মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮
রিকাক অধ্যায়
যাকে হিদায়াত দান করা হয় ইসলামের জন্য তার বুক খুলে দেয়া হয়
৫৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ তিলাওয়াত করলেন:
فَمَنْ يُرِدِ اللَّهُ أَنْ يَهْدِيَهُ يَشْرَحْ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ
"আল্লাহ যাকে হিদায়াত দিতে চান তার বুক ইসলামের জন্য খুলে দেন।"
অতঃপর বললেনঃ নূর বুকে প্রবেশ করলে তা প্রশস্ত হয়ে যায়। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার কি কোন আলামত রয়েছে, যার দ্বারা তার পরিচয় লাভ করা যায়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ! অস্থায়ী দুনিয়ার প্রবঞ্চনার গৃহের প্রতি বিমুখতা, আখিরাতের চিরস্থায়ী গৃহের প্রতি আসক্তি এবং মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। (বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান)
فَمَنْ يُرِدِ اللَّهُ أَنْ يَهْدِيَهُ يَشْرَحْ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ
"আল্লাহ যাকে হিদায়াত দিতে চান তার বুক ইসলামের জন্য খুলে দেন।"
অতঃপর বললেনঃ নূর বুকে প্রবেশ করলে তা প্রশস্ত হয়ে যায়। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার কি কোন আলামত রয়েছে, যার দ্বারা তার পরিচয় লাভ করা যায়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ! অস্থায়ী দুনিয়ার প্রবঞ্চনার গৃহের প্রতি বিমুখতা, আখিরাতের চিরস্থায়ী গৃহের প্রতি আসক্তি এবং মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। (বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الرقاق
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ ، قَالَ : تَلَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : {فَمَنْ يُرِدِ اللهُ أَنْ يَهْدِيَهُ يَشْرَحْ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ} ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ النُّورَ إِذَا دَخَلَ الصَّدْرَ انْفَسَحَ فَقِيلَ : يَا رَسُولَ اللهِ ، هَلْ لِذَلِكَ مِنْ عِلْمٍ يُعْرَفُ؟ قَالَ : " نَعَمْ ، التَّجَافِي عَنْ دَارِ الْغُرُورِ ، وَالْإِنَابَةِ إِلَى دَارِ الْخُلُودِ ، وَالِاسْتِعْدَادُ لِلْمَوْتِ قَبْلَ نُزُولِهِ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইসলামের জন্য বুক খুলে যাওয়ার তিনটি লক্ষণ আল্লাহর রাসূল ﷺ উল্লেখ করেছেন।
এক: বান্দার মনে অস্থায়ী দুনিয়ার আরাম-আয়েশের প্রতি কোনরূপ লোভের সৃষ্টি হবে না। বান্দা প্রবঞ্চনাভরা দুনিয়ার গৃহের আকর্ষণ থেকে নিজেকে দূরে রাখবে।
দুই: আখিরাতের চিরস্থায়ী সুখ-শান্তির প্রার্থী হবে। তার মনে আখিরাতের মহব্বত প্রবল হবে। আখিরাতের সুখ-শান্তির জন্য দুনিয়ায় চেষ্টা-সাধনা করবে।
তিন: মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। সর্বদা উৎকৃষ্ট আমল করবে ও মৃত্যুকে ভয় করবে। সর্বদা তার মনের মধ্যে এ চিন্তা থাকবে, যে কোন মুহূর্তে তার পরপারের নোটিশ এসে যেতে পারে। তাই আয়ু থাকা অবস্থায় যত বেশি ইবাদত করা যায়, ততই মঙ্গল। এ ধরনের বান্দা কখনো মৃত্যুর প্রতি গাফিল থাকে না। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার অর্থ হল, অন্যায় অপরাধ থেকে দূরে থাকা, আল্লাহর হুকুমকে লংঘন না করা, সর্বাবস্থায় আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করা, নিজের ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য খুব বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা।
এক: বান্দার মনে অস্থায়ী দুনিয়ার আরাম-আয়েশের প্রতি কোনরূপ লোভের সৃষ্টি হবে না। বান্দা প্রবঞ্চনাভরা দুনিয়ার গৃহের আকর্ষণ থেকে নিজেকে দূরে রাখবে।
দুই: আখিরাতের চিরস্থায়ী সুখ-শান্তির প্রার্থী হবে। তার মনে আখিরাতের মহব্বত প্রবল হবে। আখিরাতের সুখ-শান্তির জন্য দুনিয়ায় চেষ্টা-সাধনা করবে।
তিন: মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। সর্বদা উৎকৃষ্ট আমল করবে ও মৃত্যুকে ভয় করবে। সর্বদা তার মনের মধ্যে এ চিন্তা থাকবে, যে কোন মুহূর্তে তার পরপারের নোটিশ এসে যেতে পারে। তাই আয়ু থাকা অবস্থায় যত বেশি ইবাদত করা যায়, ততই মঙ্গল। এ ধরনের বান্দা কখনো মৃত্যুর প্রতি গাফিল থাকে না। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার অর্থ হল, অন্যায় অপরাধ থেকে দূরে থাকা, আল্লাহর হুকুমকে লংঘন না করা, সর্বাবস্থায় আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করা, নিজের ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য খুব বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)