মা'আরিফুল হাদীস
ঈমান অধ্যায়
হাদীস নং: ৯
ঈমান অধ্যায়
রাসূলের খবরপ্রাপ্ত অবিশ্বাসী ইয়াহুদী-খৃস্টান দোযখে যাবে
৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)-এর খেদমতে হাযির হল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি রায়, একজন খস্টান ইঞ্জিলের উপর আমল করে এবং একজন ইয়াহুদী তাওরাতের উপর আমল করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস রাখে। শুধু আপনার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে না। রাসূল (ﷺ) বললেন: যে ইয়াহুদী ও খৃস্টান আমার খবর পেয়েছে অথচ আমার আনুগত্য হয়নি, সে দোযখে যাবে। -দারকুতনী
کتاب الایمان
عَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله أَرَأَيْت رَجُلًا من النَّصَارَى متمسكا بِالْإِنْجِيْلِ وَرَجُلًا مِنَ الْيَهُودِ مُتَمَسِّكًا بِالتَّوْرَاةِ يُؤمِنُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثمَّ لَمْ يَتَّبِعْكَ قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَنْ سَمِعَ بِِيْ مِنْ يَهُودِيّ أَو نَصْرَانِيّ ثمَّ لم يَتَّبِعْنِيْ فَهُوَ فِي النَّارِ (أخرجه (۱) الدَّارَقُطْنِيّ فِي الْأَفْرَاد)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
অন্যত্র নবী (ﷺ) আরও স্পষ্টভাবে ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাতে বলা হয়েছে তাওরাত ও ইঞ্জিলের উপর পুরাপুরি বিশ্বাস এবং আমল করা সত্ত্বেও তারা বেহেশত লাভ করতে পারবে না। কোন কোন মুহাদ্দিস বলেন, যদি কোন ইয়াহুদী ও খৃস্টান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (অর্থাৎ তৌহিদে বিশ্বাসী হয় এবং রাসূল (ﷺ)-এর সত্যতাও স্বীকার করে) কিন্তু নবী করীম (ﷺ)-এর শরীয়তের পরিবর্তে তাওরাত ইঞ্জীলের অনুগত থাকা এবং নিজের মুক্তির জন্য ইহাকে যথেষ্ট মনে করে তাহলে সে নাজাত লাভ করতে পারবে না। এ বাস্তবতার ঘোষণা কুরআন মজিদের নিম্নের আয়াতে করা হয়েছে:
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰہُ وَیَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
(হে নবী! মানুষকে) বলে দাও, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবেসে থাক, তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -আলে-ইমরান ৩১
অর্থাৎ যারা রাসূল (ﷺ)-এর প্রবর্তিত শরীয়তের আনুগত্য ছাড়াই আল্লার নৈকট্য ও তাঁর মার্জনা লাভ করার ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে তাদেরকে সুস্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, নবী করীম (ﷺ)-এর শরীয়তের আনুগত্য ব্যতীত নাজাতের অন্য কোন পন্থা নেই। এর বিপরীত যারা চলবে তারা আল্লাহর মহব্বত ও মাগফিরাত লাভের উপযুক্ত হবে না।
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰہُ وَیَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
(হে নবী! মানুষকে) বলে দাও, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবেসে থাক, তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -আলে-ইমরান ৩১
অর্থাৎ যারা রাসূল (ﷺ)-এর প্রবর্তিত শরীয়তের আনুগত্য ছাড়াই আল্লার নৈকট্য ও তাঁর মার্জনা লাভ করার ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে তাদেরকে সুস্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, নবী করীম (ﷺ)-এর শরীয়তের আনুগত্য ব্যতীত নাজাতের অন্য কোন পন্থা নেই। এর বিপরীত যারা চলবে তারা আল্লাহর মহব্বত ও মাগফিরাত লাভের উপযুক্ত হবে না।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)