মা'আরিফুল হাদীস
পবিত্রতা অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬
পবিত্রতা অধ্যায়
মিস্ওয়াক করার বিশেষ সময় ও স্থান
২৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী কারীম ﷺ রাতে বা দিনে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হলে উযূ করার পূর্বেই মিস্ওয়াক করে নিতেন। (আহমাদ ও আবু দাউদ)
کتاب الطہارت
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ : « كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يَرْقُدُ مِنْ لَيْلٍ وَلَا نَهَارٍ ، فَيَسْتَيْقِظُ إِلَّا يَتَسَوَّكُ قَبْلَ أَنْ يَتَوَضَّأَ » (رواه احمد وابوداؤد)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রত্যেক নিদ্রা বিশেষত রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের জন্য উঠলে ভালোভাবে মিস্ওয়াক করে নিতেন। এতদ্ব্যতীত কোন সফর থেকে ঘরে প্রবেশের পর তার প্রথম কাজ হতো মিস্ওয়াক করা। এর দ্বারা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, কেবল উযূর সাথে মিস্ওয়াকের সম্পর্ক নয়। ঘুম থেকে ওঠার পর এবং মিস্ওয়াক করার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে, উযূ করা হোক কি নাই হোক, মিস্ওয়াক করা চাই। এসব হাদীসের আলোকে আমাদের পূর্ববর্তী প্রাজ্ঞ আলিমগণ লেখেন, মিসওয়াক করা সব সময়ের জন্যই মুস্তাহাব এবং সাওয়াব প্রাপ্তির মাধ্যম। তবে বিশেষ পাঁচ সময়ে মিস্ওয়াক করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যথাঃ ১. উযূর পূর্বে, ২. উযূ এবং সালাতের মধ্যে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে সালাতে দাঁড়ানোর সময়, ৩. কুরআন শরীফ পাঠের পূর্বে ৪. নিদ্রা ভঙ্গ করার পর এবং ৫. মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে এবং দাঁত ময়লা হয়ে গেলে দাঁত পরিষ্কার করার লক্ষ্যে মিস্ওয়াক করা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)