মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫০
আখলাক অধ্যায়
ঈর্ষা সৎকর্মকে খেয়ে ফেলে
১৫০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী ﷺ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: ঈর্ষা থেকে সাবধান থাক। যেরূপ আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে, ঈর্ষা সৎকর্মকে সেরূপ খেয়ে ফেলে। (আবু দাউদ)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ ، فَإِنَّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ (رواه ابو داؤد)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ঈর্ষাপরায়ণ ব্যক্তি অন্যের সুখ-শান্তি এবং কল্যাণ পসন্দ করে না। সে মনে মনে অন্যের অমঙ্গল কামনা করে। অন্যের অমঙ্গল সাধিত হলে সে তৃপ্ত হয়। তাই যে মনের মধ্যে ঈর্ষা পোষণ করে, সে বস্তুত নিজের অমঙ্গল করে। অন্যের অমঙ্গলের চিন্তায় দিন-রাত মশগুল থাকার কারণে নিজের উন্নতি করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগ সে পায় না। অধিকন্তু আল্লাহ অন্যের অমঙ্গল কামনাকারীকে অপসন্দ করেন এবং এভাবে ঈর্ষার কারণে সে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাগ হতে বঞ্চিত হয়। তাই ঈর্ষার মারাত্মক অবস্থাকে আগুনের সাথে তুলনা করা হয়েছে যেরূপ আগুন কাঠকে বরবাদ করে, সেরূপ ঈর্ষা যাবতীয় মঙ্গলকে বরবাদ ও বিনষ্ট করে দেয়। ঈর্ষা এবং ঈমান একত্রে থাকতে পারে না। ঈমানদার ব্যক্তি আল্লাহকে ভালবাসেন, তাঁর রাসুলকে ভালবাসেন এবং ঈমানদারকে ভালবাসেন। তাই তার অন্তরে ঈর্ষা জন্ম লাভ করতে পারে না। যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও অপর মুসলিম ভাইয়ের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয়, তাহলে বুঝতে হবে, তার অন্তরে ইসলাম পুরাপুরি শিকড় বিস্তার করতে পারেনি। ঈর্ষা পরায়ণ ব্যক্তির অন্তর থেকে ঈর্ষা দূর করার জন্য তওবা ও ইস্তেগফারের আশ্রয় গ্রহণ করা উচিত।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)