মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৩
আখলাক অধ্যায়
নবী করীম ﷺ-এর সংগে উটের আচরণ
১১৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবন জাফর (রা) থেকে বর্ণিত, নবী ﷺ জনৈক আনসারের প্রাচীরের কাছে যান। সেখানে একটা উট ছিল। নবী ﷺ-কে দেখার পর উটটি করুণ আওয়াজ করল এবং তার চোখ থেকে পানি ফেলতে লাগল। নবী ﷺ নিকটে এসে তার শরীরে হাত বুলালেন। অতঃপর উটটি চুপ করল। নবী ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, এ উটের মালিক কে? কার এ উট? এক আনসার যুবক এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এটা আমার। নবী ﷺ তাকে বললেন: এ জানোয়ারের ব্যাপারে কি তুমি আল্লাহকে ভয় কর না, যিনি তোমাকে তার মালিক বানিয়েছেন? উটটি আমার কাছে নালিশ করেছে তুমি তাকে অভুক্ত রাখ এবং তার কাছ থেকে কঠিন কাজ আদায় কর। আবু দাউদ
کتاب الاخلاق
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ ، قَالَ : دَخَلَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَائِطًا لِرَجُلٍ مِنْ الْأَنْصَارِ فَإِذَا فِيْهِ جَمَلٌ ، فَلَمَّا رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَنَّ وَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ ، فَأَتَاهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَسَحَ ذِفْرَاهُ فَسَكَتَ ، فَقَالَ : « مَنْ رَبُّ هَذَا الْجَمَلِ ، لِمَنْ هَذَا الْجَمَلُ؟ » ، فَجَاءَ فَتًى مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ : لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ : « أَفَلَا تَتَّقِي اللَّهَ فِي هَذِهِ الْبَهِيمَةِ الَّتِي مَلَّكَكَ اللَّهُ إِيَّاهَا؟ ، فَإِنَّهُ شَكَا إِلَيَّ أَنَّكَ تُجِيعُهُ وَتُدْئِبُهُ » (رواه ابو داؤد)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তাঁর নবীকে পশুপাখির কথাবার্তা উপলব্ধি করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কিরামের মধ্যে হযরত সুলায়মান (আ)-কেও পাখির কথা বুঝবার শক্তি দান করা হয়েছিল বলে কুরআন শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা আম্বিয়ায়ে কিরামের প্রতি আল্লাহর এক বিশেষ মেহেরবানী। দীনি পরিভাষায় একে মু'জিযা বা অলৌকিক ব্যাপার বলা হয়।
পশুপাখি তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও তাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু মানুষের মত তাদেরও সুখ-দুঃখের অনুভূতি রয়েছে। সুখ পেলে তারা খুশি হয়, দুঃখ পেলে ব্যথিত হয়। তাই জন্তু, জানোয়ারের ব্যাপারেও খুব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রয়োজন মোতাবিক তাদের খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা উচিত। তাদের উপর কাজের এমন কোন বোঝা চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়, যা তারা বহন করতে সক্ষম নয়। অন্যথায় তারা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করবে। জন্তু-জানোয়ারের প্রতি যুলম ও নির্যাতন আল্লাহ তা'আলা খুব অপসন্দ করেন। এ ধরনের আচরণ 'সূউল খুলক' বা মন্দ আখলাকের অন্তর্গত এবং মন্দ আখলাক মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে। যারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী, তারা যেন সর্বাবস্থায় জন্তু-জানোয়ারের প্রতি সদয় থাকেন।
পশুপাখি তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও তাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু মানুষের মত তাদেরও সুখ-দুঃখের অনুভূতি রয়েছে। সুখ পেলে তারা খুশি হয়, দুঃখ পেলে ব্যথিত হয়। তাই জন্তু, জানোয়ারের ব্যাপারেও খুব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রয়োজন মোতাবিক তাদের খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা উচিত। তাদের উপর কাজের এমন কোন বোঝা চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়, যা তারা বহন করতে সক্ষম নয়। অন্যথায় তারা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করবে। জন্তু-জানোয়ারের প্রতি যুলম ও নির্যাতন আল্লাহ তা'আলা খুব অপসন্দ করেন। এ ধরনের আচরণ 'সূউল খুলক' বা মন্দ আখলাকের অন্তর্গত এবং মন্দ আখলাক মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে। যারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী, তারা যেন সর্বাবস্থায় জন্তু-জানোয়ারের প্রতি সদয় থাকেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)