মা'আরিফুল হাদীস
সলাত অধ্যায়
হাদীস নং: ১৭
সলাত অধ্যায়
সালাতের সময়সমূহ
১৭. হযরত আবূ সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: সূর্যের তাপ প্রখর হলে তোমরা যুহরের সালাতকে বিলম্বে (প্রখরতা-প্রশমিত হওয়ার পর) আদায় করবে। কেননা তাপের তীব্রতা জাহান্নামের স্ফীত শিখা থেকে উদ্ভূত। (বুখারী)।
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « أَبْرِدُوا بِالظُّهْرِ ، فَإِنَّ شِدَّةَ الحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ » (رواه البخارى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
দুনিয়ায় আমরা যা কিছু প্রত্যক্ষ ও অনুভব করি তার মধ্যে যেগুলোর বাহ্যিকরূপ রয়েছে তা আমরা জানি ও বুঝি। আর কিছু আছে আভ্যন্তরীণ যা আমাদের অনুভবের ঊর্ধ্বে।
নবী-রাসূলগণ কখনো কখনো ঐ সব বস্তুর প্রতি ইংগিত করেন। যেমন, আলোচ্য হাদীসে নবী কারীম ﷺ বলেছেন: গরমের মওসূমের তাপের প্রখরতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে উদ্ভূত। গরমের প্রখরতার বাহ্যিক কারণ সূর্য, একথা সর্বজনবিদিত এবং তা কেউ অস্বীকার করতে পারেনা। কিন্তু বাতিনী ও অদৃশ্য জগতে জাহান্নামের আগুনের সাথে রয়েছে এর নিবিড় সম্পর্ক। আর এ হচ্ছে ঐ বস্তুরই হাকীকত যা নবী রাসূলগণের মাধ্যমে জানা যায়। প্রকৃতপক্ষে, সর্বাধিক সুখ-শান্তির মূলে রয়েছে জান্নাত এবং সর্ববিধ কষ্ট ও দুঃখের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে জাহান্নাম। দুনিয়ায় যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও দুঃখ কষ্ট রয়েছে তা আখিরাতের সীমাহীন সুখ-দুঃখের তুলনায় বিশাল সমুদ্রের অথৈ জলরাশির এক বিন্দুর সাথে তুলনীয়। সুখ-দুঃখের কেন্দ্র যেমন জান্নাত-জাহান্নাম, তদ্রুপ এক বিন্দু পানির উৎস ও সমুদ্র। এই হাদীসের আলোকে তাই বলা যায় যে, গ্রীষ্ম ঋতুর প্রখরতা জাহান্নামের প্রবল তাপের সাথেই সম্পৃক্ত। মোদ্দাকথা, গরমের প্রখরতা ও দাবদাহ জাহান্নামের সাথে বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট এবং তা আল্লাহর ক্রোধেরই বহিঃপ্রকাশ। আর শীতলতা ও শৈত্য আল্লাহর অসীম রহমতেরই বহিঃপ্রকাশ এজন্যই যে মওসূমের দ্বিপ্রহরে প্রচণ্ড গরমের স্থলভাগ জাহান্নামের রূপ ধারণ করে সে মওসূমে খানিকটা বিলম্বে খরতাপ কমে ঠাণ্ডা হলেই যুহরের সালাত আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নবী-রাসূলগণ কখনো কখনো ঐ সব বস্তুর প্রতি ইংগিত করেন। যেমন, আলোচ্য হাদীসে নবী কারীম ﷺ বলেছেন: গরমের মওসূমের তাপের প্রখরতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে উদ্ভূত। গরমের প্রখরতার বাহ্যিক কারণ সূর্য, একথা সর্বজনবিদিত এবং তা কেউ অস্বীকার করতে পারেনা। কিন্তু বাতিনী ও অদৃশ্য জগতে জাহান্নামের আগুনের সাথে রয়েছে এর নিবিড় সম্পর্ক। আর এ হচ্ছে ঐ বস্তুরই হাকীকত যা নবী রাসূলগণের মাধ্যমে জানা যায়। প্রকৃতপক্ষে, সর্বাধিক সুখ-শান্তির মূলে রয়েছে জান্নাত এবং সর্ববিধ কষ্ট ও দুঃখের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে জাহান্নাম। দুনিয়ায় যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও দুঃখ কষ্ট রয়েছে তা আখিরাতের সীমাহীন সুখ-দুঃখের তুলনায় বিশাল সমুদ্রের অথৈ জলরাশির এক বিন্দুর সাথে তুলনীয়। সুখ-দুঃখের কেন্দ্র যেমন জান্নাত-জাহান্নাম, তদ্রুপ এক বিন্দু পানির উৎস ও সমুদ্র। এই হাদীসের আলোকে তাই বলা যায় যে, গ্রীষ্ম ঋতুর প্রখরতা জাহান্নামের প্রবল তাপের সাথেই সম্পৃক্ত। মোদ্দাকথা, গরমের প্রখরতা ও দাবদাহ জাহান্নামের সাথে বিশেষভাবে সংশ্লিষ্ট এবং তা আল্লাহর ক্রোধেরই বহিঃপ্রকাশ। আর শীতলতা ও শৈত্য আল্লাহর অসীম রহমতেরই বহিঃপ্রকাশ এজন্যই যে মওসূমের দ্বিপ্রহরে প্রচণ্ড গরমের স্থলভাগ জাহান্নামের রূপ ধারণ করে সে মওসূমে খানিকটা বিলম্বে খরতাপ কমে ঠাণ্ডা হলেই যুহরের সালাত আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)