মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

আল-কুরআন এর ফযীলত, তাফসীর ও শানে নুযূল অধ্যায়

হাদীস নং: ১১৬
আল-কুরআন এর ফযীলত, তাফসীর ও শানে নুযূল অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: আল-কুরআন সাত রীতিতে নাজিল হয়েছে।
১১৬। উবাঈ ইব্‌ন কা'ব (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একটি আয়াত তিলাওয়াত করলাম, আর 'আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) ঐ আয়াতটি ভিন্নবাবে তিলাওয়াত করলেন। (অন্য এক বর্ণনামতে, এক ব্যক্তি ঐ আয়াতটি ভিন্নভাবে তিলাওয়াত করলেন।) তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে তাঁকে বললাম, আপনি আমাকে আয়াতখানা এভাবে এভাবে পড়ে শোনাননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদ (রা) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনি কি আমাকে আয়াত খানা এভাবে পড়ে শোনান নি? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, তোমরা দু'জনই ভাল ও সুন্দর পড়েছ। বর্ণনাকারী উবাই ইব্‌ন কা'ব (রা) বলেন, অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কিছু বলতেই তিনি আমার বুকে হাত মারলেন এবং বললেন, হে উবাঈ ইব্‌ন কা'ব। আমাকে কুরআন পাঠ করে শুনানো হল এবং জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এক রীতি নাকি দুই রীতিতে? তখন আমার সঙ্গে থাকা ফিরিস্তা বললেন, দুই রীতিতে, তখন আমি বললাম দুই রীতিতে। তখন তিনি বললেন, দুই রীতি নাকি তিন রীতিতে? তখন আমার সঙ্গে থাকা ফিরিস্তা বললেন, তিন রীতিতে। তখন আমি বললাম তিনরীতিতে এভাবে সাতরীতি পর্যন্ত পৌঁছল। তবে তা প্রশান্তি দায়ক ও পর্যাপ্ত হতে হবে। তুমি চাইলে غفورًا رَحِيمًا অথবা سَمِيعًا عَلِيمًا বলতে পারো। আবার عَلِيمًا سَمِيعًا বলতে পারো। এভাবে আল্লাহ তোমাদের অনুমতি দিয়েছে যদি না আযাবের আয়াত রহমত অর্থে অথবা রহমতের আয়াত আযাব অর্থে ব্যবহৃত হয়। (অপর এক বর্ণনা আছে তিনি আমার বুকে হাত মারলেন, অতঃপর) তিনি (ﷺ) বললেন, হে আল্লাহ, আপনি উবাঈ এর সন্দেহ দূর করে দিন। তখন আমি ঘর্মাক্ত হয়ে গেলাম। ভয়ে আমার পেট ফুলে উঠল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন হে উবাই! আমার নিকট দু'জন'(১) ফিরিস্তা আসলেন। তাদের একজন বললেন, আপনি একরীতিতে তিলাওয়াত করুন, অপরজন বললেন, তাঁকে বাড়িয়ে দিন। আমি তখন বললাম বাড়িয়ে দিন। তখন প্রথম জন বললেন আপনি দু'রীতিতে তিলাওয়াত করুন। দ্বিতীয়জন বললেন তাঁকে আরও বাড়িয়ে দিন, আমি বললাম, আমাকে আরও বাড়িয়ে দিন। তখন প্রথম জন বললেন, আপনি তিন রীতিতে তিলাওয়াত করুন। দ্বিতীয় জন বললেন, তাঁকে আরও বাড়িয়ে দিন, আমি বললাম, আমাকে বাড়িয়ে দিন, তখন প্রথম জন বললেন, আপনি চার রীতিতে তিলাওয়াত করুন। দ্বিতীয় জন বললেন, তাঁকে আরও বাড়িয়ে দিন, আমি বললাম, আমাকে আরও বাড়িয়ে দিন। তখন প্রথম জন বললেন, আপনি পাঁচ রীতিতে তিলাওয়াত করুন। দ্বিতীয় জন বললেন, তাঁকে আরও বাড়িয়ে দিন, আমি বললাম, আমাকে আরও বাড়িয়ে দিন। তখন প্রথম জন বললেন, আপনি ছয়রীতিতে তিলাওয়াত করুন।
দ্বিতীয় জন বললেন, তাঁকে আর ও বাড়িয়ে দিন। তখন প্রথম জন বললেন, আপনি সাত রীতিতে কুরআন তিলাওয়াত করুন।
(মুসলিম আবু দাউদ, অন্যান্য গ্রন্থসূত্র।)
টিকা: ১. ফিরিস্তা দু'জন হলেন: জিবরাঈল ও মিকাঈল (আ)।
كتاب فضائل القرآن وتفسيره وأسباب نزوله
باب نزول القرآن على سبعة أحرف
عن أبي بن كعب قال قرأت آية وقرأ ابن مسعود خلافها (جاء في رواية وقرأ رجل خلافها) فأتيت النبي صلى الله عليه وسلم فقلت ألم تقرئني آية كذا وكذا؟ قال بلى فقال ابن مسعود ألم تقرئنيها كذا وكذا؟ فقال بلى كلاكما محسن مجمل قال فقلت له (2) فضرب في صدري فقال يا أبي بن كعب اني اقرئت القرآن فقيل لي على حرف (3) أو على حرفين؟ فقال الملك الذي معى على حرفين فقلت على حرفين فقال على حرفين أو ثلاثة؟ فقال الملك الذي معي على ثلاثة فقلت على ثلاثة حتى بلغ سبعة أحرف (4) ليس منها إلا شاف كاف إن قلت غفورا رحيما أو سميعا عليما أو قلت عليما سميعا فالله كذلك مالم تختم آية عذاب برحمة أو آية رحمة بعذاب (زاد في رواية بعد قوله فضرب في صدري) قال اللهم اذهب عن أبي الشك ففضت عرقا (5) وامتلأ جوفي فرقا (6) فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا أبي ان ملكين أتياني (7) فقال أحدهما اقرأ على حرف فقال الآخر زده فقلت زدني قال اقرأ على حرفين فقال الآخر زده فقلت زدني فقال اقرأ على ثلاثة فقال الآخر زده فقلت زدني فقال اقرأ على أربعة قال الآخر زده قلت زدني قال اقرأ على خمسة أحرف قال الآخر زده قلت زدني قال اقرأ على ستة قال الآخر زده (8) قال اقرأ على سبعة أحرف
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান