মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮১
আখলাক অধ্যায়
নাজাত কি
১৮১. হযরত উকবা ইবন আমের (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ-এর সাথে মুলাকাত করলাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম, নাজাত কি? তিনি বললেন, তোমার জিহবাকে নিয়ন্ত্রণ কর, তোমার জন্য তোমার গৃহ যেন প্রশস্ত থাকে এবং নিজের গুনাহের জন্য ক্রন্দন কর। (মুসনাদে আহমদ ও তিরমিযী)
کتاب الاخلاق
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ ، قَالَ : لَقِيتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقُلْتُ : مَا النَّجَاةُ؟ قَالَ : امْلِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ ، وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ ، وَابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ . (رواه احمد والترمذى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যাবতীয় অকল্যাণ ও অমঙ্গল থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য তিনটি জিনিসের উল্লেখ করা হয়েছে। জিহ্বাকে সংযত রাখা এবং জিহ্বার দ্বারা অন্যায় ও অসঙ্গত কথাবার্তা না বলা। অজ্ঞাতসারে মানুষ জিহ্বার দ্বারা অসংখ্য অমঙ্গল উপার্জন করে। তাই তার হিফাযতের মধ্যে বান্দার নাজাত রয়েছে।
নিজের গৃহ প্রশস্ত থাকার অর্থ হল উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘরের বাইরে ঘুরে না বেড়ান। প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করার পর ঘরের বাইরে অবস্থান করা নিজের এবং পরিবার-পরিজনের জন্য মঙ্গলজনক নয়। যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে থাকে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ায়, সে নিজের এবং পরিবার-পরিজনের উপর যুলম করে। নিজেকে এবং পরিবার-পরিজনকে অকল্যাণের দিকে ঠেলে দেয়। বস্তুত প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করে ঘরে ফিরে আসার মধ্যে বহুবিধ কল্যাণ রয়েছে। তাই নবী করীম ﷺ বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে ঘুরে না বেড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন।
গুনাহের জন্য কাঁদা খুবই উপকারী। যে বান্দা আল্লাহকে ভয় করে কাঁদে, আল্লাহ সে বান্দাকে মাফ করে দেন। তাই তওবা করা, কান্নাকাটি করা এবং গুনাহের জন্য মাফ চাওয়ার মধ্যে বান্দার পরিত্রাণ রয়েছে।
নিজের গৃহ প্রশস্ত থাকার অর্থ হল উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘরের বাইরে ঘুরে না বেড়ান। প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করার পর ঘরের বাইরে অবস্থান করা নিজের এবং পরিবার-পরিজনের জন্য মঙ্গলজনক নয়। যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে থাকে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ায়, সে নিজের এবং পরিবার-পরিজনের উপর যুলম করে। নিজেকে এবং পরিবার-পরিজনকে অকল্যাণের দিকে ঠেলে দেয়। বস্তুত প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করে ঘরে ফিরে আসার মধ্যে বহুবিধ কল্যাণ রয়েছে। তাই নবী করীম ﷺ বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে ঘুরে না বেড়ানোর উপদেশ দিয়েছেন।
গুনাহের জন্য কাঁদা খুবই উপকারী। যে বান্দা আল্লাহকে ভয় করে কাঁদে, আল্লাহ সে বান্দাকে মাফ করে দেন। তাই তওবা করা, কান্নাকাটি করা এবং গুনাহের জন্য মাফ চাওয়ার মধ্যে বান্দার পরিত্রাণ রয়েছে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)