মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ৬০
রিকাক অধ্যায়
হালালকে হারাম এবং সম্পদ বরবাদ করার নাম যুহদ নয়
৬০. হযরত আবু যর গিফারী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: হালালকে হারাম এবং সম্পদ বরবাদ করার নাম যুহদ নয়, বরং দুনিয়াতে যুহদ করার অর্থ হল, তোমার হাতে যা আছে তার চেয়ে বেশি ভরসা কর যা আল্লাহর হাতে আছে তার উপর এবং তোমার উপর মুসীবত পতিত হলে তা তোমার উপর পতিত না হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করার চেয়ে সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা বেশি কর। (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي ذَرٍّ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا لَيْسَتْ بِتَحْرِيمِ الحَلاَلِ وَلاَ إِضَاعَةِ الْمَالِ وَلَكِنَّ الزَّهَادَةَ فِي الدُّنْيَا أَنْ لاَ تَكُونَ بِمَا فِي يَدَيْكَ أَوْثَقَ مِمَّا فِي يَدِ اللهِ وَأَنْ تَكُونَ فِي ثَوَابِ الْمُصِيبَةِ إِذَا أَنْتَ أُصِبْتَ بِهَا أَرْغَبَ فِيهَا لَوْ أَنَّهَا أُبْقِيَتْ لَكَ . (رواه الترمذى وابن ماجه)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বৈরাগ্য সাধনের নাম যুহদ নয়। বাড়ি-ঘর, ধন-দৌলত, পরিবার-পরিজন ত্যাগের নাম যুহদ নয়। আল্লাহর যাহিদ বান্দা কখনো হালাল বস্তুকে নিজের জন্য হারাম করেন না এবং আল্লাহর দেয়া সম্পদ বরবাদ করেন না। যাহিদ ব্যক্তি সম্পদ সংগ্রহকে তাঁর জীবনের লক্ষ্য মনে করেন না। সম্পদের খাতিরে সম্পদ সংগ্রহকে তিনি পসন্দ করেন না। সম্পদের মহব্বতে বা সম্পদ উপার্জনের জন্য তিনি কখনো তাঁর আখিরাত বরবাদ করেন না। দুনিয়ার যে কাজ আখিরাতকে খারাপ করে, তা আপাতদৃষ্টিতে খুব লাভজনক হলেও তা তিনি পরিত্যাগ করেন। দুনিয়া প্রার্থী না হওয়া সত্ত্বেও যাহিদ ব্যক্তির কাছে সম্পদ আসতে পারে এবং এ ধরনের পরিস্থিতিতে তিনি সম্পদকে বরবাদ করেন না। তিনি তা নিজের ও পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ এবং আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেন।
যাহিদ ব্যক্তি দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সম্পদকে তুচ্ছ জ্ঞান করেন। আখিরাতের যিন্দেগীতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাদেরকে যে নিয়ামত ও ফযীলত দান করবেন তা যাহিদ ব্যক্তির নিকট দুনিয়ার নিয়ামতের চেয়ে অধিক প্রিয়। আখিরাতের ফযীলত ও নিয়ামতের উপরই যাহিদ ব্যক্তির একমাত্র আশা-ভরসা। যাহিদ বান্দা বিপদে ধৈর্যশীল। কখনো হা-হুতাশ করেন না, বিপদ কেন পতিত হল বা বিপদ পতিত না হলে ভাল হতো, এরূপ কথা তিনি বলেন না এবং এ ধরনের চিন্তাও মনের কোণে স্থান দেন না। তিনি বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করতে চান। ধৈর্য ধারণকারীর উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট হন এবং তাকে তিনি এত বেশি সওয়াব দেন যা তিনি বিপদমুক্ত অবস্থায় আমল করে হাসিল করতে পারতেন না।
যাহিদ ব্যক্তি দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সম্পদকে তুচ্ছ জ্ঞান করেন। আখিরাতের যিন্দেগীতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাদেরকে যে নিয়ামত ও ফযীলত দান করবেন তা যাহিদ ব্যক্তির নিকট দুনিয়ার নিয়ামতের চেয়ে অধিক প্রিয়। আখিরাতের ফযীলত ও নিয়ামতের উপরই যাহিদ ব্যক্তির একমাত্র আশা-ভরসা। যাহিদ বান্দা বিপদে ধৈর্যশীল। কখনো হা-হুতাশ করেন না, বিপদ কেন পতিত হল বা বিপদ পতিত না হলে ভাল হতো, এরূপ কথা তিনি বলেন না এবং এ ধরনের চিন্তাও মনের কোণে স্থান দেন না। তিনি বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করতে চান। ধৈর্য ধারণকারীর উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট হন এবং তাকে তিনি এত বেশি সওয়াব দেন যা তিনি বিপদমুক্ত অবস্থায় আমল করে হাসিল করতে পারতেন না।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)