মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ২০
রিকাক অধ্যায়
নবীজীকে কুরআনের যে সব সূরা বৃদ্ধ করে দিয়েছিল
২০. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। তিনি বলেন: হূদ, ওয়াকিয়া, মুরসালাত, 'আম্মা ইয়াতাসাআলুন ও সূরা তাকবীর (ইযাশ-শামসু কুওয়িরাত) আমাকে বৃদ্ধ করে দিয়েছে। (তিরমিযী)
کتاب الرقاق
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : قَالَ أَبُو بَكْرٍ : يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ شِبْتَ ، قَالَ : « شَيَّبَتْنِي هُودٌ ، وَالوَاقِعَةُ ، وَالمُرْسَلَاتُ ، وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ ، وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ » (رواه الترمذى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নবী করীম ﷺ প্রকৃতিগতভাবে উৎকৃষ্ট স্বাস্থ্য ও শারীরিক শক্তির অধিকারী ছিলেন। বার্ধক্যের প্রভাব তাঁর শরীরে ও স্বাস্থ্যের উপর বিলম্বে প্রকাশ পাওয়া খুব স্বাভাবিক ছিল। কুরআনের উপরোল্লিখিত সূরাসমূহে আখিরাত ও আখিরাতে অবিশ্বাসীদের শাস্তির বিবরণ রয়েছে। এসব সূরা নবী করীম ﷺ-এর শরীরের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। এসব সূরার অধ্যয়ন তাঁর মনে প্রবল আল্লাহ-ভীতির সৃষ্টি করত। যেহেতু মানুষের মনের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক রয়েছে, তাই তাঁর মানসিক অবস্থা তাঁর শরীরের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই হাদীস থেকে বুঝা যায়, আল্লাহর ভয় ও পরকালের চিন্তায় নবী করীম ﷺ-এর মনের অবস্থা কিরূপ ছিল। বস্তুত ভয় ও চিন্তা মানুষকে দ্রুত বৃদ্ধ করে ফেলে। পবিত্র কুরআনেও একথা বলা হয়েছে যে, "কিয়ামতের দিন শিশুদের বৃদ্ধ করে ফেলবে।"
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)