মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৫
রিকাক অধ্যায়
উন্মতের 'খাহেশ' ও 'সুদীর্ঘ আশা' সম্পর্কে নবী করীম ﷺ-এর ভয়
৩৫. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমি আমার উম্মতের ব্যাপারে যা ভয় করি, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, 'খাহেশ' ও 'সুদীর্ঘ আশা'। কেননা খাহেশ (মানুষকে) হক থেকে ফিরিয়ে রাখে আর দীর্ঘ আশা আখিরাতকে ভুলিয়ে দেয়। এ দুনিয়া দ্রুত গমনকারী এবং আখিরাত দ্রুত আগমনকারী। আর তাদের উভয়ের সন্তান রয়েছে। তোমাদের ক্ষমতা থাকলে তোমরা যেন দুনিয়ার সন্তান না হও। আমল কর, কেননা বর্তমানে তোমরা দারুল আমলে (কর্মস্থলে) অবস্থান করছ, এখানে হিসাব নেয়া হবে না। আগামীকাল তোমরা থাকবে দারুল আখিরাতে (আখিরাতের গৃহে), সেখানে আমল করার কিছু থাকবে না। (বায়হাকী: শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الرقاق
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَتَخَوَّفُ عَلَى أُمَّتِي الْهَوَى ، وَطُولُ الْأَمَلِ ، فَأَمَّا الْهَوَى فَيَصُدُّ عَنِ الْحَقِّ ، وَأَمَّا طُولُ الْأَمَلِ فَيُنْسِي الْآخِرَةَ ، وَهَذِهِ الدُّنْيَا مُرْتَحِلَةٌ ذَاهِبَةٌ ، وَهَذِهِ الْآخِرَةُ مُرْتَحِلَةٌ قَادِمَةٌ ، وَلِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا بَنُونَ ، فَإِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ لَا تَكُونُوا مِنْ بَنِي الدُّنْيَا فَافْعَلُوا ، فَإِنَّكُمُ الْيَوْمَ فِي دَارِ الْعَمَلِ وَلَا حِسَابَ ، وَأَنْتُمْ غَدًا فِي دَارِ الْحِسَابِ وَلَا عَمَلَ " . (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নফসের খাহেশ বা প্রবৃত্তিকে 'হাওয়া' বলা হয়। 'হাওয়া’ মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনা লোপ করে দেয় এবং মানুষ নিজের প্রবৃত্তির আনুগত্য ও অনুসরণের মধ্যে আনন্দ লাভ করে। এ ধরনের নফসের পূজারী ব্যক্তি নফসের আনন্দকে জীবনের সকল গ্রহণ ও বর্জনের মাপকাঠি হিসেবে গ্রহণ করে। নফসকে আনন্দ দান করার জন্য মানুষ যখন দুনিয়ার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার পেছনে ধাওয়া করে বা আরাম-আয়েশ হাসিল করার সংগ্রামে নিজের যাবতীয় যোগ্যতা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তখন সে তাকে নৈতিক দুর্বলতার সমুদ্রে নিমজ্জিত করে। মানুষ যখন নৈতিক সত্তার বন্ধন ছিন্ন করে দুনিয়ার উপায়-উপকরণ সংগ্রহ করা শুরু করে, তখন শয়তান তাকে পূর্ণভাবে বিপথগামী করার চেষ্টা করে। প্রবৃত্তির আনুগত্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণায় নিজের বিবেক থেকে ফায়দা হাসিলে ব্যর্থ হয়। আল্লাহ তাআলা 'হাওয়া'-র পূজারীকে কুকুরের সংগে তুলনা করেছেন। যেরূপ কুকুর নিজের যোগ্যতাকে খাদ্যের অন্বেষণে ব্যয় এবং ভাল-মন্দ প্রত্যেক বস্তু থেকে নিজের ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করে, সেরূপ দুনিয়ার কুকুরও তার যোগ্যতাকে ধন-দৌলত আহরণ ও যৌনক্ষুধা নিবারণের কাজে খুব জঘন্যভাবে ব্যয় করে। আল্লাহ বলেনঃ
وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ الْكَلْبِ إِنْ تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَثْ
"এবং সে খাহেশে নফসের ইত্তিবা করল। তাই তার দৃষ্টান্ত হলো কুকুরের ন্যায় তুমি ওর ওপর বোঝা চাপালে সে হাঁফাতে থাকে এবং তুমি বোঝা না চাপালেও সে হাঁফায়।" (সূরা আরাফঃ ১৭৬)
নফসের গোলামী মানুষকে দীন ইসলামের রাস্তা থেকে দূরে নিয়ে যায়। প্রবৃত্তির কারণে হককে গ্রহণ করতে পারে না। এ ধরনের মানুষ হককে গ্রহণ করতে নিজের প্রবৃত্তিকে সংশোধন করে না, বরং হককে প্রবৃত্তির সংগে সামঞ্জস্যশীল করার চেষ্টা করে। বলা বাহুল্য, এ ধরনের প্রবৃত্তির গোলামী মানুষকে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে। অন্যত্র আল্লাহ বলেন:
وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ
"প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, তা তোমাকে আল্লাহর রাস্তা থেকে বিপথগামী করবে। যারা আল্লাহর রাস্তা থেকে বিপথগামী, তাদের জন্য কঠিন আযাব এজন্য রয়েছে যে, তারা হিসেবের দিনকে (কিয়ামতকে) ভুলে গেছে।" (সূরা সাদ : ২৬)
যে নফসকে সংযত করতে সক্ষম, সে সফলকাম এবং যে নফসের আহ্বানে সাড়া দেয়, সে ব্যর্থ ও পরাজিত। পবিত্র কুরআনের অপর এক স্থানে বলা হয়েছে:
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا
"অবশ্যই সে কৃতকার্য যে নফসের তাযকিয়া বা পবিত্র করল এবং সে অকৃতকার্য যে নফসের ভাল প্রবণতাকে দাবিয়ে দিল।" (সূরা আশ-শামস : ৯-১০)
নবী করীম ﷺ দীর্ঘ আশা পোষণ করতে অনুৎসাহিত করেছেন। নেক কাজের জন্য বড় আশা করা দূষণীয় নয়, বরং তাতে সওয়াব রয়েছে। কিন্তু দুনিয়াকে হাসিলের জন্য আশার সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া খুবই দূষণীয়। এ ধরনের আশার সমুদ্র মানুষকে আখিরাত সম্পর্কে গাফিল করে দেয়। সে তার প্রতিভা ও যোগ্যতাকে তথাকথিত দুনিয়াবী কামিয়াবীর জন্য পূর্ণভাবে নিয়োগ করে। আখিরাতের অফুরন্ত নিয়ামত হাসিল করার চেষ্টা-সাধনার সামান্যতম অবকাশ তার থাকে না। দুনিয়া সে ততটুকু পায় যতটুকু আল্লাহ তার জন্য নির্ধারিত রেখেছেন, কিন্তু আখিরাতের মহান নিয়ামত থেকে সে নিজেকে বঞ্চিত করে। যা আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের জন্য নির্ধারিত করে রেখেছেন। অথচ একটু পরিশ্রম করলে সে তা হাসিল করতে পারত।
সন্তানের ভালবাসা মায়ের প্রতি অফুরন্ত থাকে। সন্তান মহব্বত ও ভক্তি সহকারে মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। মহব্বত ও ভক্তির কারণে মা ও সন্তানের সম্পর্ক সহজে নির্ণয় করা যায়। দুনিয়ার প্রতি যে মহব্বত রাখে, তাকে দুনিয়ার সন্তান আর আখিরাতের প্রতি যে ভক্তি ও মহব্বত রাখে, তাকে আখিরাতের সন্তান বলে নবী করীম ﷺ আখ্যায়িত করেছেন। দুনিয়ার সন্তান না হয়ে আখিরাতের সন্তান হওয়ার জন্য তিনি তাঁর উম্মতকে উপদেশ দিয়েছেন। নবী করীম ﷺ-এর উপদেশ মুতাবিক তারা কামিয়াব হবেন যারা দুনিয়ার মহব্বত ত্যাগ করে আখিরাতের মহব্বত অন্তরে পোষণ করেন এবং কর্মজীবনে তা বাস্তবায়িত করেন।
হাদীসে আরও বলা হয়েছে, দুনিয়া দ্রুত গমনকারী অর্থাৎ দুনিয়া তার সমাপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকের মৃত্যুর সাথে সাথে তার দুনিয়ার অবসান ঘটে। মৃত্যুর পর শত চেষ্টা করেও দুনিয়ার ফায়দা হাসিল করা যায় না। তার বিপরীতে আখিরাতের জীবন দ্রুত আগমনকারী, মৃত্যুর সাথে সাথে মানুষ বুঝতে পারে দুনিয়ার যিন্দেগীতে সে যা করছে তা তার জন্য কল্যাণকর না অক্যাণকর। সে আরো বুঝতে পারে যে, তার সাথে আখিরাতে কি ধরনের আচরণ করা হবে। কিন্তু আফসোস! সরেজমিনে পরিস্থিতি সচক্ষে অবলোকন করার পর যে অভিজ্ঞতা সে হাসিল করে, তাতে তার কোন উপকার হয় না। কারণ আখিরাত হিসেবের গৃহ। সেখানে আমল করে নিজের রেকর্ড ভাল করার কোন উপায় নেই। দুনিয়াকে আল্লাহ কর্মের জন্য তৈরি করেছেন। এখানে আল্লাহ কারো হিসাব-নিকাশ নেন না। প্রত্যেককে তার মর্জিমাফিক চলতে দেয় হয়। এ কারণে অদূরদর্শী মানুষ ভুল করে। সে মনে করে তার জীবন বন্ধনহীন। দুনিয়ার যিন্দেগীতে সে যেভাবে কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে না, আখিরাতেও তেমনি কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে না। এ ভুল ধারণা নিরসনের জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দুনিয়া আমল-গৃহ। অর্থাৎ এখানে যেভাবে আমল করা হবে, ঠিক সেভাবে আখিরাতে ফল লাভ করা যাবে।
وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ الْكَلْبِ إِنْ تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَثْ
"এবং সে খাহেশে নফসের ইত্তিবা করল। তাই তার দৃষ্টান্ত হলো কুকুরের ন্যায় তুমি ওর ওপর বোঝা চাপালে সে হাঁফাতে থাকে এবং তুমি বোঝা না চাপালেও সে হাঁফায়।" (সূরা আরাফঃ ১৭৬)
নফসের গোলামী মানুষকে দীন ইসলামের রাস্তা থেকে দূরে নিয়ে যায়। প্রবৃত্তির কারণে হককে গ্রহণ করতে পারে না। এ ধরনের মানুষ হককে গ্রহণ করতে নিজের প্রবৃত্তিকে সংশোধন করে না, বরং হককে প্রবৃত্তির সংগে সামঞ্জস্যশীল করার চেষ্টা করে। বলা বাহুল্য, এ ধরনের প্রবৃত্তির গোলামী মানুষকে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে। অন্যত্র আল্লাহ বলেন:
وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ
"প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, তা তোমাকে আল্লাহর রাস্তা থেকে বিপথগামী করবে। যারা আল্লাহর রাস্তা থেকে বিপথগামী, তাদের জন্য কঠিন আযাব এজন্য রয়েছে যে, তারা হিসেবের দিনকে (কিয়ামতকে) ভুলে গেছে।" (সূরা সাদ : ২৬)
যে নফসকে সংযত করতে সক্ষম, সে সফলকাম এবং যে নফসের আহ্বানে সাড়া দেয়, সে ব্যর্থ ও পরাজিত। পবিত্র কুরআনের অপর এক স্থানে বলা হয়েছে:
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا
"অবশ্যই সে কৃতকার্য যে নফসের তাযকিয়া বা পবিত্র করল এবং সে অকৃতকার্য যে নফসের ভাল প্রবণতাকে দাবিয়ে দিল।" (সূরা আশ-শামস : ৯-১০)
