মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ৩২
রিকাক অধ্যায়
আল্লাহ তাঁর মাহবুব বান্দাদেরকে দুনিয়ার অমঙ্গল থেকে রক্ষা করেন
৩২. হযরত কাতাদা ইবন নুমান (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যাকে আল্লাহ ভালবাসেন তাকে তিনি এমনভাবে দুনিয়া থেকে রক্ষা করেন যেভাবে তোমাদের কোন ব্যক্তি রোগীকে পানি থেকে হিফাযত করে থাকে। (মুসনাদে আহমদ ও তিরমিযী)
کتاب الرقاق
عَنْ قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : إِذَا أَحَبَّ اللَّهُ عَبْدًا حَمَاهُ الدُّنْيَا كَمَا يَظَلُّ أَحَدُكُمْ يَحْمِي سَقِيمَهُ الْمَاءَ . (رواه احمد والترمذى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
দুনিয়ার ভোগ-বিলাসের স্পৃহা এমন এক রোগের সমতুল্য যা মানুষের অন্তরের সুকুমার বৃত্তিসমূহকে নষ্ট করে দেয়। দুনিয়া উপভোগ করার রোগ যার রয়েছে, সে কখনো জ্ঞান-বিজ্ঞানের কঠিন সাধনায় নিজেকে নিযুক্ত করতে পারে না বা দীনের কঠিন পথ অতিক্রম করার সাহস সে করতে পারে না। দুনিয়া-পরস্ত ব্যক্তি দুনিয়ার অপরাপর মঙ্গল থেকে বঞ্চিত থাকে। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যাকে তাঁর নিয়ামত ও বরকত দান করতে চান, তাকে তিনি দুনিয়ার ভোগ-বিলাসের স্পৃহা থেকে রক্ষা করেন, যাতে সে উত্তম মন-মানসিকতা নিয়ে সুন্দর ও কল্যাণের সেবা করতে পারে।
উপায়-উপকরণ এবং ধন-দৌলতের প্রাচুর্য ও অপ্রতুলতাকে মানুষ সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য মনে করে থাকে। ধন-দৌলত আল্লাহর অন্যতম নিয়ামত হলেও তার বণ্টন সর্বদা সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের ভিত্তিতে করা হয় না। ধন-দৌলত কোন কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষার বিষয়বস্তু হয়ে থাকে এবং ধন-দৌলতের অপ্রতুলতা কল্যাণকর বিবেচিত হয়। তাই সর্বদা প্রার্থনা করা দরকার যাতে ধন-দৌলত আমাদের জন্য ফিতনার কারণ না হয়।
উপায়-উপকরণ এবং ধন-দৌলতের প্রাচুর্য ও অপ্রতুলতাকে মানুষ সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য মনে করে থাকে। ধন-দৌলত আল্লাহর অন্যতম নিয়ামত হলেও তার বণ্টন সর্বদা সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের ভিত্তিতে করা হয় না। ধন-দৌলত কোন কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষার বিষয়বস্তু হয়ে থাকে এবং ধন-দৌলতের অপ্রতুলতা কল্যাণকর বিবেচিত হয়। তাই সর্বদা প্রার্থনা করা দরকার যাতে ধন-দৌলত আমাদের জন্য ফিতনার কারণ না হয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)