মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩৯
আখলাক অধ্যায়
মু'মিনের ব্যাপার খুব আজিব
২৩৯. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মহান আল্লাহ্ বলেন: হে আদম-সন্তান! তুমি যদি প্রথম আঘাতের সময় ধৈর্য ধারণ কর এবং আমার সন্তুষ্টি ও পুণ্যের প্রত্যাশা রাখ, তাহলে আমি তোমার জন্য জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদানে সন্তুষ্ট হব না। - ইবনে মাজাহ্
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : يَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى : « يَاابْنَ آدَمَ إِنْ صَبَرْتَ وَاحْتَسَبْتَ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الْأُولَى ، لَمْ أَرْضَ لَكَ ثَوَابًا دُونَ الْجَنَّةِ » (رواه ابن ماجه)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মানুষের জীবনে যখন কোন আঘাত ও ব্যথা আসে, তখন এর প্রতিক্রিয়া শুরুতেই বেশী হয়ে থাকে। অন্যথায় কিছু দিন পার হয়ে গেলে তো এর প্রভাব আপনা আপনিই দূর হয়ে যায়। এ জন্য প্রকৃত ধৈর্য সেটাই, যা আঘাতের চোট লাগার সময়ই আল্লাহ্ তা'আলার কথা স্মরণ করে এবং তাঁর পক্ষ থেকে প্রতিদান পাওয়ার আশায় করা হয়ে থাকে। এ ধৈর্যেরই মর্যাদা রয়েছে এবং এরই উপর সওয়াবের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পরবর্তীতে স্বাভাবিকভাবে যে ধৈর্য ও সবর এসে যায়, আল্লাহ্ তা'আলার কাছে এর বিশেষ কোন মূল্য নেই।
আবু উমামা (রা)-এর বর্ণিত এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা শুনিয়ে দিয়েছেন যে, যে ঈমানদার বান্দা কোন আঘাত পাওয়ার সময়ই আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টি ও প্রতিদান লাভের আশায় ধৈর্য ধারণ করবে, আল্লাহ্ তা'আলা অবশ্যই তাকে জান্নাত দান করবেন এবং জান্নাত ছাড়া অথবা এর চেয়ে কম মর্যাদার কোন জিনিস এ ধৈর্যের প্রতিদান হিসাবে দিয়ে স্বয়ং আল্লাহই সন্তুষ্ট হবেন না। আল্লাহু আকবার! কত বড় অনুগ্রহের কথা! আল্লাহ্ স্বয়ং বান্দাকে সম্বোধন করে বলছেন যে, হে আদম-সন্তান! যখন আমার তকদীরের ফায়সালায় তোমার জীবনে কোন দুঃখ ও আঘাত আসে, তখন যদি তুমি আমার সন্তুষ্টি ও প্রতিদানের আশায় ধৈর্যের সাথে এটা বরণ করে নাও, তাহলে আমি তোমাকে জান্নাত না দিয়ে খুশী হব না। এ ধৈর্যের কারণে বান্দার সাথে আল্লাহর এমন বিশেষ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যাবে যে, তাকে জান্নাত না দিয়ে তিনি নিজেই খুশী হবেন না।
ফায়দা: আল্লাহর কোন বান্দার উপর যখন কোন দুঃখ-যন্ত্রণা এসে যায়, তখন সে যদি এ হাদীসটি এবং আল্লাহ্ তা'আলার অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতির কথাটি স্মরণ করে ধৈর্য অবলম্বন করে, তাহলে এ ধৈর্যের মধ্যে সে ইন্শাআল্লাহ একটা বিশেষ স্বাদ ও মজা পেয়ে যাবে। আর আখেরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাত তো তাকে দেওয়াই হবে।
আবু উমামা (রা)-এর বর্ণিত এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা শুনিয়ে দিয়েছেন যে, যে ঈমানদার বান্দা কোন আঘাত পাওয়ার সময়ই আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টি ও প্রতিদান লাভের আশায় ধৈর্য ধারণ করবে, আল্লাহ্ তা'আলা অবশ্যই তাকে জান্নাত দান করবেন এবং জান্নাত ছাড়া অথবা এর চেয়ে কম মর্যাদার কোন জিনিস এ ধৈর্যের প্রতিদান হিসাবে দিয়ে স্বয়ং আল্লাহই সন্তুষ্ট হবেন না। আল্লাহু আকবার! কত বড় অনুগ্রহের কথা! আল্লাহ্ স্বয়ং বান্দাকে সম্বোধন করে বলছেন যে, হে আদম-সন্তান! যখন আমার তকদীরের ফায়সালায় তোমার জীবনে কোন দুঃখ ও আঘাত আসে, তখন যদি তুমি আমার সন্তুষ্টি ও প্রতিদানের আশায় ধৈর্যের সাথে এটা বরণ করে নাও, তাহলে আমি তোমাকে জান্নাত না দিয়ে খুশী হব না। এ ধৈর্যের কারণে বান্দার সাথে আল্লাহর এমন বিশেষ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যাবে যে, তাকে জান্নাত না দিয়ে তিনি নিজেই খুশী হবেন না।
ফায়দা: আল্লাহর কোন বান্দার উপর যখন কোন দুঃখ-যন্ত্রণা এসে যায়, তখন সে যদি এ হাদীসটি এবং আল্লাহ্ তা'আলার অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতির কথাটি স্মরণ করে ধৈর্য অবলম্বন করে, তাহলে এ ধৈর্যের মধ্যে সে ইন্শাআল্লাহ একটা বিশেষ স্বাদ ও মজা পেয়ে যাবে। আর আখেরাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাত তো তাকে দেওয়াই হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)