নবী করীম ﷺ দীর্ঘ আশা পোষণ করতে অনুৎসাহিত করেছেন। নেক কাজের জন্য বড় আশা করা দূষণীয় নয়, বরং তাতে সওয়াব রয়েছে। কিন্তু দুনিয়াকে হাসিলের জন্য আশার সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া খুবই দূষণীয়। এ ধরনের আশার সমুদ্র মানুষকে আখিরাত সম্পর্কে গাফিল করে দেয়। সে তার প্রতিভা ও যোগ্যতাকে তথাকথিত দুনিয়াবী কামিয়াবীর জন্য পূর্ণভাবে নিয়োগ করে। আখিরাতের অফুরন্ত নিয়ামত হাসিল করার চেষ্টা-সাধনার সামান্যতম অবকাশ তার থাকে না। দুনিয়া সে ততটুকু পায় যতটুকু আল্লাহ তার জন্য নির্ধারিত রেখেছেন, কিন্তু আখিরাতের মহান নিয়ামত থেকে সে নিজেকে বঞ্চিত করে। যা আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের জন্য নির্ধারিত করে রেখেছেন। অথচ একটু পরিশ্রম করলে সে তা হাসিল করতে পারত।
সন্তানের ভালবাসা মায়ের প্রতি অফুরন্ত থাকে। সন্তান মহব্বত ও ভক্তি সহকারে মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। মহব্বত ও ভক্তির কারণে মা ও সন্তানের সম্পর্ক সহজে নির্ণয় করা যায়। দুনিয়ার প্রতি যে মহব্বত রাখে, তাকে দুনিয়ার সন্তান আর আখিরাতের প্রতি যে ভক্তি ও মহব্বত রাখে, তাকে আখিরাতের সন্তান বলে নবী করীম ﷺ আখ্যায়িত করেছেন। দুনিয়ার সন্তান না হয়ে আখিরাতের সন্তান হওয়ার জন্য তিনি তাঁর উম্মতকে উপদেশ দিয়েছেন। নবী করীম ﷺ-এর উপদেশ মুতাবিক তারা কামিয়াব হবেন যারা দুনিয়ার মহব্বত ত্যাগ করে আখিরাতের মহব্বত অন্তরে পোষণ করেন এবং কর্মজীবনে তা বাস্তবায়িত করেন।
হাদীসে আরও বলা হয়েছে, দুনিয়া দ্রুত গমনকারী অর্থাৎ দুনিয়া তার সমাপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকের মৃত্যুর সাথে সাথে তার দুনিয়ার অবসান ঘটে। মৃত্যুর পর শত চেষ্টা করেও দুনিয়ার ফায়দা হাসিল করা যায় না। তার বিপরীতে আখিরাতের জীবন দ্রুত আগমনকারী, মৃত্যুর সাথে সাথে মানুষ বুঝতে পারে দুনিয়ার যিন্দেগীতে সে যা করছে তা তার জন্য কল্যাণকর না অক্যাণকর। সে আরো বুঝতে পারে যে, তার সাথে আখিরাতে কি ধরনের আচরণ করা হবে। কিন্তু আফসোস! সরেজমিনে পরিস্থিতি সচক্ষে অবলোকন করার পর যে অভিজ্ঞতা সে হাসিল করে, তাতে তার কোন উপকার হয় না। কারণ আখিরাত হিসেবের গৃহ। সেখানে আমল করে নিজের রেকর্ড ভাল করার কোন উপায় নেই। দুনিয়াকে আল্লাহ কর্মের জন্য তৈরি করেছেন। এখানে আল্লাহ কারো হিসাব-নিকাশ নেন না। প্রত্যেককে তার মর্জিমাফিক চলতে দেয় হয়। এ কারণে অদূরদর্শী মানুষ ভুল করে। সে মনে করে তার জীবন বন্ধনহীন। দুনিয়ার যিন্দেগীতে সে যেভাবে কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে না, আখিরাতেও তেমনি কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে না। এ ভুল ধারণা নিরসনের জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দুনিয়া আমল-গৃহ। অর্থাৎ এখানে যেভাবে আমল করা হবে, ঠিক সেভাবে আখিরাতে ফল লাভ করা যাবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)