মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
পোশাক-পরিচ্ছেদ ও সাজ-সজ্জা
হাদীস নং: ১৭
পোশাক-পরিচ্ছেদ ও সাজ-সজ্জা
জুতা পরিধান এবং এ সংক্রান্ত আদাব।
১৭। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ জুতা পরে, তখন সে যেন তার ডান পা হতে শুরু করে আর যখন খুলে তখন যেন বাম পা হতে শুরু করে। তিনি আরো বললেন, জুতা উভয়টি পরিধান কর। অন্য বর্ণনায় আছে, যখন তোমাদের কারো জুতার ফিতা ছিড়ে যায় তবে সে যেন এক জুতা পরে না হাটে। হয়ত সে উভয় পা খালি রাখবে অথবা উভয় পায়ে জুতা পরবে।
(হাদীসের প্রথম অংশ মুসলিম, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। আর পরবর্তী অংশ বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসের প্রথম অংশ মুসলিম, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। আর পরবর্তী অংশ বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب اللباس والزنية
باب ما جاء في النعال ولبسها وآداب تتعلق بذلك
17- عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إذا انتعل أحدكم فليبدأ بيمينه، وإذا خلع فليبدأ بشماله، وقال انعلهما جميعا، زاد في رواية وإذا انقطع شسع أحدكم فلا يمش في نعل واحد، ليحفهما جميعا أو ينعلهما جميعا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
পায়ে জুতা পরাটা কেবল প্রয়োজনই নয়; মর্যাদাকরও। জুতা পরার দ্বারা যেমন পায়ের হেফাজত হয়, চলাফেরা সহজ ও আরামদায়ক হয়, তেমনি এর দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদাও প্রকাশ পায়। তাই দেখা যায় পাদুকাবিহীন লোকের তুলনায় যার পায়ে জুতা থাকে তাকে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়। আবার বামের তুলনায় ডান বেশি মর্যাদা রাখে। সুতরাং হাদীছটিতে দেখা যাচ্ছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে ডান পায়ে জুতা পরতে হুকুম দিয়েছেন। এটা সুন্নত। খোলার সময় এর বিপরীত করতে বলেছেন। অর্থাৎ আগে বাম পায়ের জুতা খোলা হবে, পরে ডান পায়ের। এতে করে ডান পা তুলনামূলক বেশি সময় জুতা পরিহিত থাকবে। জুতা পরাটা যেহেতু মর্যাদাকর, তাই বেশি সময়টা ডান পায়েরই প্রাপ্য। সুতরাং জুতা খোলার ক্ষেত্রে সুন্নত হল আগে বাম পায়ের জুতা খোলা, পরে ডান পায়ের।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
জুতা পরার সময় আগে ডান পায়ে পরা আর খোলার সময় আগে বাম পা খোলা সুন্নত। আমরা অবশ্যই এ সুন্নত পালনে যত্নবান থাকব।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
জুতা পরার সময় আগে ডান পায়ে পরা আর খোলার সময় আগে বাম পা খোলা সুন্নত। আমরা অবশ্যই এ সুন্নত পালনে যত্নবান থাকব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)