মা'আরিফুল হাদীস
পবিত্রতা অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮
পবিত্রতা অধ্যায়
মিস্ওয়াক করার বিশেষ সময় ও স্থান
২৮. হযরত শুরাইহ্ ইবনে হানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি একবার আয়েশা (রা) এর কাছে জানতে চাইলাম যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘরে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম কী কাজ করেন? তিনি বললেন: মিসওয়াক করেন। (মুসলিম)
کتاب الطہارت
عَنْ شُرَيْحِ بْنِ هَانِى عَنِ قَالَ : سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْدَأُ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ؟ قَالَتْ : « بِالسِّوَاكِ. (رواه مسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রত্যেক নিদ্রা বিশেষত রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের জন্য উঠলে ভালোভাবে মিস্ওয়াক করে নিতেন। এতদ্ব্যতীত কোন সফর থেকে ঘরে প্রবেশের পর তার প্রথম কাজ হতো মিস্ওয়াক করা। এর দ্বারা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, কেবল উযূর সাথে মিস্ওয়াকের সম্পর্ক নয়। ঘুম থেকে ওঠার পর এবং মিস্ওয়াক করার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে, উযূ করা হোক কি নাই হোক, মিস্ওয়াক করা চাই। এসব হাদীসের আলোকে আমাদের পূর্ববর্তী প্রাজ্ঞ আলিমগণ লেখেন, মিসওয়াক করা সব সময়ের জন্যই মুস্তাহাব এবং সাওয়াব প্রাপ্তির মাধ্যম। তবে বিশেষ পাঁচ সময়ে মিস্ওয়াক করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যথাঃ ১. উযূর পূর্বে, ২. উযূ এবং সালাতের মধ্যে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে সালাতে দাঁড়ানোর সময়, ৩. কুরআন শরীফ পাঠের পূর্বে ৪. নিদ্রা ভঙ্গ করার পর এবং ৫. মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে এবং দাঁত ময়লা হয়ে গেলে দাঁত পরিষ্কার করার লক্ষ্যে মিস্ওয়াক করা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)