মা'আরিফুল হাদীস
পবিত্রতা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪২
পবিত্রতা অধ্যায়
উযূর সুন্নাত ও আদবসমূহ
উযূতে চার ফরয- এর বিবরণ সূরা মায়িদায় উল্লিখিত আয়াতে রয়েছে, যাতে সালাতের প্রথম উযূর স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে। উযূর চারটি ফরয হল এই, ১. মুখমণ্ডল ধৌত করা, ২. উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা ৩. মাথা মাসেহ করা এবং ৪. উভয় পায়ের গিরা পর্যন্ত ধৌত করা। এ চারটি ফরয ব্যতীত রাসূলুল্লাহ ﷺ উযূতে যে সকল কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং অনুপ্রাণিত করেছেন তা-ই হচ্ছে মূলতঃ উযূর সুন্নাত ও আদব। যার দ্বারা উযূর বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ পূর্ণতা অর্জিত হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, মুখমণ্ডল, হাত-পা একবারের পরিবর্তে তিনবার করে ঘষেঘষে ধোয়া, দাড়ি এবং হাত পায়ের আঙ্গুলের মাঝে আঙ্গুল প্রবিষ্ট করিয়ে খিলাল করা, পরিহিত আংটি নাড়াচাড়া করা যাতে পানি পৌছার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ না থাকে; এমনিভাবে কুলি করা, উযূর শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠ করা, ভাল করে নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, কানের ভিতর ও বাইরের অংশ মাসেহ করা, উযূ শেষে কালেমা শাহাদাত পাঠ করা এবং উযূ শেষে উযূর দু'আ পাঠ করা, এসবই উযূর সুন্নাত এবং আদব বা মুস্তাহাব বিষয়। এগুলোর মাধ্যমেই উযূ পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক।
উযূতে চার ফরয- এর বিবরণ সূরা মায়িদায় উল্লিখিত আয়াতে রয়েছে, যাতে সালাতের প্রথম উযূর স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে। উযূর চারটি ফরয হল এই, ১. মুখমণ্ডল ধৌত করা, ২. উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা ৩. মাথা মাসেহ করা এবং ৪. উভয় পায়ের গিরা পর্যন্ত ধৌত করা। এ চারটি ফরয ব্যতীত রাসূলুল্লাহ ﷺ উযূতে যে সকল কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং অনুপ্রাণিত করেছেন তা-ই হচ্ছে মূলতঃ উযূর সুন্নাত ও আদব। যার দ্বারা উযূর বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ পূর্ণতা অর্জিত হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে, মুখমণ্ডল, হাত-পা একবারের পরিবর্তে তিনবার করে ঘষেঘষে ধোয়া, দাড়ি এবং হাত পায়ের আঙ্গুলের মাঝে আঙ্গুল প্রবিষ্ট করিয়ে খিলাল করা, পরিহিত আংটি নাড়াচাড়া করা যাতে পানি পৌছার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ না থাকে; এমনিভাবে কুলি করা, উযূর শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠ করা, ভাল করে নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, কানের ভিতর ও বাইরের অংশ মাসেহ করা, উযূ শেষে কালেমা শাহাদাত পাঠ করা এবং উযূ শেষে উযূর দু'আ পাঠ করা, এসবই উযূর সুন্নাত এবং আদব বা মুস্তাহাব বিষয়। এগুলোর মাধ্যমেই উযূ পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ পর্যায়ে কিছু সংখ্যক হাদীস পাঠ করা যাক।
৪২. সাঈদ ইবনে যায়িদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি উযূকালে আল্লাহর নাম নেবে না তার উযূ হবেনা। (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الطہارت
عَنْ سعيد بن زيد رَضِي الله عَنهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ » (رواه الترمذى وابن ماجه)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মুসলিম উম্মাতের অধিকাংশ মুজতাহিদের মতে যে উযূতে গাফলতি করে আল্লাহর নাম লওয়া ব্যতীত আদায় করা হয়ত অসম্পূর্ণ ও জ্যোতিবিহীন উযূ। আর অসম্পূর্ণ উযূ মূলতঃ আদায় না হওয়ারই নামান্তর। কিতাবুল ঈমানে এ বিষয়ে সবিস্তার বিবরণ আলোচনা হয়েছে। হযরত আবূ হুরায়রা, ইবনে মাসউদ ও ইবনে উমার (রা) সূত্রে যে হাদীস পরবর্তী নম্বরে বর্ণিত হবে তা থেকে এ কথা ফুটে উঠে যে, যে উযূ 'বিসমিল্লাহ' ব্যতীত সম্পন্ন করা হয়ত সর্বতোভাবে অনর্থক নয় তবে তা অন্তরে প্রভাব বিস্তার ও জ্যোতি সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত অসম্পূর্ণ ও দুর্বল।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)