয় সমস্ত হাদীস পাঠ করে জানা যায় যে, হযরত আলী (রা) এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর সালাতের যে সবিস্তার বিবরণ দিয়েছেন এবং রুকু, সিজদা, কিয়াম ইত্যাদি অবস্থায় পঠিতব্য দু'আর যে বিবরণ দিয়েছেন, তা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর প্রাত্যহিক ফরয সালাতের পঠিত ধারাবাহিক দু'আ ছিল না। বরং তিনি কখনো কখনো এরূপ দু'আ করে থাকবেন। আর এটাও সম্ভব যে, তিনি তাহাজ্জুদ সালাতে এরূপ পাঠ করতেন। ইমাম মুসলিম (র) এই হাদীসটিকে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর তাহাজ্জুদ সালাতের ধারাবাহিকতায়ই উল্লেখ করেছেন।
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর যে সর দু'আ বর্ণিত হয়েছে তা থেকে কিছুটা হলেও অনুমান করা যায় যে, সালাতরত অবস্থায় তাঁর অন্তরের অবস্থা কিরূপ হতো এবং কত একাগ্রতা সহকারে তিনি সালাত আদায় করতেন। আল্লাহ্ আমাদেরকে এসবের কিঞ্চিৎ হলেও নসীব করুন। সালাতে বিশেষত তাহাজ্জুদ সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর আরো বহু দু'আ পাঠের বিষয় প্রমাণিত। ইনশা'আল্লাহ্ সে বিষয় যথা স্থানে বর্ণনা করা হবে। এসব দু'আয় এক ধরনের প্রাণ রয়েছে। যদি এ বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ফরয সালাতে এসব দু'আ পাঠ করলে মুক্তাদীরা বিরক্তভাব দেখাবে না তাহলে ইমামের এসব দু'আ পাঠ করতে পারেন। নফল সালাতে এসব দু'আ অবশ্যই পাঠ করা উচিত। মহান আল্লাহ্ বাণী- و فِي ذَلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُونَ "এ বিষয়ে প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক।" (৮৩, সূরা মুতাফফিফীনঃ ২৬)
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর যে সর দু'আ বর্ণিত হয়েছে তা থেকে কিছুটা হলেও অনুমান করা যায় যে, সালাতরত অবস্থায় তাঁর অন্তরের অবস্থা কিরূপ হতো এবং কত একাগ্রতা সহকারে তিনি সালাত আদায় করতেন। আল্লাহ্ আমাদেরকে এসবের কিঞ্চিৎ হলেও নসীব করুন। সালাতে বিশেষত তাহাজ্জুদ সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর আরো বহু দু'আ পাঠের বিষয় প্রমাণিত। ইনশা'আল্লাহ্ সে বিষয় যথা স্থানে বর্ণনা করা হবে। এসব দু'আয় এক ধরনের প্রাণ রয়েছে। যদি এ বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ফরয সালাতে এসব দু'আ পাঠ করলে মুক্তাদীরা বিরক্তভাব দেখাবে না তাহলে ইমামের এসব দু'আ পাঠ করতে পারেন। নফল সালাতে এসব দু'আ অবশ্যই পাঠ করা উচিত। মহান আল্লাহ্ বাণী- و فِي ذَلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُونَ "এ বিষয়ে প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক।" (৮৩, সূরা মুতাফফিফীনঃ ২৬)
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)