মা'আরিফুল হাদীস

আখলাক অধ্যায়

হাদীস নং: ১২৯
আখলাক অধ্যায়
যে ব্যক্তি নবীর উম্মতকে খুশি করে, সে জান্নাতী
১২৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার উম্মতের কোন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য তার কোন প্রয়োজন পূরণ করল, সে আমাকের খুশি করল এবং যে আমাকে খুশি করল, সে আল্লাহকে খুশি করল। যে আল্লাহকে খুশি করল, আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। (বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الاخلاق
عَنْ أَنَسِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ قَضَى لِأَحَدٍ مِنْ أُمَّتِي حَاجَةً يُرِيدُ أَنْ يَسُرَّهُ بِهَا فَقَدْ سَرَّنِي ، وَمَنْ سَرَّنِي فَقَدْ سَرَّ اللهَ ، وَمَنْ سَرَّ اللهَ أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

অভাবগ্রস্ত মুসলমানের অভাব দূর করা খুবই সওয়াবের কাজ। তাতে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ﷺ খুশি হন। মুসলমানের প্রয়োজন পূরণকারী বান্দাকে আল্লাহ জান্নাত দান করবেন। কিন্তু এ সুসংবাদের উপযুক্ত বিবেচিত হবেন তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করেন, হালাল-হারাম মেনে চলেন এবং নিজেদেরকে শিরক ও বিদআত থেকে পাক-সাফ রাখেন।

নবী করীম ﷺ মুসলমানদের অভাব-অনটন দূর করার প্রতি খুবই গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আফসোস! আমাদের সমাজে যারা নিজেদেরকে মুত্তাকী এবং পরহেযগার মনে করেন, তারা মুসলমানের খিদমতের গুরুত্ব পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করেন না। ফলে আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বেদীন ও আল্লাহদ্রোহী লোক জনসেবার মাধ্যমে সরলপ্রাণ অশিক্ষিত মুসলমানকে দীন থেকে অনেক দূরে নিয়ে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে ইসলামের বিপরীত কাজে ব্যবহার করে। বিদেশী খ্রিস্টান মিশনারী জনসেবার প্রোগ্রামের মাধ্যমে মানুষকে ঈসায়ী ধর্মে দীক্ষিত করে।

আমরা নবী করীম ﷺ-এর বাণীর উপর পূর্ণ গুরুত্ব আরোপ করলে দুনিয়া ও আখিরাতে অবশ্যই কামিয়াব হব। অন্যথায় আখিরাতের আদালতে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান