মা'আরিফুল হাদীস
পবিত্রতা অধ্যায়
হাদীস নং: ৫
পবিত্রতা অধ্যায়
পেশাব পায়খানার সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা
৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী কারীম ﷺ যখন ইস্তিঞ্জা করতে যেতেন, আমি ওখন তাঁর জন্য কাঁসার বা পাথরের পাত্রে আবার কখনো চামড়ার পাত্রে পানি এগিয়ে দিতাম। তিনি তা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। অতঃপর মাটিতে হাত ঘষে নিতেন। এরপর আমি আরো একপাত্র পানি দিলে তিনি তা দ্বারা উযূ করতেন। (আবূ দাউদ)
کتاب الطہارت
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : « كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَتَى الْخَلَاءَ ، أَتَيْتُهُ بِمَاءٍ فِي تَوْرٍ أَوْ رَكْوَةٍ فَاسْتَنْجَى ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ عَلَى الْأَرْضِ ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ بِإِنَاءٍ آخَرَ فَتَوَضَّأَ » (رواه ابوداؤد)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উল্লিখিত হাদীস দ্বারা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ পেশাব-পায়খানা থেকে পাথর কিংবা অন্য কোন বস্তু দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের পর আবার পানি দ্বারা পূর্ণ পবিত্রতা অর্জন করতেন। তারপর হাত মাটিতে ঘষে ধুয়ে নিতেন। এরপর আবার উযূও করে নিতেন। বর্ণনাকারী হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেন, নবী কারীম ﷺ -এর ইস্তিঞ্জা ও উযূর পানি সরবরাহ করার সৌভাগ্য আমরই হতো। তবে বুখারী ও মুসলিমের এক বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, এ খিদমত আঞ্জাম দেওয়ার বিশেষ দায়িত্ব আনাস (রা)-এর উপরও অর্পিত ছিল।
আলোচ্য হাদীস থেকে এও জানা যায় যে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দানের পর নবী কারীম ﷺ উযূ করে নিতেন। তবে এ উযূ যে ফরয ও ওয়াজিব ছিল তা না বরং উত্তম কাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তা বুঝাবার জন্য তিনি কখনো কখনো এ ধরনের উযূ বর্জনও করতেন। সুনানে আবূ দাউদ ও সুনানে ইবনে মাজাহ্ গ্রন্থে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ পেশাবের কাজ সেরে নেন এবং উমার (রা) উযূর পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তিনি পানি গ্রহণ না করে বরং বললেন: হে উমার! কেন তুমি পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে? উমার (রা) বললেন: আপনার উযূর পানি নিয়ে আমি প্রতীক্ষা করছি। তিনি বললেন: পেশাব করলেই উযূ করতে হবে, এরূপ আমি আদিষ্ট নই। কারণ আমি যদি এ কাজ অব্যাহত রাখি, তবে তা উম্মাতের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়বে।
এ হাদীস থেকে এও বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মাস'আলার সঠিক স্বরূপ নিজ কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য এবং স্বীয় উম্মাতের ভুল ধারণা অপনোদনের জন্য কখনো কখনো উত্তম বিষয়টি পরিহার করে চলেছেন।
আলোচ্য হাদীস থেকে এও জানা যায় যে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দানের পর নবী কারীম ﷺ উযূ করে নিতেন। তবে এ উযূ যে ফরয ও ওয়াজিব ছিল তা না বরং উত্তম কাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তা বুঝাবার জন্য তিনি কখনো কখনো এ ধরনের উযূ বর্জনও করতেন। সুনানে আবূ দাউদ ও সুনানে ইবনে মাজাহ্ গ্রন্থে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ পেশাবের কাজ সেরে নেন এবং উমার (রা) উযূর পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তিনি পানি গ্রহণ না করে বরং বললেন: হে উমার! কেন তুমি পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে? উমার (রা) বললেন: আপনার উযূর পানি নিয়ে আমি প্রতীক্ষা করছি। তিনি বললেন: পেশাব করলেই উযূ করতে হবে, এরূপ আমি আদিষ্ট নই। কারণ আমি যদি এ কাজ অব্যাহত রাখি, তবে তা উম্মাতের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়বে।
এ হাদীস থেকে এও বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মাস'আলার সঠিক স্বরূপ নিজ কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য এবং স্বীয় উম্মাতের ভুল ধারণা অপনোদনের জন্য কখনো কখনো উত্তম বিষয়টি পরিহার করে চলেছেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)